ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সদর মডেল থানাধীন গোগনগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পূর্ব কড়ইতলা এলাকার শিশু ধর্ষণকারী মোহাম্মদ বশির কে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি সদর মডেল থানা পুলিশ।
এতে করে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (০১ ডিসেম্বর) সকাল ১১:০০ টার সময় সৈয়দপুর পূর্ব কড়ইতলা এলাকার মৃত হেলালউদ্দিনের পুত্র বশির উদ্দিন নদীরপাড় হতে ফুসলিয়ে এনে তার মুদির দোকান ঘরের ভিতরে নিয়ে মর্জিনা আক্তার (১১) ছদ্মনাম কে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ খবর এলাকাবাসী পেয়ে ধর্ষক বশিরকে হাতে নাতে আটক করে। মনরউদ্দিন টারজান ও খোকন বশিরকে রহস্যজনক কারনে ছেড়ে দেয়।
এ খবর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সহ অন্যদের দেওয়া হলে ধর্ষণের কথা শুনে তারা পুলিশকে ফোন দেয়।
সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই অবৈধ সুবিধা নিয়ে মনরউদ্দিন টারজান ও খোকন ধর্ষক বশিরের পুত্র নয়ন ও জীবনের হাতে ধর্ষক বশিরকে তুলে দেয়।
জানা যায়, আল আমিন নগর এলাকার নুরজাহানের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ আকবর (ছদ্মনাম) এর ১১ বছর বয়সী কন্যা মর্জিনা আক্তারকে ধর্ষনের অভিযোগে সদর মডেল থানায় বশির উদ্দিনকে আসামি করে ৯(১)২০০০ সালের ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষণের ৫দিন অতিবাহিত হলেও সদর থানা পুলিশ দর্শক মোহাম্মদ বশির ও তার দুই পুত্র নয়ন ও জীবনকে এবং তাদের সহযোগী মনরউদ্দিন টারজান,খোকনকেও আটক করতে পারেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, পুলিশ বশির কে ছেড়ে দেওয়ায় মনরউদ্দিন টারজান ও খোকন এবং বশিরের দুই পুত্র নয়ন ও জীবনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ধর্ষক বশিরের সন্ধান পাওয়া যাবে।
এলাকাবাসীর অতি দ্রুত ধর্ষক বশির এবং তাকে ছেড়ে দেওয়া ও ছাড়িয়ে নেওয়া সহযোগীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে র্যাব ও পুলিশের প্রতি জোর দাবি জানান।