ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লার পাগলা ইসলামীয়া বাজার এলাকায় রাজিব হাই স্পিড নামে ওয়াইফাই ইন্টারনেট ব্যবসার লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ডিএম আহসান হাবিব ডলারগংয়ের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগি পাগলা পুর্ব লামাপাড়া এলাকার মৃত.মো.মুকসুদ তালুকদারের ছেলে মো.আশু মিয়া তালুকদার ফতুল্লা মডেল থানায় আহসান হাবিব ডলারগংয়ের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পাগলা পুর্ব লামাপাড়া এলাকার মৃত.মো.মুকসুদ তালুকদারের ছেলে মো.আশু মিয়া তালুকদার ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগে উল্লেখ করেন যে,আমি ফতুল্লা থানাধীন পাগলা ইসলামীয়া বাজার এলাকায় বিগত ৭/৮ বৎসর যাবৎ ইন্টারনেট কোম্পানী মাইক্রো লিংক হইতে বৈধভাবে লাইন আনিয়া ‘রাজিব হাই স্পিড” নামীয় ওয়াইফাই ইন্টারনেট এর ব্যবসা করিয়া আসিতেছি। গত ২৬ অক্টোবর দুপুর ২টায় আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহকদের জোড় পূর্বক বিবাদীরা তাদের ইন্টারনেট লাইন সংযোগ দেয়, আমি বাধা দিলে পাগলা ইসলামিয়া বাজার এলাকার মৃত.নুর ইসলাম দেওয়ানের ছেলে ডিএম আহসান হাবিব ডলার ও রুকো,জাকির হোসেন ড্রাইভার, ইব্রাহিম ওরফে গুলো, নাছির,বাবর,নুরুল ইসলাম তেলা,মো.আলামিন, মো.নিয়াজ,নুর ইসলাম,আনু,মো.মামুন,বাবুসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন বিবাদীরা আমার উপর চড়াও হয়, আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতা আমাকে ব্যবসা করতে দিবে না বলে হুমকি দেয়। বিগত ৭/১০/২০২৪ইং তারিখে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করি। এবতাবস্থায় গত ২০/০৮/২০২৪ইং তারিখে হইতে আমাদের গ্রাহকদের লাইন কাটিয়া এবং আমাদেরকে ইন্টারনেট এর তার কাটিয়া আমাদেরকে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতিসাধন করিতেছে। এছাড়াও বিবাদীরা আমাদের বিভিন্ন স্থানে লাইন বিচ্ছিন্ন করিয়া আসিতেছে এবং আমার শ্রমিকদের মারধর করিয়া বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করতঃ আমাদের ইন্টারনেট ব্যবস্য সে জোর পূর্বকভাবে জবর-দখল করিয়া নিয়া যাইবে বলিয়া হুমকি প্রদান করিতেছে।
এছাড়াও বিবাদীরা বিভিন্ন সময়ে আমার ইন্টারনেট অফিস পাগলা ইসলামীয়া বাজায়-এ আসিয়া অযৌক্তিকভাবে চাঁদা দাবী করতঃ আমার বাবসা বন্ধের হুমকি দেয়। এ ব্যাপারকে কেন্দ্র করে গত ২৭/১১/২০২৪ইং দুপুর ১২টায় বিবাদীগন সহ অজ্ঞাত নামা ৫০/৬০ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া একত্র হইয়া আমার ফতুল্লা থানাধীন পাগলা বউ বাজার সাকিনস্থ বাসার সামনে রাস্তায় থাকা আমার ইন্টারনেট বক্স থেকে লাইন কর্তন করার সময় আমি সহ আমার ভাগিনা সোহেল রানা (২৯), আমার ভাই জিতু মিয়া তালুকদার (৪৫), আমার কর্মচারী সাকিল (২৪) একত্র হইয়া বিবাদীগনকে বাধা প্রদান করিলে বিবাদীগন একত্র হইয়া আমাদের এলোপ্যভারি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলামুলা জখম করে।
