ষ্টাফ রির্পোটার
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ ক্যাডার খাম্বা জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করার দাবী জানিয়েছে নির্যাতিত বিএনপির নেতাকর্মীরা, ছাত্রদলের লোকজনএবং সাধারণ জনগণ জানান,গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খাম্বা জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ৪নং ওয়ার্ডের বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, বাড়ি-ঘর ভাংচুর, হামলা, সম্পদ লুটপাট চালিয়ে পরিবার পরিজন ছাড়া করেছিল।
খাম্বা জাহাঙ্গীর কে সহযোগিতা করতো আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ ক্যাডার পিয়ার আলী,জালাল,রাহেল,সালাউদ্দিন, ওমর ফারুক, মোসলেহউদ্দিন ও কলু অন্যতম।
খাম্বা জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে উল্লেখিত ক্যাডাররা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন দমাতে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে শহরের চাষাড়া,২নং রেলগেট, নিতাইগঞ্জ,জালকুড়ি,সাইনবোর্ড ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় গুলিবর্ষণ করে আন্দোলন কারীদের হতাহত করে।
শুধু মাত্র খাম্বা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও তার অপকর্মের সহযোগী পিয়ার আলী, জালাল,রাহেল,জুলহাস,সালাউদ্দিন, ওমর ফারুক, মোসলেহউদ্দিন ও কলুর বিরুদ্ধে কোন মামলা না হওয়ায় তারা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং জাকির মাদাবর সহ বিচার সালিশ এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ঘুষ খাচ্ছে।
ভূক্তভোগী ৪ নং ওয়ার্ড বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজ পূর্বে বলেন আমি এবং ইব্রাহিম বিএনপির লিফলেট বিতরণ করার কারণে বিসমিল্লাহ মার্কেট এলাকায় আমাকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে খাম্বা জাহাঙ্গীর ও তার বাহিনীর সদস্যরা।যার ছবি ও ভিডিও রয়েছে।
একটি সুত্র হতে জানা যায়, খাম্বা জাহাঙ্গীরের সকল অস্ত্র যে ভান্ডার পিয়ার আলীর এবং তার গংদের নিকট জমা রয়েছে। তাদেরকে আটক করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অস্ত্র ভান্ডার উদ্ধার করা সম্ভব।