বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে সুদের টাকা না পেয়ে জহিরুল ইসলাম জুয়েল (৩০) নামে এক সবজি বিক্রেতাকে বাজার থেকে তুলে নিয়ে একটি বসত বাড়িতে আটক রেখে শারীরিক নির্যাতনের পর সবজি বিক্রি নগদ ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুদখোর আব্দুল রাজ্জাক মিয়াসহ তকর সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। নির্যাতিত সবজি বিক্রেতা জহিরুল ইসলাম জুয়েল বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চর ধলেরশ্বরী এলাকার জুলহাস প্রধানের ছেলে।
এ ঘটনায় আহত সবজি বিক্রেতা মা জেসমিন বেগম বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন রাতে সুদখোর রাজ্জাক ও তার সহযোগী আল আমিনকে আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর আগে গত সোমবার (১২ মে) বিকেল ৬টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া বাজার থেকে ওই সবজি বিক্রেতা তুলে নিয়ে চুনাভূরা এলাকায় শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগের বাদিনী জানায়, সুদের টাকা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চুনাভূরা এলাকার মৃত আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে আব্দুল রাজ্জাক মিয়ার সাথে অভিযোগের বাদিনী জেসমিন বেগমের বিরোধ চলছিল। সুদের টাকা দিতে না পারায় সুদখোর রাজ্জাকসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী কয়েকবার অভিযোগের বাদিনীসহ তার পরিবারকে মারধর করে আসছে। এর ধারাবাহিকতা গত সোমবার বিকেলে অভিযোগের বাদিনী ছেলে জহিরুল ইসলাম জুয়েল সবজি বিক্রি করার জন্য কলাগাছিয়া বাজার এলাকায় গেলে ওই সময় আব্দুল রাজ্জাক ও একই এলাকার নূর মতি ছেলে আল আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে সবজি বিক্রেতা জুয়েলকে কলাগাছিয়া বাজার থেকে জোর পূর্বক টানাহেচড়া করিয়া চুনাভুরাস্থ সুদখোর আব্দুল রাজ্জাকের বসত বাড়িতে আটক করে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে ৭০ হাজার টাকা দাবি করে। ওই সময় উল্লেখিতরা সবজি বিক্রেতা জুয়েলকে
লোহার বাড দিয়ে এলোপাথাড়ী মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে রক্তাক্ত সহ নীলাফুলা জখম করে সবজি বিক্রি নগদ ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, গত ৫ আগস্ট পর থেকে সুদখোর আব্দুল রাজ্জাক বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে। সে বিভিন্ন স্থানে সুদে টাকা লাগিয়ে সাধারণ জনগনকে সর্বশান্ত করে চলছে। সুদখোর রাজ্জাকের অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।