বন্দর প্রতিনিধি // ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুনরুপে দেখা মিলে সমাজের এক ভদ্রলোককে। দীর্ঘদিন যাবত নিজ স্বার্থ হাসিলে যেখানে যা তাই করলেও লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল। সরকার পতনের পর বেরিয়ে আসে ওই ভদ্রলোকের প্রকৃতরুপ। ওসমান পরিবারের দোসর / বিশ্বস্ত গোয়ান্দা সংস্থার হয়ে দায়িত্ব পালন করতেন। দীর্ঘকাল সময়েও তার প্রকৃত রুপ দেখতে ও জানতে পারেনি এলাকাবাসী। বন্দরের নবীগঞ্জ জালাল সরদার বাড়ির মৃত মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। মৃত মহিউদ্দিন আহমেদ ছিলেন ১৯৭১ সালে ইউসি। যা মুনতাসীর মামুনের লেখা বইয়ে স্পষ্ট উল্লেখ করেছে। রক্তে যার সমস্যা, সে সমস্ত লোকেরা সমাজে ভদ্রতার লেবাস লাগিয়ে সকল কাজে পরিপক্কতায় সফল। কৌশল অবলম্বন করে বেশ দাপটে অবস্থান থাকে। গত ৫ আগষ্টের পর বেরিয়ে আসে নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ আসল রুপ। প্রকাশ্য কারো সাথে দেখা না মিললেও গোপন সখ্যাতা ছিল ওসমান পরিবারের সাথে। ওসমানদের দোসর নিয়াজ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা হয়েছে। ওসমান পরিবারের দোসর হয়েও সখ্যতা ছিল বিএনপির নেতাদের সাথে।
একাধিক মামলা নিয়ে পুলিশের নাকের ডগায় ভূমিদস্যু , মসজিদের জমি দখল করা নিয়াজ গং রা৷ নিয়াজ উদ্দিন আহমেদের ছিল একাধিক গ্রুপ। যা কখনো প্রকাশ্য না হলেও ৫ আগষ্ঠের পর সকল কিছু বেরিয়ে আসলেও অদৃশ্য কালো শক্তির ইশারায় দিব্বি প্রকাশ্য ঘুরছে। হত্যাসহ প্রায় ৮/১০ টি মামলা থাকলেও প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক। বহুরুপী ইউসি মৃত মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে নিয়াজ উদ্দিনের বিচার চেয়ে এলাকাবাসী মানববন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেও কোন সুরহা পায়নি। উল্টো আরো হুমকি, দমকিসহ প্রাননাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র মতে, বন্দরের নবীগঞ্জ জালাল সরদার বাড়ির মৃত( ইউসি) মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। দেখতে স্মার্ট ভদ্রলোক হলেও তার ভিতরগত অবস্থান পরিস্কার হয়েছে ৫ আগস্টের পর। ওসমান পরিবারের মূল দোসর/ গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্ব পালন করতেন। আজমেরী ওসমান, শাহ নিজাম, জাকিরুল আলম হেলালদের সাথে সর্ম্পক ছিল আরো গভীর। ৫ আগষ্টের পর সকলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও ভোল্ট পাল্টিয়ে বিএনপির নেতা হিসাবে নিজেকে যাহির করতে চাচ্ছেন। নিয়াজ উদ্দিন হত্যাসহ ৮/১০ টি মামলার আসামী হয়েও প্রকাশ্য বেশ দাপটের সাথে ঘুরছে। তার নিজস্ব ত্রাস, বাহিনীও রয়েছে।
তার বাহিনীগুলো দরজা পাল্টানো লোক। আমিনুল পাসপোর্ট বাবুরা গন গন রুপ বদলায় নিয়াজের মত বহুরূপী তাদের সাথে মিছিলের ছবি সর্বত্র ভাইরাল। বন্দরের নবীগঞ্জ জালাল সরদার বাড়ির ছেলে নিয়াজ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিশাল পরিমাণ অপকর্মের ইতিহাস। ছাত্র জনতার বৈষম্যের বিরোধী আন্দোলনে ফতুল্লা থানা ও হেফাজত কর্মী হত্যা মামলার আসামী নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ এখনো প্রকাশ্য বহাল তবিয়তে। প্রশাসনের