ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লার পুর্ব ইসদাইরের বুড়ির দোকান এলাকায় বাড়ির সামনে মাদক বিক্রিতে বাধা প্রদান করিলে মায়ের সাথে অকট্য ভাষায় গালাগাল এবং এর প্রতিবাদ করাতে দুই ছেলে হাতুড়ি ও হামার দিয়ে পিটিয়ে পায়ে আঘাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইসদাইর এলাকার দূর্ধর্ষ অপরাধী,কিশোরগ্যাং লিডার ও হত্যা মামলার আসামী ইভনগংয়ের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ইসদাইর বাজার এলাকার শাহিদা’র বাড়ির ভাড়াটিয়া মো.বাবুল মিয়ার ছেলে মো.আনোয়ার হোসেন ফতুল্লা মডেল থানায় ইভনগং এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে আনোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন যে,উক্ত বিবাদীগন ও আমি একই এলাকায় বসাবাস করি। ১নং বিবাদী ইভন একজন মাদকাসক্ত ও মাদক বিক্রেতা। মঙ্গলবার ১১ সকাল সাড়ে ৬টায় ১নং বিবাদী ইভন আমার উল্লেখিত ঠিকানার বাসার সামনে মাদক বিক্রয় করার করার সময় আমার মাতা হাসু বেগম (৫০) বাধা প্রদান করায় সে আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতঃ এলোপাতাড়ী ভাবে মারধর করে। বিষয়টি আমার ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম (২৫) ও বড় ভাই সাইফুল ইসলাম (৪০) জানতে পেরে সকাল ৭ টায় ১নং বিবাদীর বাসায় যায়। সেখানে ইভন তার দুইভাই রাফিন ও মাহিয়ান,ইভনের পিতা বাবু,চাচা দুলাল,মাসুম ভুইয়া @ ময়না মাসুম,ইব্রাহিম ভুইয়ার ছেলে হাসান ভুইয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন বিবাদী নিয়া আমার বড় ভাই ও ছোট ভাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ ধাক্কা দিয়া মাটিতে ফালাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো বগি দিয়া কোপাইয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করতঃ হাতুর ও হামার দিয়া হাটুর নিচে এলোপাথাড়ী ভাবে আঘাত করিয়া বড় ভাইয়ের ডান পায়ের হাড় ও ছোট ভাইয়ের বাম পায়ের হাড় ভাঙ্গিয়া ফেলে। আমার ভাইদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে উল্লেখিত বিবাদীরা তাহাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে। এরপর আশপাশের লোকজন আমার ভাইদেরকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, খানপুর, নারায়ণগঞ্জে নিয়া যায়। সংবাদ পাইয়া আমি হাসপাতালে গিয়া আমার ভাইদের করূন অবস্থা দেখি ও তাহাদের নিকট ঘটনার বিস্তারিত শুনি। কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার বড় ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখিয়া তাহাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন এবং ছোট ভাইকে চিকিৎসা প্রদান করেন। ভাইদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করাইয়া ঘটনার বিস্তারিত তাহাদের নিকট শুনিয়া আত্মীয় স্বজন সহ গন্যমান্য লোকজনদের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।
তবে স্থানীয়দের দাবী, ইসদাইর এলাকার দূর্ধর্ষ অপরাধী,কিশোরগ্যাং লিডার ও হত্যা মামলার আসামী ইভন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। ২০১২ সালে ক্ষুদে ফুটবলার রাসেলকে হত্যা করে আলোচনায় আসেন ইভন। সেই ঘটনায় হত্যা মামলাও হয়েছিলো। পরবর্তীতে উক্ত ফুটবলারের পরিবারকে কিছু জমি ক্রয় করে দিয়ে সেই হত্যা মামলা থেকে মুক্তি পায় ইভনসহ সকল আসামীরা। সেই হত্যাকান্ডের পর থেকেই ইভনের অন্যায় কর্মকান্ড থেমে নেই বললেই চলে। কিশোরগ্যাং লালন-পালন,মাদক বিক্রি ও সেবনসহ এমন কোন অপরাধ কর্ম নেই যা ইভন ও তার বাহিনীর সদস্য দ্বারা সংঘটিত হয়না। আর ইভনকে সুপথে আনার পরিবর্তে উল্টো খারাপ পথে ধাবিত করেছেন ইভনের পিতা-মাতা এমনটাই অভিমত স্থানীয়দের।