নারায়ণগঞ্জ সোমবার | ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  সর্বশেষঃ
বন্দরের নিখোঁজ ইয়াছিনের লাশ বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার 
লটারির নামে জুয়া সর্বস্বান্ত হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ 
কথিত রইস উদ্দিনকে দিয়ে আওয়ামী দোসররা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে  – রিয়াদ চৌধুরী
সোনারগাঁয়ে জমির জন্য বাবাকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম
রাজনৈতিক দলের সংস্কার ইস্যু কি চাপা পড়ে গেল?
প্রাচ্যের ডান্ডি নারায়ণগঞ্জের ৬৭ খাল এখন নিশ্চিহ্ন
সাত খুনের আসামিদের রায় কার্যকরের দাবিতে আইনজীবীদের মানববন্ধন
সাত খুনের রায় কার্যকরের অপেক্ষায় স্বজনরা
আমতলীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
রূপগঞ্জে চনপাড়ার অলিখিত ডন শমসের গ্রেপ্তার
আওয়ামী দোসর বহুরূপী এনায়েত হোসেনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বন্দর ২৫ নং ওয়ার্ড বাসি
রূপগঞ্জে ভুয়া সেনা কর্মকর্তা সেজে প্রতারণার চেষ্টায় আটক ১
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে এনসিপির বিক্ষোভ
মুফতি মাসুম বিল্লাহর নেতৃত্বে ঢাকার মিছিলে অংশগ্রহণ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিপুল ইয়াবাসহ যুবমহিলালীগ নেত্রী শায়লার ভাতিজা গ্রেফতার
নাবিল গ্রুপের কাজী নাবিল আহমেদের দৌরাত্ম্য
বন্দরে ব্রহ্মপুত্র নদীতে গোসল করতে নেমে শিশু সিয়ামের মৃত্যু
বন্দরে ১৯ থেকে ২৭নং ওয়ার্ড পর্যন্ত পানির তীব্র সংকট
বন্দরে পলাতক আসামীসহ গ্রেপ্তার-৬
মহিউদ্দিনকে চেয়ারম্যান বানাতে ১৫ লাখ টাকা দাবী নজরুল, রাসেল,খায়ের, মোজামেলের!
খানপুর হাসপাতাল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক
“ডেভিল বড় মিজান এখনও প্রকাশ্যে জামাতা আরাফাতের শেল্টারে”
বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির দৌড়ঝাঁপ, দৃশ্যমান হচ্ছে জোটের নানা হিসাব
‘ম্যাস গ্যাদারিং ফর ফিলিস্তিন’ স্লোগানে মাঠে নামছে আ.লীগ
দেশে অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সব সূচক বাড়ছে
বকশীগঞ্জে বন্যার সতর্ক বার্তা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত 
নারী কমিশনে থাকা প্রতিটি সদস্যের শাস্তি গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি – মাওলানা মামুনুল হক
সেভেন মার্ডার মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে স্বজনদের মানববন্ধন
তারেক রহমানকে নিয়ে দ্য উইকের কাভার স্টোরি ‘নিয়তির সন্তান’
সোনারগাঁয়ে ডাকাতদের হামলায় ব্যবসায়ী আহত 
Next
Prev
প্রচ্ছদ
রাজনৈতিক দলের সংস্কার ইস্যু কি চাপা পড়ে গেল?

রাজনৈতিক দলের সংস্কার ইস্যু কি চাপা পড়ে গেল?

প্রকাশিতঃ

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধানসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ব্যাপক তৎপরতা দেখালেও নিজেদের দলীয় সংস্কার কিংবা দলের মধ্যে গণতন্ত্র নিশ্চিত করার কোনো কার্যকর প্রক্রিয়া নিয়েছে, এমনটি দেখা যাচ্ছে না। খবর বিবিসি বাংলা।

বড়-ছোট বেশিরভাগ দলই কার্যত তাদের শীর্ষ নেতার একক নিয়ন্ত্রণ ও ইচ্ছায় পরিচালিত হচ্ছে বলেই দৃশ্যত প্রতীয়মান হয়, যদিও সব দলই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পরিচালিত হওয়ারই দাবি করে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন, ২০০৭ সালে ১/১১ -এর সময় থেকে রাজনৈতিক দলের সংস্কারের আলোচনা শক্তভাবে উঠলেও দলগুলোর অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে কার্যত কোনো পরিবর্তন আসেনি।

তিনি বলছেন, দলগুলো নিজেরা নির্বাচন চায়, কিন্তু দলের ভেতরের নেতৃত্ব নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আনতে চায় না। ব্যক্তি ও পরিবারকেন্দ্রিক সিন্ডিকেটের হাতেই দলের মধ্যকার আকাঙ্ক্ষিত সংস্কার আটকে আছে।

যদিও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলছেন, সংস্কার বলতে যদি দলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কথা বোঝানো হয় সেই চর্চা তারা করছেন। এটি চলমান প্রক্রিয়া। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত এই চর্চার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর মুখপাত্র মতিউর রহমান আকন্দও বলছেন, তাদের দলে নেতৃত্ব নির্বাচন থেকে শুরু করে সব প্রক্রিয়াতেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করা হয়। কিন্তু অনেকে দলেই এটি নেই। সব দল এই চর্চা করলে রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

কিন্তু দলের সংস্কার কি আলোচনায় আছে?

গত বছর পাঁচ আগস্টের আগ পর্যন্ত প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগে তাদের দুই শীর্ষ নেতাই ছিলেন শেষ কথা। খালেদা জিয়ার জেল ও অসুস্থতার কারণে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমানের হাতেই এখন একচ্ছত্র ক্ষমতা।

দলের নেতারা প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও এটিই বাস্তবতা যে দলটি পরিচালিত হচ্ছে তারেক রহমানের ইচ্ছেতেই। প্রায় নয় বছর দলটির কোনো সম্মেলনও হয়নি। প্রায় সাত বছর পর দলটির বর্ধিত সভা হয়েছে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে। তবে শেখ হাসিনার পতনের পর দলের কিছু ইউনিটে ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের উদ্যোগ দেখা গেছে।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার নিপীড়ন নির্যাতনের কারণে চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তারা দলের কোনো কার্যক্রমই ঠিকমতো করতে পারেননি। এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উদ্যোগ নিয়েছেন এবং দলের প্রতিটি স্তরে গণতান্ত্রিক চর্চার উদ্যোগ নিয়েছেন, যা চলমান আছে।

জামায়াতে ইসলামীতে নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক হয় বলে দলের নেতারা দাবি করলেও এসব কার্যক্রম প্রকাশ্যে হয় না বলে দলের বাইরে থেকে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা কঠিন।

যদিও দলটির মুখপাত্র মতিউর রহমান আকন্দ বলছেন, দলের কেন্দ্র থেকে শুরু করে সব ইউনিটেই নেতৃত্ব নির্বাচন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীলতা নেই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতেই দল পরিচালিত হয়। অন্য দলগুলোতে বরং সেটি আমরা দেখি না।

এর বাইরে জাতীয় পার্টিতে জি এম কাদেরই এখন একমাত্র নেতা। তিনিই ঠিক করেন দলের কোথায় কোন পদে কোন নেতা থাকবে। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোসহ ছোট বড় অন্য দলগুলোর অবস্থাও অনেকটাই একই।

নবগঠিত দলগুলোর মধ্যে আলোচনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। তারা এখনো তাদের গঠনতন্ত্রও চূড়ান্ত করতে পারেনি। এছাড়া বাম রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সিপিবি ছাড়া বাকিরা সবাই নেতা পরিচালিত সংগঠনের মতো করেই চলছে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অবশ্য বলছেন, সংস্কারের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে কিছু উপলব্ধি আছে বলেই তিনি মনে করেন। দলের গঠনতন্ত্র ও পরিচালনায় সংস্কার না হলে রাষ্ট্র সংস্কার টেকসই হবে না। গণতন্ত্র ও দলে নেতাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের একটা তাগিদও আছে। এই উপলব্ধি আমি দেখছি। হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। দেশের বাস্তবতার কারণেই হয়তো একবারেই সব হবে না।

বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন তিনি মনে করেন, এ দেশের দলগুলো এখনো রাজনৈতিক দলই হয়ে উঠতে পারেনি। মানুষের মধ্যে ১/১১ তে রাজনৈতিক দলের সংস্কার নিয়ে যে আকাঙ্ক্ষা দেখেছি, পরিস্থিতি এখনো সেখানেই আছে। একেক দল ব্যক্তি বা পরিবারকেন্দ্রিক সিন্ডিকেট। প্রভাব-প্রতিপত্তি ও শাসন বজায় রাখতে তারা সংস্কার চায় না কিংবা চাইবে না। দলগুলো নির্বাচন চায়, কিন্তু নেতৃত্ব নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আসে না। এ অবস্থা চলছে দিনের পর দিন। দলের মধ্যে এক দল কৃতদাস-সুলভ মনোভাব নিয়ে এগুলো সমর্থন করে থাকে।

১/১১, সংস্কার পরিবর্তন

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলে সংস্কারের বিষয়টি জোরেশোরে উঠে এসেছিলো ২০০৭ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার জের ধরে ক্ষমতায় আসা সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে। তখন সরকার ও নির্বাচন কমিশন দল পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও গঠনতন্ত্রকে আরও গণতান্ত্রিক করতে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলো।

বিশেষ করে দলীয় কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী, নির্বাচনি হলফনামায় আটটি ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া, দলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা, বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থিতার জন্য তৃণমূলের ভোটে প্যানেল প্রস্তুত করার ব্যাপারে সুস্পষ্ট বিধান রাখা কিংবা দলের আর্থিক হিসাব-নিকাশ নির্বাচন কমিশনকে দেওয়ার মতো কিছু বিষয় চালু হয়েছিলো।

মূলত ২০০৭ সালের শেষের দিকে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজসহ সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছিলো। এর মাধ্যমেই তখন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধনের মাধ্যমে একটি আইনি কাঠামোতে আনা সম্ভব হয়েছিলো।

সেখানে তখন দল গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত না হলে বা নিবন্ধনের শর্ত পূরণ না হলে নিবন্ধন বাতিলের ক্ষমতাসহ একটি অধ্যাদেশও জারি হয়েছিলো।

যদিও পরবর্তীতে অনেক দলই শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রকে সচেতনভাবে দূরে সরিয়ে রেখেছে এবং ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি কার্যকর করেনি। আর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব কোনো রাজনৈতিক দল সততার সাথে দেয় কি-না তা নিয়েও প্রশ্ন আছে।

আবার কোনো কোনো রাজনৈতিক দল কাউন্সিল করলেও শেষ পর্যন্ত নেতা নির্বাচনের ক্ষমতা দেয়া হয় শীর্ষ নেতৃত্বকে। নির্বাচনকালে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রেও দেখা যায় শীর্ষনেতার ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলন।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন দৃঢ়তা দেখালে রাজনৈতিক দলগুলোতে গণতন্ত্রায়ণ অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

 

সংগৃহিত

এ সম্পর্কিত আরো খবর

উপদেষ্টা মন্ডলীঃ

ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম

সম্পাদক মন্ডলীঃ

মোঃ শহীদুল্লাহ রাসেল

প্রধান নির্বাহীঃ

মোঃ রফিকুল্লাহ রিপন

সতর্কীকরণঃ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি
অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও
প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
সকল স্বত্ব
www.jagonarayanganj24.com
কর্তৃক সংরক্ষিত
Copyright © 2024

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ

বনানী সিনেমা হল মার্কেট
পঞ্চবটী ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ
ফোন নম্বরঃ ০১৯২১৩৮৮৭৯১, ০১৯৭৬৫৪১৩১৮
ইমেইলঃ jagonarayanganj24@gmail.com

Website Design & Developed By
MD Fahim Haque
<Power Coder/>
www.mdfahim.com
Web Solution – Since 2009

error: Content is protected !!