ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার, আওয়ামী লীগ ক্যাডার আব্দুর রশিদ ওরফে রশিদ মেম্বার ও তার ছোট ভাই মদুদী এবং ফেন্সি মাসুমের শেল্টারে চলে মাদক ব্যবসা ও সেবনের আসর এমনটি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, একসময়ের ৭০ হাজার টাকার মালিক রশিদ মেম্বার মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, জমি দখল, ভূমিদস্যুতা সহ নানান অপকর্ম করে এখন শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গত ১৭ বছর ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী শওকত আলী,নারায়ণগঞ্জের গডফাদার বলে খ্যাত শামীম ওসমানের দোসর হিসেবে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন আব্দুর রশিদ ওরফে রশিদ মেম্বার।
অল্প সময়ের মধ্যে কালো টাকার মালিক ও আধিপত্য বিস্তারের নেশায় মত্ত হয়ে ওঠেন রশিদ মেম্বার। এর জন্য গড়ে তোলেন একটি বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী।
যে বাহিনীতে রয়েছে মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবনকারী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ সহ নানান অপকর্মের হোতারা।
যাতে তার অবৈধ কার্যক্রম সহজলভ্য হয় আশেপাশে এলাকায় গড়ে তুলেছেন বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। কেউ রশিদের অপকর্মের বাধা হয়ে দাঁড়ালে ওই সমস্ত সন্ত্রাসীদের দিয়ে প্রতিবাদকারীকে শায়েস্তা করে থাকেন এমনকি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন।
গত ৫ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র- জনতার আন্দোলনকে দমন করার লক্ষ্যে শওকত আলী চেয়ারম্যান ও গডফাদার শামীম ওসমানের সাথে মিলে শিক্ষার্থীদের ও আন্দোলনকারীদের গুলি বর্ষন করে হতাহতের ঘটনা ঘটান।
ফলে রশিদ মেম্বার এর বিরুদ্ধে ৪ থেকে ৫টি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার হত্যা মামলার ঘটনায় মামলা হয়।
পরে রেব চট্টগ্রাম হতে রশিদ মেম্বারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ১৫ দিন জেল খাটার পরে মোটা অংকের টাকা খরচ করে রহস্যজনক কারণে জামিন লাভ করে এলাকায় ফিরে আসেন।
ভুল সংশোধন না করে আগের মতই অবৈধ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনায় নিয়োজিত হয়ে পড়েন। আর আপন মামা বাদল যিনি রশিদকে লালন পালন করে বড় করেন। সেই মামার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা দায়ের করে জেল বন্ধী করাতে সক্ষম হন। রশিদের মেম্বারের মামা ব্যবসায়ী বাদল বিএনপি করার কারনে ২০১৮ সালে শামীম ওসমান ও শওকত আলীর সাথে মিলে রশিদ মেম্বার বাদলকে নাশকতা মামলা দিয়ে জেল খাটান বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
আরো জানা যায়,৫ আগস্টের পর রশিদ নিজেকে বিএনপি কর্মী দাবি করে চাঁদাবাজি শুরু করে। নিজের আপন মামার কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আপন মামা বাদলকে প্রাননাশের হুমকি দেয়।
পরে এলাকাবাসী রশিদ মেম্বার কে গনপিটুনী দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। ভূয়া রশিদ ছাপিয়ে নদীর উভয় পাশে ভিড়ে থাকা কার্গো,ভেসেল,ট্রলার হতে চাঁদাবাজি করছে। জেলা যুবদলের এক নেতার পিতাকে রশিদ মেম্বারের তার ছোটভাই মাসুমের বিয়েতে উকিল বাবা হিসেবে নিযুক্ত করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রশিদ ও মাসুম এখন নিজেদেরকে বিএনপির অনেক বড়মাপের নেতা হিসেবে জাহির করতে উঠেপড়ে লেগেছে। বিগত স্বৈরাচারের আমলে থান া যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর সাথে থেকে দীর্ঘদিন যুবলীগের রাজনীতি করলেও ৫ তারিখের পটপরিবর্তনে এবং উক্ত যুবদলের নেতার বাবাকে উকিল বাবা হিসেবে প্রষ্ঠিঠিত কওে এখন দুই সহোদরের অপরাধ কর্ম যেন কেউ থামাতে পারবেনা এমনটাই দাবী স্থানীয়দের।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রশিদ মেম্বার ও তার ভাই মদুদী এবং ফেন্সি মাসুমের নেতৃত্বে পূর্ব গোপালনগর, নবীনগর, মুসলিম নগর সহ বক্তাবলীর আশেপাশের এলাকায় মাদক বিক্রি ও সেবনের দূর্গ গড়ে তোলেন।
রশিদ মেম্বার বাহিনীর ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। নদীপথে মাদক এনে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে শত কোটি টাকার মালিক বনে যায় একসময়ের কষ্টে চলা রশিদ মেম্বার।
এ কাজে নিয়োজিত করেন তার আপন সহোদর মদুদী মাসুমকে। মাসুম নিজেও একজন মাদক সেবন কারী।
রশিদ মেম্বার সহ তার বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা,জিডি ও অভিযোগ রয়েছে। রশিদ মেম্বার ও তার ভাই মদুদী মাসুমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে র্যাব ও পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে মদদী মাসুম এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে (০১৭৪২৪৬৮২@@ ) একাধিকবার ফোন দেয়া হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে রশিদ মেম্বারের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।