ষ্টাফ রিপোর্টার:
গিরগিটির রং বদল বলে যে প্রবাদ বাক্য আছে সেটা প্রতিফলনে পুরোটাই যেন মিল রয়েছে ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে রুবেল হোসেনের ক্ষেত্রে। বিগত সময়ে বিএনপি কিংবা তাদের সহযোগি কোন সংঠনের ব্যানারে রাজপথে কোন দেখা না গেলেও বর্তমানে ছাত্র দলের ব্যানারে শিবু মার্কেট ও আশপাশ এলাকাবাসীর কাছে যেন আতংকের নাম হয়ে পড়েছেন এ রুবেল হোসেন।
জুলাই-আগষ্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচরী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এ রুবেলের দেখা পায়নি কেউ। অথচ ৫ই আগষ্ট ছাত্রজনতা গণঅভ্যুত্থান আগে যারা ছিলেন বিএনপি ছাত্রদলের নিষ্ক্রিয় তারাই আজকে সমাজের ত্রাস হয়ে উঠেছে।
২০২২ সালে ৩০শে মার্চ বিএনপি ছাত্রদলের প্রনীত কমিটি প্রদান করে সেখানে ৬৪ নাম্বারে থাকা রুবেল হোসেন (সহ-সভাপতি) সোনারগাঁও উল্লেখ থাকলেও সেই রুবেলের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন গন মাধ্যমে নিজেকে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি দাবি করে আসছে ফতুল্লা থানার শিবু মার্কেট এলাকার জয়নাল মিয়ায় ছেলে রুবেল হোসেন নামে এক ব্যক্তি।
অথচ ছাত্রদলে প্রকৃতপক্ষে রুবেল হোসেন কোন প্রকার সদস্য পদে নাই এ রুবেলের। ছাত্রদলের সোনারগাঁয়ের রুবেল হোসেনের পদটি অবৈধভাবে ব্যবহার করে এলাকায় আধিপত্যসহ নানা অবৈধ কাজে লিপ্ত বলে খবর পাওয়া যায়।
বিভিন্ন হলুদ মিডিয়ার টাকার বিনিময়ে নিউজ প্রচার করে তিনি নিজেকে সাবেক সহ-সভাপতি দাবি করে যাচ্ছেন। হঠাৎ ছাত্রদলের সহসভাপতির পদে আর্বিভাব হয়ে উঠা রুবেল যেন শিবু মার্কেটসহ আশপাশ এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যেন হঠাৎ ছাত্রদল নেতা বনে যাওয়া রুবেলের চাদাঁবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। রানী মা প্লাজা ও আশপাশে গড়ে উঠা ফুটপাট থেকে দোকান প্রতি প্রতিদিন দুইশত পঞ্চাশ টাকা হারে চাদাঁ উত্তোলন করছে এ রুবেল। কেউ দিতে অস্বীকৃতি জানালে পরের দিন সে আর উক্তস্থানে দোকান নিয়ে বসতে পারেনা। রানী মা প্লাজার পাশে থাকা মসজিদের পেছনে একটি অফিস খুলে নিয়মিতভাবে বসেই শিবু মার্কেটসহ আশপাশ এলাকা নিয়ন্ত্রন করছে হঠাৎ আতংক হয়ে উঠা এ রুবেল হোসেন।
ছাত্রদলের ৬৪ নাম্বার এ থাকা সাবেক সহ-সভাপতি (সোনারগাঁও) রুবেল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,”আমার নাম ও পদ ব্যবহার করে যারা আজকে ফায়দা লুটছে তারা দলের স্বার্থে কখনোই ছিলো না, তারা সুবিধাবাদী।
এই বিষয়ে ফতুল্লা থানা যুবদলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, ত্যাগী নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা ফায়দা লুটতে চাচ্ছে তাদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হোক।
তারা আরো বলেন, দলের ক্রান্তিলগ্নে যাদের কে আমরা পাই নাই তারা দলের কেউ না। মহাপ্রতারক এ রুবেল হোসেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির নাম ব্যবহার করে পাশাপাশি জেলা সহ-সভাপতি নাম ব্যবহার করে দলের সুনাম ক্ষুন্ন করছে। আসলে এ রুবেল হোসেন একজন ভুয়াা নেতা।
এই বিষয়ে রুবেল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন’আমি কারো নাম ব্যবহার করছি না। আমার পদ আমি ব্যবহার করছি এবং এটাও বলেন তিনি ২০২২ সালের কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।
অন্যের পদ ব্যবহার করে নিজেকে ছাত্রদলের সহসভাপতির পদ ব্যবহারকারী নামধারী এ রুবেল হোসেন এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে জেলা বিএনপির সভাপতি ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সদসয় হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগী সাধারন মানুষ।