Views: 12
প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী
ষ্টাফ রিপোর্টার:
ভূয়া কাবিন নামা আদালতে দেখিয়ে বৃদ্ধ মোঃ মজনু(৭২)বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে প্রতারক চক্রের অন্যতম সদস্য নার্গিস আক্তার(৩৪)।
মৃত্যুর শেষ প্রান্তে এসে হয়রানির শিকার হওয়ায় প্রতারক নার্গিস আক্তার সহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন মজনু।
তিনি এ ব্যাপারে র্যাবব ও পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বন্দর থানাধীন লাঙ্গলবন্দ নগর গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের কন্যা, আসাদ আলীর স্ত্রী নার্গিস আক্তার বাদী হয়ে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ নং আমলী আদালতে সি আর মামলার নম্বর ৩৬৫/২৪ দায়ের করেন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বন্দর থানা পুলিশ মোঃ মজনুকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত মোঃ মজনুকে জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার বাদী আসাদ আলীর স্ত্রী নার্গিস আক্তার উল্লেখ করেন, ২০০৬ সালের ২ অক্টোবর ২ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাদী মোঃ মনজুকে বিয়ে করেন।
এছাড়াও আরও তিন লক্ষ টাকার বিভিন্ন সামগ্রী উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়।
২০২৪ সালের ১৪ জুন বিবাদী মজনু মিয়া ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবীর করে তাতে দিতে অস্বীকার করায় মারধর করা সহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
বাদীর আইডি কার্ড পর্যালোচনা করে জানা যায়,বাদীর জন্ম তারিখ-০১/০১/১৯৯০ সে মোতাবেক তার বয়স প্রায় ৩৪ বছর। স্বামীর নাম আসাদ আলী। আর বিবাদীর বয়স -৭২ বছর। বাদীর সাথে বিবাদীর বয়সের ব্যবধান ৩৮ বছর।
বাদী মজনু ও তার আইনজীবী এড. মোঃ জাহিদুল ইসলাম মুক্তা জানান,নার্গিস আক্তার একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সাথে মিলে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য ভূয়া কাবিননামা তৈরী করে মজনু কে ব্লাকমেইল করছে। মামলাটি ভূয়া।
নার্গিসের আইডী কার্ডে স্বামীর নাম আসাদ আলী উল্লেখ আছে। সরকার ২০০৮ সালে ন্যাশনাল আইডি কাডের কার্যক্রম শুরু করে। বৃদ্ধ মোঃ মজনু যদি নার্গিস কে ২০০৬ সালের ২ অক্টোবর বিয়ে করে থাকে তাহলে আইডি কাডে স্বামী হিসেবে মোঃ মজনুর নাম আসবে আসাদ আলীর নাম আসার কথা নয়।
বৃদ্ধ মজনু তাকে ব্লাকমেইল চক্রের সদস্য নার্গিস আক্তার সহ মিথ্যা মামলা দায়ের করার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে র্যাব ও পুলিশের হস্তক্ষেপ করেন।
এ ব্যাপারে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের কারী বাদী নার্গিস আক্তারের আইনজীবী এড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এর মোবাইল নাম্বার ০১৮১৮৭০২৮@@ কল দেয়া হলেও তিনি বলেন,আমাদের যে কাবিননামা ও আইডি কাডের কপি দেয়া হয়েছে তার ভিত্তিতে ম্যাজিষ্ট্রেট দেখে মামলা নিয়েছেন। আগামী ধার্য্য তারিখে শুনানী হলে দেখা যাবে। তবে বাদী জানিয়েছেন কাবিন নামা সত্য।