নিজস্ব সংবাদদাতা // বন্দরের উত্তরাঞ্চলের শিল্প মালিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। বন্দরের বিএনপির ত্রাস মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া হিরনকে আদালত পাড়ায় প্রকাশ্য পিটিয়ে বেশ আলোচনায় কাবিল হোসেন। আর শংকায় দিন কাটাচ্ছে শত শত মিল কারখানা মালিকরা।
এক সময়ের ঔষধ কোম্পানির সেলসম্যান বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। টাকা ও নিজের কৌশলগত, পরিকল্পনা অনুযায়ী ” না ছুই পানি, না ধরি মাছ “ এর নাম হারুন অর রশিদ লিটন। হারুন অর রশিদ লিটন বন্দর উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক । বিগত সরকারের সময়ে নিখুত কৌশলগত পরিকল্পনায় নিজে বেশ দাপটের সাথে সাংগঠনিক কাজ তেমন না করলেও ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে যেখানে প্রয়োজন সেখানে তা ব্যবহার করতেন হারুন অর রশিদ লিটন। বরিশালের লিটন বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় বসবাস করেন। ঢাকা – চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্ববর্তি এলাকায় বসবাস করেও বিগত সরকারের সময়ে যেমন দাপটে ছিল বর্তমানেও বেশ দাপটে অবস্থান তার। দীর্ঘদিন বন্দর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করলেও মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনেকটা সাংগঠনিক ভাবে দূরে থেকেও নিখুঁত মাইন্ডের লিটন হয়ে যান বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক। মহাজোট সরকারের সময়ে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে মাকসুদ হোসেন চেয়ারম্যান( সাবেক)’র সাথে প্রতিদ্বদ্বিতা করে অনেকটা আলোচনায় ও জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাদের দৃষ্টিতে আসেন। মিলে যায় একই অঞ্চলের ২ গভীর জলের মাছ। বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া হিরন ও সাধারন সম্পাদক পদ হারুন অর রশিদ লিটন গুরুত্বপূর্ণ পদের মালিক বনে যান। হারুন অর রশিদ লিটন বিগত স্বৈরচারী সরকারের সময়ে ঠিকাদারী কাজ হতে শুরু করে গাড়র্ন্টেসের ঝুট সেকেন্ডে ছিল। সরকার দলীয় নেতাদের যোগশাজসে লিটন বিশাল এক দাপটে ও কৌশলী নেতা ছিলেন।
ছাত্র জনতার বৈষম্যের বিরোধী আন্দোলনের তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছারলে দেখা মিলে তাদের পূর্বের আসল রুপ। সভাপতি মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া হিরন ও সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন বাহিনী বিভিন্ন মিল কারখানা দখল, চাঁদাবাজি, সরকারী খাল দখলসহ শতারিত শিল্প কারখানায় চাঁদাবাজি, লোপাট করেছে । রয়েছে নিজস্ব বাহিনী। রাজনীতি করতে গিয়ে নির্যাতিত হওয়ায় লিটন প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠেছে। হিংস্র রূপ ধারণ করেছে দলীয় পদ-পদতির দাপটে অভিযোগ উঠেছে বন্দর মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও লিটনের বিরুদ্ধে। এখন বুট ছিনতাই ও জমি দখলের উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন নামে দুই নেতার বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা করে নামা কর্মকান্ডে আতস্টিত প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্তৃপক্ষ এলাকাবাসী। সৃষ্টি আতঙ্কিত শতাধিক শিল্প গত (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কামতাল এলাকায় অবস্থিত এসএইচ কে লেভেল ফ্যাক্টরী জোর পূর্বক ফ্রুট ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ফ্যাক্টরী থেকে ঘটে। একই দেশ তাদের পর বন্দরে Shot on realr সমর্থিত হয়েছে বলে রাতে অবস্থিত ইউনেট গার্মেন্টের গোডাউন থেকে যু লুটে নেওয়ার ঘটনা এর ১৬ আগে সেপ্টেম্বর দলবল নিয়ে হিরণ ও লিটনের নেতৃত্বে কেওঢালা এলাকায় অবস্থিত পারটেক বোড মিলের বাউন্ডারি ভেঙ্গে ৩২ শতাংশ জমি দখলের অভিযোগ মালিক পক্ষের। প্রকাশ্যে এসব কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির তৃণমূল একাধিক নেতাকর্মী।
অক্টোবর মাস বন্দর থানা এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনিতর মধো আলোচিত কাবিল – হিরুন বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। খোদ আদালত পাড়ায় কাবিল- হিরুন বাহিনীর এমন তান্ডব লীলা দেখে বিচলত হয়ে পরে উপস্থিত লোকজন। তারা উভয় বিএনপির রাজনীতি করে। কাবিল হোসেন মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া হিরন বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি। একই আদর্শের হলেও হঠাৎ এমন ঘটনাটি সর্ব মহলে বেশ আলোচিত বিষয়।
