ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ারস কারখানায় লুটপাটের পর আগুন দেওয়ার ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধান চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রূপগঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় তারা নিখোঁজ ব্যক্তিদের ছবি হাতে নিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা তারা থানার সামনে অবস্থান করেন। এ সময় রূপগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মো. গোলাম মোস্তফা বিক্ষোভরত স্বজনদের বুঝিয়ে থানা থেকে সরিয়ে দেন।
শিক্ষার্থী-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২৫ আগস্ট গাজী টায়ারসে লুটপাটের পর আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। টানা পাঁচদিন ধরে আগুন জ্বলে এ কারখানায়। কারখানাটির মালিক আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী।
নিখোঁজ সন্ধান চেয়ে বিক্ষোভের সময় তাদের স্বজনরা জানান, আগুনের ঘটনার ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজদের কোনো সন্ধান দিতে পারেনি সরকারি কোনো সংস্থা।
অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলছে না প্রশাসনের লোকজন। কারখানার ভেতরে দেহাবশেষ কিছু আছে কিনা সে ব্যাপারেও অনুসন্ধান চালানো হয়নি। নিখোঁজদের সন্ধান দিতে প্রশাসন অবহেলা করছে বলেও অভিযোগ করেন তাদের স্বজনরা।
ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘গাজী টায়ারসে আগুনের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৮ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
সেই তদন্ত কমিটি ১৮২ জন নিখোঁজের একটি তালিকা তৈরি করেছে। ওই সময় সেনাবাহিনী কাজ করেছে। যাদের নাম মিস গেছে তারা নতুন করে নাম ঠিকানা দেন। আবার খোঁজ নেবো।’
গত ১২ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসনের এক তদন্ত প্রতিবেদনে এ অগ্নিকান্ডে ১৮২ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর নিখোঁজদের স্বজনরা ঢাকা-নারায়গঞ্জ লিংক রোড অবরোধ করে।