এ সময় ১নং বিবাদীর সহযোগিতায় ২নং বিবাদী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দ্বারা আমাকে কোপ দিলে আমি ডান হাতে বিবাদীর কোপ ফেরানোয় সে পরিলে চাপাতির কোপ আমার ডান হাতের আঙ্গুলে লাগিয়া গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আমাদের ডাক চিৎকার শুনিয়া আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমাদের উদ্ধার করিয়া গুরুত্বর আহত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালে নিয়া আসিলে বিবাদীগন পুনরায় আমার উল্লেখিত ঠিকানার বাসায় আসিয়া আমার ব্যবসায়ীক ইন্টারনেট লাইন কাটিয়া, ভাংচুর ও লুটপাট করিয়া আনুমানিক সাড়ে ৩লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত করে। ঐ সময় আমার স্ত্রী বেবি (৪৫), আমার ভাই জিতু মিয়া তালুকদার (৪৫), মেয়ে সুমাইয়া (২৭) কে এলোপাতারি মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে এবং ৩নং বিবাদী সহযোগিতায় ৪নং বিবাদী আমার স্ত্রীর গলায় থাকা ৮ আনি ওজনের কানের দুল,আমার মেয়ের গলায় থাকা ১২ আনি ওজনের স্বর্নের চেইন, এবং আমার ভাইয়ের সার্টের পকেটে থাকা ২১ হাজার ৩শত টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ সময় আমার স্ত্রী, ভাই ও মেয়ের ডাক চিৎকার শুনিয়া আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীগন আমার স্ত্রীকে এ বলে হুমকী প্রদান করেন যে, যদি আমি এ ব্যাপারে বেশি বাড়াবাড়ি করি বা কোথাও কোন প্রকার অভিযোগ করি তাহা হইলে আমাদের বাড়ী ঘরে আগুন লাগাইয়া পুড়াইয়া দিবে সহ আমাদের যেকোন মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানি করিবে। এবং আরও বলে যে, আমাকে সহ আমার ভাইদেরকে প্রানে মেরে লাশ গুম ফরিয়া ফেলিবে মর্মে হুমকী প্রদান করে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী আশু জানান,এ ঘটনায় তারা একাধিকবার আমার ইন্টারনেটের গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাদের লাইনগুলো দিচ্ছেন। বিষয়টি আমি ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে অবগত করলে তিনি আমাকে বলেন,আপনি থানা বিএনপির সভাপতি সহিদুল ইসলাম টিটু সাহেবের সাথে যোগাযোগ করেন তিনি সমস্যা সমাধান করে দিবেন। আমি কয়েক দফা টিটু ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করেও কোন সুরাহা পাইনি। এছাড়াও অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো.মোস্তফা কামালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, টিটু ভাই ওসি স্যারের কাছে ফোন দিয়েছেন সমস্যাটুকু সমাধানের জন্য।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো.মোস্তফা কামালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভাই আমি ছুটিতে চলে এসেছি। আমি এ বিষয়টি নিয়ে অভিযোগকারীকে নিয়ে ওসি স্যারের কাছে নিয়ে গিয়েছি। বর্তমানে উক্ত বিষয়টি ওসি স্যার দেখভাল করছেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.শরিফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ নিয়ে থানা বিএনপির সভাপতির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,যেহেতু উভয়ই আমার ভাই-ব্রাদার তাই বিষয়টি আমি সলভ করে দিচ্ছি। টিটু সাহেব আরও বলেন, আমি এখন অসুস্থ তাই আগামী ২/১ দিনের মধ্যে উভয়পক্ষ বসে তা সমাধান কওে দিবেন। ওসি আরও বলেন,যদি তিনি এ সমাধান করতে না পারেন তাহলে অভিযোগকারীর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়গুলো কিভাবে সমাধান করা যাবে পরবর্তীতে আমরা দেখবো।