বন্দরের মদনপুর উত্তরাঞ্চলের ত্রাস প্রায় অর্ধ শতাধিক মামলার আসামী মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া হিরনসহ তার ভগিনাকে আদালতে প্রকাশ্য পিটিয়েছেন কাবিল হোসেন। মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাবিল হোসেন নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রকাশ্য হিরন ও তার ভাগিনাকে বেধরক মারধর করেন। যে ঘটনায় আদালত পারায় হৈচৈ শুরু হয়। কাবিল হোসেন মদনপুর চাঁনপুর এলাকার বিএনপির সক্রিয় রাজনীতিতে। তারপরও এলাকা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বাহিনী। তদরুপ মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া হিরনও কম নেই। দেওয়ানবাগ এলাকার হিরন আরেক আতংক ও ত্রাসের নাম। তার বিরুদ্ধে মামলার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বসহ অপকর্মের প্রমানসহ অভিযোগ।
উল্লেখ যে, শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর বন্দরে শতাধিক শিল্প কারখানায় চালিয়েছেন লুটপাট ও চাঁদাবাজি। এখন দলীয় পদপদবির দাপটে ঝুট ছিনতাই ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণসহ বাহিনীর বিরুদ্ধে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নানা কর্মকান্ডে আতঙ্কিত শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্তৃপক্ষ। তাদের দাপট ও লোপাটের দৃশ্যপটে অনেকটা মনে হয় অলিখিত ভাবে বিএনপি সরকার ক্ষমতায়। অর্ন্ত:বর্তীকালীন সরকারে দেশ পারিচালনা করছে আর সেনাবাহিনী তাদের নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপির এমন লোপাট, ভাংচুর, চাঁদাবাজি, মিল কারখানা দখল, হামলাসহ সার্বিক বিষয়গুলো ভাবিয়ে তুলছে রাজনৈতিক বৌদ্ধদের।
গত ৫ আগস্টের পর অলিখিত ভাবে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় মনে করে ব্যাপক তান্ডবলীলা দেখায়। তাদের এমন অবস্থা দেখে বিএনপির ত্যাগী নেতাদের হাসতে দেখা গেছে আর বলছে, ওরা কি বোকার দল, আর কাদের হয়ে রাজনীতি করে জানি না। মিছিল, ভাংচুর, হামলা, লোপাট এগুলো দলের বিশাল ক্ষতির দিকে নিচ্ছে।
সম্প্রতি সময়ে কামতাল এলাকায় অবস্থিত এসএইচকে লেভেল ফ্যাক্টরী থেকে জোর পূর্বক ঝুট ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে। একই কায়দায় গভীর রাতে মদনপুর এলাকায় অবস্থিত ইউনেট গার্মেন্টের গোডাউন থেকে ঝুট লুটে নেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর দলবল নিয়ে হিরণের নেতৃত্বে মদনপুর কেওঢালা এলাকায় অবস্থিত পারটেক বোড মিলের বাউন্ডারি ভেঙ্গে ৩২ শতাংশ জমি দখলের অভিযোগ মালিক পক্ষের। প্রকাশ্যে এসব কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির তৃণমূল একাধিক নেতাকর্মী।
সূত্রে আরো প্রকাশ থাকে জানা গেছে, শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর থেকে টানা ১০/১৫ দিন বন্দরে গড়ে ওঠা শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান আগুনে পোড়ানোর হুমকি ধামকি দিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির পদপদবি নেতাদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও আওয়ামীগ সমর্থিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ শতাধিক স্থানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে প্রায় শত কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের দাবি। গত ৬ আগষ্ট কুমিল্লার সংসদ সদস্য শামীম আহম্মেদের মালিকাধিন উপজেলা মদনপুর ইউপির কেওঢালা এলাকায় অবস্থিত এসকিউ ক্যাবল তৈরির ফ্যাক্টরীতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজারুল ইসলাম হিরণের ছত্রছায়ায় জেলা জাতীয় পার্টির নেতা জাক্কার মোল্লা ও তার ভাই শাহজাহান মোল্লা সাজা সহ ২০/২৫ জনের একটি দল হামলা চালিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় নগদ ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন কর্তৃপক্ষ। একই কায়দায় একই এলাকায় অবস্থিত পোলার গ্লোব ফ্যাক্টরী থেকে ২ লাখ
একাধিক পারটেক্স বোর্ড মিলস মালিক আসিব উদ্দিন বাবু জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও আমার দখলীয় ৩২ শতাংশ সম্পত্তি বাউন্ডারি ভেঙ্গে চুন ফ্যাক্টরীর মালিক পক্ষকে দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন।
এসএইচকে লেভেল ফ্যাক্টরীর পরিচালক জাকারিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে কোম্পানীর অডিট চলছিল। এসময় মদনপুরের হিরণ ওয়েস্টেজ ঝুট নিয়ে যাবে বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিলেন। পরে আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মালামাল নিয়ে গেছে। আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি এবং আতঙ্কিত। টাকা ও বেঙ্গল গেরেট ওয়েল টাইলসের গোডাউন থেকে ৬৫ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে কিছুদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ থাকলেও বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ গত কয়েকদিন যাবত বন্দর উত্তরাঞ্চলের লাঙ্গলবন্দ হইতে মদনপুর পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা গার্মেন্টসহ প্রায় অর্ধশতাধিক শিল্প কারখানায় হুমকি দমকি দিয়ে জোর পূর্বক ঝুট ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।