নাগের সামনে দিয়ে ঘুরলেও যেন তাকে চিনে না প্রশাসন। টাকার কাছে সকলেই পুনরায় হাত বাড়াতে শুরু করেছে। গত ২০ ডিসেম্বর ফতুল্লা থানা পুলিশ নিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করলেও ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে থানা থেকেই চলে আসে। তবে পুলিশ বলছে উল্টো কথা। একাধিক মামলার আসামী জামিন ছাড়া প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরাফেরা করে কিভাবে?? এমনই প্রশ্ন সচেতন মহলের। মুনতাসীর মামুনের লেখা বইয়ে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ্য করেছে যে মহিউদ্দিন আহমেদ অর্থাৎ নিয়াজ উদ্দিন আহমেদর পিতা ছিলেন শান্তি কমিটির সভাপতি। নিয়াজ উদ্দিন আহমেদের খুটির জোর কোথায়?? কোন সে অদৃশ্য কালো শক্তি তাকে পেছন হতে শেল্টার দিচ্ছে তাও খুঁজে বের করে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানে যাওয়া উচিত হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
মসজিদের সম্পত্তি গ্রাসের অভিযোগ সেই আলোচিত সমালোচিত নিয়াজের বিরুদ্ধে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ কামালউদ্দিন মোড়স্থ টি হোসেন রোডের হাজী জালাল সরদার জামে মসজিদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে ওসমান দোসর নিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। মসজিদের ওয়াকফকৃত সম্পত্তিতে ইতোমেধ্যে একটি নামধারী স্কুলও গড়ে তুলেছে সে। তার এহেন আচরণে ফুঁসে উঠতে শুরু করছে মুসল্লীসহ এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা করছে এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মসজিদের নিয়মিত নামাজ আদায়কারী মুসল্লী জানান,নিয়াজ উদ্দিন একজন সুবিধাবাদী লোক। নিজের প্রয়োজনে সে যে কোন ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে মানুষের জায়গা-জমি দখলে নেয়। তার নামে যে কমিউনিটি সেন্টার সেটাও তার জায়গা না। অনেকের ওয়ারিশের সম্পত্তি সে একাই জোরপূর্বক দখলে নিয়েছে। এখন আবার স্বয়ং আল্লাহর ঘর মসজিদের জায়গাও দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই সম্পত্তির কিছু অংশ তাদের ছিল কিন্তু তারা সেগুলো ওয়াকফ করে দিয়েছেন দলিলে তার সাক্ষরও রয়েছে অথচ নিজের স্বার্থে এখন সেই জায়গাও দখলে নিতে চাইছে। যারা মসজিদের সম্পত্তি নিয়ে কাড়াকাড়ি করে তারা কাফেরের বংশধর। অপরাপর মুসল্লী একই শর্তে জানান, নিয়াজ সঙ্গে কথা বললে মনে হয় সে ভাজা মাছ উল্টিয়ে খেতে জানেন না আসলে সে অনেক গভীর জলের মাছ। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সে বন্দরের অনেকের জায়গা দখল করেছে। সেলিম ওসমান,শামীম এবং আজমীর ওসমানের দোসর ছিলেন তিনি। যখন যেখানে যাকে প্রয়োজন তখন সেখানে তাকে দিয়েই কাজ বাগিয়ে নিতেন। আওয়ামীলীগের ক্যাডার শাহ নিজাম,হেলালসহ সবার সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা থাকায় কেউ তার বিরুদ্ধাচরণ করতে সাহস পেতো না। ইদানীং সে আবার নিজেকে বিএনপি-জামায়াতের অনুসারী দাবি করে মসজিদটি নিয়ে নানা তালবাহানা করছে। এলাকাবাসী নিয়াজ রাহুর গ্রাস থেকে জালাল সরদার মসজিদের সম্পত্তি মুক্ত চান। তার প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্থানীয় পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের হস্তপেক্ষ কামনা করছেন।
