ষ্টাফ রিপোর্টার:
বাবা-ছেলে দুজনই রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে সফল হতে চান ,তবে লক্ষ্য এক হলেও বাবা আর ছেলের পথ আলাদা আলাদা। ছেলে বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলে সফলতা অর্জন করেছে কিন্তু এবার বাবার পালা। বলছিলাম নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কুতুবপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহজাহান ও তার ছেলে সজীবের কথা।
বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে ছেলে সজীব ছিল শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ কুতুবপুর ইউনিয়নের সহ-সভাপতি। সেই প্রভাব খাটিয়ে করতো মাদক ব্যবসা। এক সময় সজিব থেকে নামের আগে বাবা সজীব নামে পরিচিত লাভ করে আর গড়ে তুলে একটি নিজস্ব বাহিনী। সেই সময়ের আইন প্রশাসন বা সাংবাদিক কোন কিছুই তোযয়ক্কা করত না ছেলে সজীব। সেই সময় মাদক বিক্রি করার ছবি তোলার কারণে এই সজীবের কাছে লাঞ্চিত হয়েছিলেন একজন সাংবাদিক। মাদক বিক্রি করার সময় হাতে নাতে ধরে ফেলার পর এই সজীব বাহিনী প্রায় দুই ঘন্টা আটকে রাখে ডিবি পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত ডিবি পুলিশ আসলে পালিয়ে যায় সজীব। সজিব পালিয়ে গেলেও ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয় তার বাবা শাহজাহান। দীর্ঘদিন কারাবরণ শেষে জামিনে বের হয় শাহজাহান। এত কিছুর পরেও থেমে নেই সজীবের মাদক ব্যবস। ৫ ই আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রশাসন নিয়মিত মাঠে না থাকার কারণে দেদারসে চলছে তার মাদকের ব্যবসা।
সজিবের বাবা শাহজাহান বর্তমানে কুতুবপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত-সভাপতি। সেই প্রভাব খাটিয়ে দেদারসে চলছে সজীব @ বাবা সজীবের মাদক ব্যবসা মাদক ব্যাবসা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক মুরুব্বি জানান, বাপ ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ নিশ্চিন্তপুরসহ আশপাশের এলাকাবাসী। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মাদক ব্যবসা করে তারা এখন বিপুল অর্থের মালিক। তাদের টাকা আর ক্ষমতার কাছে জিম্মি এলাকাবাসী। আমরা কবে এদের জিম্মিদশা থেকে রক্ষা পাবো তা বলা মুশকিল। তবে আমরা স্থানীয় বাসিন্দাগন বাপ-বেটার অত্যাচার থেকে বাচঁতে থানা পুলিশ ও র্যাবের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কুতুবপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহজাহান এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,না ভাই আমার ছেলে কোন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ এর রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। এটা অন্য সজীব। বিগত সময়ে মাদক বিক্রি সংক্রান্ত বিষয়ে ডিবি পুলিশকে জিম্মি করে এবং ছেলের পরিবর্তে আপনাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন,না ভাই সেটা অন্য ঘটনায়। এমওএফ খোকনের সাথে একটি দ্বন্দের বিষয়ে পুলিশ আমাদেরকে বাপ-ছেলে দুইজনকেই আটক করেছিলো এবং আমরা উভয়ে একসাথে জেলে ছিলাম। সেই ঘটনায় আমরা প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলাম। ছেলের মাদক বিক্রির বিষয়ে তিনি এড়িয়ে যান।