ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর মূর্তিমান আতঙ্ক রশিদ মেম্বারের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছেন মাসুদ শেখ।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরি করেন। জিডির তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই সঞ্জিতকে।
তাতে মাসুদ শেখ উল্লেখ করেন, আমি মাসুদ শেখ পিতা মৃত জাফর আলী, সাং-পূর্ব গোপালনগর,থানা-ফতুল্লা জেলা-নারায়ণগঞ্জ বিবাদী ১। রশিদ (৪৫), ২। মাসুম (২৫), উভয় পিতা-মৃত আজগর আলী ভুট্টা, ৩। আসলাম (৪০), পিতা-মৃত গেদুমুদ্দিন, ৪। জসিম (৪৫), পিতা-মৃত সাঈদ, ৫। আলমগীর (৪০), পিতা-রিক্সাওয়ালা খালেক, ৬। শাকিল (২৪), পিতা-সাইজুদ্দিন, ৭। মামুন (৩৫), পিতা-সুলতান বেপারী, সর্ব সাং- পূর্ব গোপালনগর, বক্তাবলী সহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে সাধারণ ডায়েরী করার আবেদন করিতেছি যে, আমি বক্তাবলী ইউনিয়ন এর শ্রমিক দলের প্রধান উপদেষ্টা।
উল্লেখিত ১.৫,৬নং বিবাদীদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করি, মামলা নং-০৫, তারিখ-০২/০১/২০২৫ ধারা- ১৪৩/১৪৭/১৪৮/৭৪৭/৩২৩/৩০৭/৪২৭/৩৭৯/১১৪/৫০৬ পেনাল কোড।
১.৫.৬নং বিবাদীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর হইতে উল্লেখিত বিবাদীগণ আমাকে দায়েরকৃত মামলাটি উঠাইয়া নেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে।
০৭/০১/২০২৫ তারিখ বেলা অনুমান-১২.৩০ ঘটিকার সময় আমি সহ জেলার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, থানার শিল্প- আঞ্চলিক কমিটির জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এর সহ-সভাপতি মোঃ আওলাদ হোসেন (৬২) এবং জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের শ্রমিক নেতা মোঃ বশির (৫০) গন ফতুল্লা থানাধীণ বক্তাবলী ঘাট ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন আমাদের জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অফিসের সামনে অবস্থানকালে উল্লেখিত বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন আমাদেরকে উক্ত স্থানে পাইয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে এই মর্মে হুমকি প্রদান করে যে, আমি যদি বিবাদীদের বিরুদ্ধে আমার দায়েরকৃত মামলাটি উঠাইয়া না নেই তাহা হইলে আমাকে সহ আমাদের শ্রমিক দলের লোকজনদেরকে যেখানে পাইবে সেখানেই কোপাইয়া জীবনে শেষ করিয়া ফেলিবে নচেৎ আমার সহ আমার দলীয় লোকজনদের বিরুদ্ধে যে কোন মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা করিয়া আমাদেরকে হয়রানী করিবে।
বিবাদীদের হুমকিতে আমি সহ আমার দলীয় লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগিতেছি। বিবাদীরা যে কোন সময় আমাকে সহ আমার দলীয় লোকজনদেরকে যে কোন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে।
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মাসুদ শেখ।