সোনারগাঁয়ে হেফাজত কর্মী হত্যার ৩ বছর পর মামলা ও সাবেক ২ এমপির সাথে নিয়াজ উদ্দিনসহ ১২৮ জনের নামে মামলা। নবীগঞ্জ ১ নং টি-হোসেন রোড জালাল সরদার জামে মসজিদের নামে দুই বারে ১০ শতাংশ ৩৩ পয়েন্ট জমি ওয়াকফ দেওয়া হয়, প্রথম হাজী মোসলেহ উদ্দিন আহাম্মেদ ৩ শতাংশ ৩৩ পয়েন্ট জমি ওয়াকফ দেয় ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখ,যাহার দলিল নাম্বার (৮৬২৯)।
২য় বারে মোসলেহ উদ্দিন আহাম্মেদ গং ও নিয়াজ উদ্দিন আহাম্মেদ গংরা ৭ শতাংশ জমি ওয়াকফ দেয় ২০১৯ সালের জুলাই মাসের ৩০ তারিখ,যাহার দলিল নাম্বার (৫৩৫১)।
দুই বারে মসজিদের জমি হয় ১০ শতাংশ ৩৩ পয়েন্ট। আমরা মিয়াজান সরদারের ওয়ারিশ হিসেবে ১৭ শতাংশ জমি পাই
তার থেকে ৩ শতাংশ জমি মসজিদের নামে না-দাবী দেই ৩০/১০/২৪ সালে,যার দলিল নাম্বার (৬৭৩৮) মসজিদের দখলে আছে ৭ শতাংশ,বাকি ৩ শতাংশ ৩৩ পয়েন্ট জমি নিয়াজ সাহেব দখল করে আছে,আমাদের ৩ ওয়াকফ দেওয়ার পড়ে ১৪ শতাংশ জমি পাই তাও নিয়াজ সাহেব দখল করে আছে,তাই আমরা ১৪ শতাংশের জন্য কোর্টে মামলা করি,যাহার মামলা নাম্বার ২৯৫/২০২৪
তার সাথে মিমাংসা করতে চাইলে হত্যার হুমকি জেল খাটাইছে আরো খাটাইবো হুমকি,মাদক,অস্রসহ একাধিক মামলার হুমকি। জমির জন্য বিরুদ্ধ,মামলা দিলেন চাদাবাজি ধারা,৩২৬ সহ আরো একাধিক মিথ্যা কাহিনী দিয়ে একাধিক ধারা বানিয়ে। আবার শুনলাম মিথ্যা ৩২৬ ধারা দিয়ে আমাদের ফাসানোর জন্য হসপিটালে ৩ দিন ভর্তি ছিলেন,এমসি রিপোর্টে ৩২৬ বসানোর জন্য। জজ মিয়ার নাটক করছেন।
২৫ ডিসেম্বর ঘটনার পড়েই নিয়াজ উদ্দিন থানায় গেলেন, সাংবাদিক দের সাথে কথা বললেন ২৫ তারিখ অভিযোগ করলেন ২৬ তারিখ মামলা নিয়ে নিলো একদিনে তদন্ত না করেই মামলা হয়ে গেলো,মানুষ এই গুলো বুজে,আপনার বক্তব্যের ভিতর বললেন জমি নিয়ে বিরুদ্ধ তা হলে মিথ্যা মামলা কেনো,
প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্তের অনুরোধ রইলো
আমাদের জমির জন্য বাদ দেন মসজিদের জমির জন্য আপনে যদি মেরেও ফেলেন ইনশাআল্লাহ মসজিদের জমির জন্য মরতেও রাজি আছি,জেলে থাকতেও রাজি আছি,আপনার হুমকিকে আমাদের সমাজ আর ভয় পায়না,আপনি ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে দিলেন আপনে একটা মামলাবাজ, পঞ্চায়েতের মুরুব্বিদের ও আপনে মিথ্যা মামলা দেন, এই মিথ্যা মামলার নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানাই,আমাদের কে আল্লাহ রক্ষা করবে ইনশাআল্লাহ।
এদিকে বিএনপির নেতা হিসেবে যাহির করতে গিয়ে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড.শাখাওয়াত হোসেন, টিপুর অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠলে প্রকাশ্যে নিয়াজকে লাঞ্ছিত করে বিএনপির নেতারা। মঞ্চ থেকে নিয়াজ ও পার্সপোট বাবুকে লাঞ্চিত করে। দীর্ঘদিন ওসমান দোসর, এখন বিএনপির নেতা হওয়ার খায়েশ। এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ রাজাকার পুত্র নিয়াজ উদ্দিনের কবল হতে মুক্তি চায়। ৭১ সালের ইউসি মৃত মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে নিয়াজ উদ্দিনের বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।