ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ আদালত চত্বরে একটি মামলার বাদীসহ তার পিতা-মাতাকে মারধর করার অভিযোগ আসামীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় রাশিদা বেগম যুথি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মৃত আব্বাস খানের ছেলে মহসিন খান পরশ (৫০) ও মিজানুর রহমান (৪৮) এর নাম উল্লেখ্য করে একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,মহসিন খান পরশ (৫০) ও মিজানুর রহমান (৪৮) উভয় পিতা-মৃত আব্বাস খান, উভয় সাং- ৭০০নং সরাইল মসজিদ রোড, থানা-কদমতলী, জেলা-ঢাকাসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে যে, বাদী উল্লেখিত বিবাদীদ্বয়ের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে একটি মামলা দায়ের করে, যাহার সি. আর মামলা নং-১০৩৩/২৩, ধারা- যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারা। উক্ত মামলাটি বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে জেরা পর্যায়ে চলমান আছে। বিবাদীদ্বয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর হইতে উল্লেখিত বিবাদীদ্বয় বিভিন্ন সময় বাদীকে মোবাইল ফোনে এবং বাসার সামনে আসিয়া দায়ের কৃত মামলাটি উঠাইয়া নেওয়ার জন্য এবং পরবর্তীতে বিবাদীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কোন প্রকার স্বাক্ষ্য প্রমান উপস্থাপন করি তাহাহইলে বাদীকে যে কোন সময় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি অথবা জীবণে শেষ করিয়া ফেলিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে।
গত রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বাদী রাশিদা বেগম যুথি সহ মা জোত্মা বেগম (৫৫) এবং পিতা আব্দুর রশিদ (৬৫) তার দায়েরকৃত মামলায় স্বাক্ষী দেওয়ার জন্য ফতুল্লা থানাধীণ নারায়ণগঞ্জ নতুন কোর্টে আসলে একই তারিখ দুপুর ২ টার দিকে বাদী সহ তার পিতা মাতা বিবাদীদ্বয়ের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিয়া কোর্ট হইতে বাহির হইয়া কোর্ট অভ্যন্তরীন জিয়ারু সেকশন ও আইনজীবি সমিতি ভবনের সামনে ফাঁকা জায়গায় পৌছামাত্র উল্লেখিত বিবাদীদ্বয় সহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন বে-আইনী জনত্যবন্ধে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার পরিবারের উপর অতর্কিত ভাবে আক্রমন করিয়া এলোপাতাড়ী ভাবে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে ১নং বিবাদীর হাতে থাকা কাঠের ডাসা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে বাদীর পিতার মাথার পিছনে স্বজোরে বারি মারিয়া মামার পিছনে রক্তাক্ত ফাঁটা জখম করে। তখন পিতাকে রক্ষা করিতে আগাইয়া আসিলে ১নং বিবাদী বাদীর ডান চোখে, মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্বজোরে কিল ঘুষি মারিয়া নীলা ফোলা ও রক্ত জমাট জখম করে এবং গলা চাপিয়া ধরিয়া শ্বাস রোধ করতঃ হত্যার চেষ্টা করে। তখন মা বাদী রাশেদা বেগম জুতিকে বাচাইতে আসিলে ২নং বিবাদী মায়ের বাম চোখে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্বজোরে ঘুমি মারিয়া নীলা ফোলা ও রক্ত জমাট জখম করে এবং মায়ের গলা চাপিয়া ধরিয়া শ্বাস রোধ করতা হত্যার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ১নং বিবাদী আমার এবং ২নং বিবাদী মায়ের পড়নের জামা কাপড় টানা হেচড়া করিয়া শ্লীনতাহানী করে। এ সময় এক ও দুই নং বিবাদী স্বর্ণালংকার সহ নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাদের ডাক চিৎকারে কোর্টে থাকা আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে উল্লেখিত বিবাদীরা তাদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করিয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়। পরবর্তীতে কোর্ট চত্তরে থাকা লোকজনের সহায়তায় আহতদের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল খানপুরে চিকিৎসা গ্রহণ করিয়া ঘাটনার বিষয়টি উল্লেখ্য করে ফতুল্লা মডেল থানার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।