ষ্টাফ রিপোর্টার:
পুর্ব শত্রুতার জেরে ফতুল্লায় এনামুল হক মামুন নামে এক যুবককে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামুনের স্ত্রী খোরশেদা আক্তার মনি ফতুল্লা মডেল থানায় আতা ই রাব্বিগং এর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভূইগড় পশ্চিম পাড়া এলাকার এনামূল হক মামুনের স্ত্রী মোসাঃ খোরশেদ আক্তার মনি অভিযোগে উল্লেখ করেন যে,উক্ত বিবাদীগণ অত্র এলাকার স্থানীয় সন্ত্রাস, উশৃঙ্খল, অসাধু ও খারাপ প্রকৃতির লোকজন। পূর্ব শত্রুতার জেরে রবিবার রাত ১০টায় আমার স্বামী ফতুল্লা বাজারের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে ফতুল্লা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এর বিপরীত পাশে আমার স্বামীকে একা পেয়ে গিরিধারা এলাকার শাহাদাত হোসেনের ছেলে আতা ই রাব্বি,মৃত.দানেশ ভুইয়ার ছেলে সঞ্চয় ভুইয়া,মৃত.মোশারফের ছেলে মাফুজুর রহমান নিতুল,আবদুল জলিল মুহুরীর ছেলে কাউসার, মিল্টন,শাহাদাত,ভুইগড় এলাকার সিরাজউদ্দিনের ছেলে এমএ হোসাইন রাজ,পিলকুনি এলাকার মৃত.গফুর মিয়ার ছেলে ইকবাল মোল্লাসহ অজ্ঞাতনামা২০/২৫ জন বিবাদী ছুরি, চাকু, হকিস্টিক ও লাঠিসোঠা সহ বিভিন্ন দেশীয়-অস্ত্র যন্ত্রে সজ্জিত হইয়া বে-আইনী জনতাবদ্ধে দলবদ্ধ হইয়া এলোপাথারী কিলঘুষি ও লাথি মারা সহ বেধরক মারপিট করিতে থাকিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা ও গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। মারধরের সময় ১নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা পিস্তলের হাতল দ্বারা মাথায় স্বজোরে বারি মারিলে উহা ডান চোখে লাগিয়া গুরুতর রক্তজমাট জখম হইলে আমার স্বামী মাটিতে লুটাইয়া পরে। অতঃপর ২নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা কাঠের ডাসা দ্বারা মাথা লক্ষ স্বজোরে বারিলে উহা লক্ষ ভ্রষ্ট হইয়া নাকের উপরে লাগিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম এবং প্রচুর পরিমানে রক্ত ক্ষরণ হয়। অন্যান্য বিবাদীগণ লাঠিসোঠা সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-দ্বারা এলোপাথারী আঘাত করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা ও গুরুতর জখম করে। মারধরের সময় ৩নং বিবাদী আমার স্বামীর গলায় চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরোধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করে তখণ আমার স্বামীর গলায় থাকা একটি এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়া যায় যার মূল্য এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা এবং ৪নং বিবাদী আমার স্বামীর পরিহিত প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ পঁচিশ হাজার ছয়শত টাকা নিয়া যায়। অতঃপর সকল বিবাদীরা আমার স্বামী নির্মমভাবে বেধরক মারধর করিতে থাকিয়া ফতুল্লা থানায় ভিতরে ঢুকে এমনকি ফতুল্লা থানার পুলিশের বাধা উপেক্ষা করিয়া মারধর অব্যাহত রাখিয়া ফতুল্লা থানার ওসি সাহেবের রুমের ভিতরের ঢুকাইয়া বেধরক মারধর করে এবং আমার স্বামীকে প্রানে মারিয়া ফেলার হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে ফতুল্লা থানা কর্তৃপক্ষ আমার স্বামীকে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।