ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআই হানিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে অটো-মিশুকের অবাধে বানিজ্য করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অটো ও মিশুক চালকরা জানান, নিরীহ চালকদের অটো-মিশুক আটক করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এজন্য এটিএসআই হানিফ মাহমুদ অটো ও মিশুক আটক করার জন্য কয়েকজন বহিরাহত যুবক নিয়োগ করেছে। তাদের প্রত্যেককে প্রতিদিন ৬/৭শ টাকা করে প্রদান করে থাকে।
বাকী টাকা নিজে আতœসাত করে থাকে। গড়ে প্রতিদিন ১২০/১৫০ টি অটো ও মিশুক ডাম্পিং এর নামে চাষাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে রাখে। সেখানে সরকারী খাতায় মাত্র কিছু গাড়ির জরিমানার রশিদ দিলেও বাকি গাড়ির রশিদ না দিয়ে সেটাকা নিজের পকেটে ভরে নেয়।
শিবু মার্কেট হতে ডাম্পিং এ আগত অটোচালক সুমন জানান,আমার গাড়ি গতকাল সকালে আটক করে। কোন স্লিপ না নেয়ায় পরের দিন বিকাল ৩ টায় কোন রকম রশিদ ছাড়াই ৯০০/ টাকা নিয়ে অটোরিকশা ছেড়ে দেয়। মাঝে আমার ২ দিনের আয় বন্ধ ছিল। আমার প্রশ্ন টাকা নিয়ে যখন গাড়ি ছেড়ে দিবে তাহলে কেন ২ দিন গাড়ি আটক করে রাখা হলো। সুমনের মতো আরো ১২/১৩ জন চালক একই রকম অভিযোগ করেছেন।
একটি সুত্র হতে জানা যায়,এটিএসআই হানিফ মাহমুদ সরকারী বেতন ভাতা ছাড়া প্রতি মাসে ২০ লাখ টাকা অতিরিক্ত হাতিয়ে নিচ্ছেন। ঢাকার গেন্ডারিয়ায় বহুতল ভবন,গ্রামের বাড়িতে বিপুল ধন-সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন। এছাড়াও ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে। যা দূর্নীতি দমন কমিশন সুষ্ঠু তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
এটিএসআই হানিফ মাহমুদ এর আগে নারায়নগঞ্জের কোর্টে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানেও ব্যপক দূর্নীতি করে আসছে।
তাকে সহযোগিতা করে ফরাজীকান্দা এলাকার ,এটিএসআই হানিফের ক্যাশিয়ার শান্ত সহ আরো ৫/৬ জন। এছাড়াও বিভিন্ন চাবির রিং মালিকদের সাথে সখ্যতা গড়ে রেখে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করেও হাতিয়ে নিচ্ছে এ হানিফ। নগরীতে প্রায় ১৫টি অজ্ঞাত কোম্পানীর প্রায় ১০ হাজারের মত ইজিবাইক ও মিশুক চলাচল করছে।
সচেতন মিশুক- অটো চালকরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,এটিএসআই হানিফের অর্থ আদায়ের ধান্ধার কারনে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম ভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছি। বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী চালকরাও হানিফের বানিজ্যের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।
তারা উক্ত ট্রাফিক বিভাগ হতে ঘুষখোর এটিএসআই হানিফকে প্রত্যাহার ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জোর দাবী জানান।
এ ব্যাপারে এটিএসআই হানিফের মুঠোফোন ০১৭২১০১৭৬@@ নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এ বিষয়ে কিছু বলবোনা আপনি আমার সিনিয়র অফিসারের সাথে যোগাযোগ করেন বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ বিষয়ে ট্রাফিক এডমিন একে করিম এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেনি।