ষ্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরে আলোচিত একটি নাম মো.রকিব আলী। জগন্নাথপুরের আসিগোর এলাকার মৃত.রজব আলীর ছেলে রকিব আলীর স্থানীয় নিবাস হলেও সে বর্তমানে কেশবপুর বাজার এলাকায় বসবাস করে বিভিন্ন অপরাধীদের নিয়ন্ত্রন করে থাকেন। এ রকিব আলীর শেল্টারেই কেশবপুর বাজারসহ আশপাশ এলাকাতে মাদক বিক্রিসহ চলে নানাবিধ অপরাধের সা¤্রাজ্য।
নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক কেশবপুর বাজার ও আশপাশ এলাকার অনেক বাসিন্দা জানান, সিলেট বিভাগের বেশীরভাগ থানা এলাকার বাসিন্দারা লন্ডনে অবস্থান করলেও তারা প্রত্যেকেই নিজেদের জন্য একাধিক বাড়ি নির্মান করে রেখেছেন। বছরে ২/১ বার পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশের মাটিতে আসেন সময় কাটাতে। আর লন্ডন প্রবাসীদের বাড়িগুলো নিরাপত্তার জন্য তাদেরই নিকটাত্মীয়দেরকে রেখে যান। কিন্তু লন্ডন প্রবাসীরা সেখানে নিরাপদে বসবাস করলেও নিরাপদে থাকেনা গ্রামের বাড়িতে থাকা নিকটাত্মীয়রা। আর কেশবপুর বাজারসহ আশপাশ এলাকাবাসীর মাঝে আতংকের একটি নাম রকিব আলী। প্রবাসীদের থাকা বিভিন্ন বাড়ির কেয়ারটেকারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন প্রকার নেশার সামগ্রীগুলো তাদের বাড়িতে রাখতে বাধ্য করায়। আর সেই মাদকগুলো রকিব আলী সিন্ডিকেটের লোক দিয়ে কেশবপুর বাজারসহ আশপাশ এলাকায় বিক্রি করায়। এছাড়াও প্রবাসীদের বাড়িতে থাকা কেয়ারটেকারদেও কাছে অব্যাহতভাবে চাদাঁ দাবী করে আসছে এ রকিব আলী। যদি কেউ দাবীকৃত চাদাঁ দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে সে নিজের কাছে রক্ষিত মাদক দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখায়।
তারা আরও জানান,বিগত সময়ে রকিব আলী স্থানীয় আওয়ামী দোসরদের সাথে থেকে বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াতো। আওয়ামী দোসরদের সাথে আতাতের কারনে কেউ তাকে কিছু বলতে সাহস পেতনা। ৫ আগষ্টে স্বৈরাচারী হাসিনার দেশত্যাগের কিছুদিন পরই মাদক বিক্রির অবৈধ টাকার প্রভাবে ভোলপাল্টে সে এখন বিএনপির নেতাদের আশপাশে থেকে নব্য বিএনপি সেজে পুর্বের ন্যায় বর্তমানেও তার অপরাধের স্বর্গরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা আরও বলেন,কয়েক বছর পুর্বে রকিব আলীর অন্যতম সহযোগি জগন্নাথপুর পৌর শহরের কেশবপুরের ইউসুফ আলীর ছেলে নুরুল ইসলামকে ভারতীয় ৭ বোতল মদসহ আটক করেছিলো সিলেট লালাবাজার পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা। এরপরেও সুনামগঞ্জ জগন্নাথপুর থানা পুলিশ নগদ টাকা ও ৫ বোতল বিদেশী মদসহ রকিব আলীর অন্যতম সহযোগি নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে মাদক মামলায় আদালতে প্রেরন করেছিলো। তারা আরও বলেন,রকিব আলী তার দলে থাকা একাধিক সদস্য দিয়ে কেশবপুরসহ আশপাশ এলাকাতে মাদক বিক্রি করায় এবং চাদাঁবাজি করায়। যদি তার গ্রুপের কোন সদস্য পুলিশে আটক কিংবা বিপদে পড়েন তাহলে তার নিজ অর্থ্যায়নে তাদেরকে ছাড়িয়ে আনেন।
স্থানীয়দের দাবী, অত্র এলাকাসহ আশপাশে থাকা বেশীরভাগ বাড়ির মালিক লন্ডন প্রবাসী। মালিক না থাকায় শুধুমাত্র কেয়ারটেকারদের দ্বায়িত্বে থাকা প্রতিটি বাড়ি যেন অনিরাপদ হয়ে দাড়িয়েছে রকিব আলীগংদের কারনে। স্থানীয়রা ভয়ংকর এর অপরাধী চক্রের অন্যতম সদস্য রকিব আলীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জানান এবং রকিব আলীকে দ্রুত গ্রেফতারেরও দাবী জানান।