ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লায় বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলার আসামী, যুবলীগ ক্যাডার শহিদ হোসেন ওরফে ডাকাত শহিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে তাকে দাপা ইদ্রাকপুর শাহার সিটি মাঠ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত শহিদ হোসেন ওরফে ডাকাত শহিদ ফতুল্লা থানা সীমান্তের দাপা মসজিদ গলির আলি নুর ব্যাপারির পুত্র।
এদিকে গ্রেফতারের পরপরই তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে ছুটে আসে ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ- সভাপতি গাজী নুরে আলম। এ সময় সে জেলা বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় এক নেতার কাছের লোক পরিচয় দিয়ে থানা পুলিশের উপর প্রভাব বিস্তার করেও ছাড়িয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। রাত একটা পর্যন্ত তদবীর করে ব্যর্থ হয়ে সে থানা কম্পাউন্ড থেকে চলে যায়।
থানা হাজত থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেস্টার বিষয়ে নাম গোপন রাখার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারের পরপর সে গ্রেফতার অভিযানকারী পুলিশ কর্মকর্তার মুঠোফোনে ফোন করে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তদ্ববির করে। এরপর সে থানায় ছুটে আসে। থানায় এসে ঐ পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কথা বলে চলে যায়। পরবর্তীতে রাত দশটার দিকে পুনরায় থানায় আসে। সর্বশেষ সে রাত ১২ টার দিকে থানায় এসে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য জোড় তদ্ববির করে। এ সময় সে দলীয় প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি নগদ অর্থ প্রদানের ও প্রস্তাব দেয় পুলিশ কর্মকর্তাকে। পুলিশ কে ম্যানেজ করার চেস্টায় ব্যর্থ হয়ে সে রাত একটার দিকে চলে যায়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত সাতটার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান রনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ফতুল্লা থানা সীমান্তের দাপা ইদ্রাকপুরস্থ সাহারা সিটি মাঠে অভিযান চালিয়ে শহিদ হোসেন ওরফে ডাকাত শহিদ কে গ্রেফতার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান,বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আন্দোলনরতদের উপর গুলি করে ছাত্রদল নেতা রাকিব হত্যা ঘটনার মামলার আসামী শহিদ হোসেন। শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত শহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে ডাকাতি,ছিনতাই,মাদক সহ একাধিক বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।
ডাকাত শহিদকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে আসা ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি গাজী নুরে আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মুলত কাল রাতে এবং আজ সকালে থানায় গিয়েছিলাম নিজের ব্যক্তিগত কাজে। আমার একটি হোন্ডা বিগত সময়ে থানায় থাকা ইন্সপেক্টর অপারেশন কাজি মাসুদ ভেঙ্গে ফেলেছিলো। সে বিষয়ে আমি একটি মামলাও করেছি এবং কাজি মাসুদ এখনও কোথাও যোগদান করতে পারেনি। শহিদকে ছাড়িয়ে আনতে শুধু আমি নই বিএনপির অনেক নেতাই থানায় গিয়েছিলেন কিন্তু আমি তাদের নাম বললাম না। তাছাড়া শহিদ কখন আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেনি শুধুমাত্র বিএনপি করার কারনে মীর সোহেল আলী অযথা ওকে প্রায় ৫ বছর জেল খাটিয়ে ছিলো। ভাই আমি একজন নরম মনের মানুষ। আমি মানুষের কাজে বিভিন্ন সময়ে ছুটে যাই। তাছাড়া কেউ যদি খারাপ হয়ে থাকে তাহলে তাকে ভাল পথে আনা কি অন্যায় ? আপনারও যদি আমাকে প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে ডাকবেন আমি আপনার উপকারে চলে আসবো।