ষ্টাফ রির্পোটার
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের তেলখিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু গনি মেম্বারের পুত্র রহমান ও তার সহযোগী বাদশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নিরীহ এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে রহমানের চাচা মোক্তার হোসেনকে জমিজমা বিরোধের জের ধরে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করায় গনি মেম্বার, তার পুত্র রহমান, সহযোগী ফটিক চানের পুত্র বাদশার বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।
জানা যায়,আলীরটেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল গনি মেম্বারের পুত্র রহমান ও বাদশা নিজেদের যুবলীগের নেতা পরিচয়ে এবং আজমেরী ওসমানের নাম ব্যবহার করে গঞ্জকুমারিয়া বাজারে সরকারি খাল দখল করে অফিস স্থাপন করে মাদক ব্যবসা,ভূমিদস্যুতা,চাঁদাবাজি সহ নানান অপকর্ম করে বেড়াতো।
গনি মেম্বার, তার পুত্র রহমান ও তার সহযোগী বাদশা যখন যে দল ক্ষমতায় আসে সে দলের নেতাদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে সে দলের প্রভাব বিস্তার করে মাদক ব্যবসা,ভূমিদস্যুতা,চাঁদাবাজি সহ নানান অপকর্ম করে বেড়াতো।
রহমান ও বাদশা বাহিনীর অত্যাচারে এলাকার অনেক যুবক,মানুষ তেলখিরা এবং গঞ্জকুমারিয়া এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। এলাকার নিরীহ মানুষ রহমান ও বাদশা মিয়ার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
রহমান তার বাবা গনি মেম্বার তাদের আপন স্বজনদের জমিজমা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। জমি ফেরত না দিয়ে বরং নানান ভাবে হয়রানি করে থাকার অভিযোগ রয়েছে।
সচেতন এলাকাবাসী রহমান ও বাদশার মাদক ব্যবসা, ভূমিদস্যুতা বন্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আলীরটেক ইউনিয়নের তেলখিরা এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা গনি মেম্বারের সন্ত্রাসী পুত্র মাদক বিক্রেতা রহমান ও বাদশা মিয়া সহ তাদের সহযোগীদের হামলায় নিরীহ মুক্তার হোসেন ও তার স্ত্রী গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া ও খানপুর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
অভিযোগে মোঃ মোক্তার হোসেন, পিতা-মৃত আব্দুল হামিদ মাদবর, ঠিকানা-তেলখিরার চর, পোঃ আলীরটেক উল্লেখ করেন, আসামী ওসমান গণি মেম্বার, (আওয়ামীলীগের ০৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি) পিতা-মৃত আব্দুল হামিদ মাদবর, মাতা-মৃত দিল বাহার বেগম, রহমান, পিতা-ওসমান গণি মেম্বার, মাতা- রহিমা বেগম,আমির পিতা-আব্দুল হামিদ, মাতা-দিল বাহার, বাদশা মিয়া, (আওয়ামীলীগের ০৩ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারী) পিতা-মৃত ফটিক চান, সোহেল পিতা-বাদশা মিয়া, মাতা- রুফিজা, কামাল(যুবলীগ এর ০৩ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক) পিতা-ফটিক চান, মাহারুফ, পিতা-সাগর, হাকিম, (যুবলীগের ০৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি)পিতা-আক্কাস আলী, গত ০২/০৪/২০২৫ইং তারিখ বিকাল ৪.৩০ মিনিটে উল্লেখিত সন্ত্রাসী সহ অজ্ঞাত নামা আরো ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আমাকে ও আমার স্ত্রীকে এলোপাথারী ভাবে মারধর করে জখম করে। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন আসিয়া আমার স্ত্রীকে ভিক্টরিয়া হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করে।
জোর পূর্বক বাসায় আসিয়া ঘরের মালামাল ভাংচুর করে। আলমিরা থেকে নগদ ২০,২০,১২০/-(বিশ লক্ষ বিশ হাজার একশত বিশ) টাকা সহ ঘরে রক্ষিত ২০ ভরি স্বর্নালংকার (চেইন, আংটি, হাতের রোলিং) ১নং ও ২নং বিবাদী টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বলে যে, বাদীকে, বাদীর সন্তান ও বাদীর স্ত্রীকে জীবনে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে। আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগিতেছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রহমানের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ( ০১৭৭০৩৯৬৩@@ ) জানান,এ বিষয়ে পারিবারিকভাবে বিচারের দিনক্ষন করা হয়েছে। যেহেতু আপন চাচার সাথে ঝগড়া তাই এটা পারিবারিবভাবে সমাধান করা হবে। তাছাড়া মামলা ও অভিযোগের ক্ষেত্রে মিথ্যাচার থাকে। তবে এখানে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন রয়েছে। আমি যদি অপরাধ কওে থাকি তাহলে চাচার কাছে ক্ষমা চাইবো আর চাচা যদি অপরাধ করে থাকেন তাহলে তিনি আমার বাবার কাছে ক্ষমা চাইবেন।
অপর অভিযুক্ত বাদশা মিয়ার মুঠোফোনে ( ০১৮৫৪২৫১১@@ ) ফোন করা হলে তার নাতনী মুঠোফোনটি রিসিভ করেন এবং তার নানা বাজারে গিয়েছে বলেন জানান।