ফতুল্লা প্রতিনিধিঃ
ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সহ-সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পিতা মোঃ মানিক খাঁন বাদ্য জনিত কারণে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ৬ই ডিসেম্বর রাত ১০:৩০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যু কালে ৯০ বছরের জীবনে মানিক মিয়া স্ত্রী চার ছেলে দুই মেয়ে সহ অসংখ্য পরিবারের সদস্য রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ফতুল্লা থানা বিএনপি, তথা কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতাকর্মীরা শোক প্রকাশ করেছেন।
৭ই ডিসেম্বর বাদ জোহর দেলপাড়া ঈদগাহ মাঠে ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী মোঃ শহীদুল্লাহর পিতা মানিক মিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জানাযায় উপস্থিত হয়ে মানিক মিয়ার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কুতুবপুরের অনেক সাধারণ মানুষই কান্নায় ভেঙে পড়েন। অনেকই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন মানিক মিয়া ছিল একজন সাদামাটা মানুষ। তিনি যে ভালো মানুষ ছিল তার প্রমাণ এই জানাযায়, কুতুবপুরের সর্বস্তরের মানুষই উপস্থিতিতে বুঝিয়ে দেয়। তাছাড়া তিনি ছিলেন আল্লাহ ভক্ত মসজিদ মুখে একজন মানুষ। তার চারজন সন্তান কুতুবপুরে বাবার সুনাম ক্ষুন্ন হয় এরকম কোন কাজের সাথে তারা জড়িত নয় বরঞ্চ হাজী শহীদুল্লাহ সহ প্রত্যেকটি সন্তানই বাবার সম্মান অক্ষত রেখেছেন। জানাযায় উপস্থিত ছিলেন মানিক মিয়ার শ্যালক আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরু উদ্দিন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম টিটু, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া, পাগলা বাজার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পলাশ, ফতুল্লা থানা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মাতবর, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাজহারুল আলম মিথুন,সহ সম্পাদক এস এম আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ক্রীড়া দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী শামীম তারেক সহ কুতুবপুরের সর্বপেশার ও সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পিতা মানিক মিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি হাতজোড় করে সকলের কাছে বাবার জন্য দোয়া ভিক্ষা চায়। আর বলেন রাজনীতি করার কারণে বাবার জন্য কিছুই করতে পারিনি, বিএনপির রাজনীতি করে মাসের পর মাস বছরের পর বছর বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলাম বাবা টেনসনে ঘুম আসতে পারত না। কখন ছেলে বাসায় ফিরে আসবে এখন বাবা নেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন আমি বাবার কাছে দোষী হয়ে রইলাম, সকলের কাছে আমার বাবার জন্য দোয়া ভিক্ষা চাই। জানাযা শেষে মৃত মানিক মিয়াকে দেলপাড়া কবরস্থানে সাহিত করা হয়।