ষ্টাফ রিপোর্টার:
২০১৪ সালে ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর মন্ডল বাড়ি এলাকার আব্দুল জলিলকে হত্যা করেও অর্থ ও ক্ষমতার প্রভাবে হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন কাশীপুর বংলাবাজার রোড প্রেসিডেন্ট বাড়ি এলাকার মৃত মনসুর প্রেসিডেন্টের পুত্র ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম। এরপরই ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদলের সাথে আতাঁত করে ভূমিদস্যুতা থেকে শুরু করে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি কৌশলে মসজিদের জমিও আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর আশরাফুল আলম আত্মগোপনে থাকলেও স্থানীয় বিএনপির নেতাদের সাথে আতাঁত করে ফের এলাকায় ফেরার চেষ্টা করেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। ৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলায় ২৮নং আসামী করা হয়েছে আশরাফুলকে। ৩ সেপ্টেম্বর রাতে নিহত মিনারুলের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
২০ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী রুটের আমিন নগর পাওয়ার হাউজের সামনে আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ ও চারিদিকে গুলি ছুড়তে থাকে। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তার ভাই মিনারুলের শরীরে গুলি লাগলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, হত্যা মামলার আসামী হওয়ার পর ফের আত্মগোপনে চলে গেছেন আশরাফুল আলম। এরই মধ্যে আরো কয়েকটি মামলার আসামী করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঠেকাতে ছাত্রলীগকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করার অভিযোগর রয়েছে আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে।