ষ্টাফ রিপোর্টার:
বিগত প্রায় ১৬ বছর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ব্যানারে রাজনীতির পাশাপাশি ডাকাতিতে বেশ পটু ছিলেন মো.শহিদ হোসেন ওরফে ডাকাত শহিদ। কয়েকটি মামলায় এশাধিকবার জেলও খেটেছেন এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলার দায়ে একাধিক মামলায় আসামীও হয়েছেন তিনি। সেই শহিদ হোসেন ওরফে ডাকাত শহিদ এবার রাতারাতি অর্থের বিনিময়ে ফতুল্লা ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা বনে যাওয়াটা অনেক অবাক করে তুলেছেন রাজনৈতিক বোদ্ধাসহ স্থানীয় সাধারন মানুষকে।
স্থানীয়দের দেয়া তথ্য ও এশাধিক সুত্রে জানা যায় যে, দাপা মসজিদ এলাকার কুখ্যাত এ শহিদ ওরফে ডাকাত শহিদের পরিবারের বেশীরভাগ সদস্যই নানাবিধ অপরাধের সাথে যুক্ত। সে নিজে যুবলীগের ব্যানারে বিগত সময়ে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে লিপ্ত ছিলো। এ কারনে সে কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলও খেটেছেন। তার বড় ছেলে আজমীর ওরফে ডাকাত আজমীর। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে চুরি,ডাকাতি,মাদকসহ এশাধিক মামলা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলার দায়ে করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে ডাকাত আজমীর জেলে রয়েছেন। সে শ্রমিকলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। ছোট ছেলে মো.আসিফ সেই চুরি,ছিনতাই ও মাদক জগতের অন্যতম হোতা হিসেবে সর্বজন পরিচিত। এ সকল অপরাধের দায়ের ইতিপুর্বে আসিফও জেল খেটেছেন। বড়ভাই ডাকাত আজমীরের সাথে সেও শ্রমিকলীগের রাজনীতি করলেও ৫ আগষ্টে পট পরিবর্তনের সাথে সাথে পিতা ডাকাত শহিদের মত সেও ভোল পাল্টিয়ে ২নং ওয়ার্ড যুবদলের নেতা বনে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকে জানান, দিনের আলোতে মাদক বিক্রি আর রাতের আধারে চুরি ও ছিনতাই করা হচ্ছে আসিফের মুল পেশা। রাজনীতির পট পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে টাকার বিনিময়ে অর্থলোভী নামধারী কিছু বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করেই পিতা ডাকাত শহিদ আর ছেলে আসিফ এখন বিএনপি নেতা হয়েছেন। অপেক্ষার তালিকায় রয়েছেন শহিদের আরেক গুনধর পুত্র আজমীর ওরফে ডাকাত আজমীর। তাদের মতে, ডাকাত আজমীর জেল থেকে বের হলে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সেও বিএনপির কোন সংগঠনের সাথে যুক্ত হতে পারে। তারা বলেন,বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী দুঃশাসনামলে আওয়ামী সদস্য ডাকাত শহিদের পরিবারের সদস্যদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ ছিলাম। কিন্তু পট পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেদের খোলস পরিবর্তন করে আবারো বিএনপির ব্যানারে থেকেই আমাদেরকে অত্যাচার করতে এটা নিশ্চিত। বৈষম্যবিরোধীর ছাত্র-জনতার আন্দোলন রুখতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে থেকে পিতা-পুত্র সবাই মিলেই ছাত্র-জনতার উপর অবৈধ অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে ছিলো তারা। সেই ঘটনায় একাধিক মামলার আসামীও হয়েছেন ডাকাত শহিদ ও তার বড় ছেলে ডাকাত আজমীর। তারা আবার কিভাবে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হয় তাদের আমাদের কারোর বোধগম্য হচ্ছেনা। তবে টাকার উপর নির্ভরশীল হয়েই অর্থলোভী নামধারী বিএনপির নেতারা ডাকাত শহিদের মত অপরাধীকে বিএনপির রাজনীতি করার লাইসেন্স দিচ্ছেন?
ফতুল্লা থানা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবী, দাপা এলাকার ডাকাত পরিবারের সদস্য শহিদ হোসেন ওরফে ডাকাত শহিদ এবং তার ছেলে ছিনতাইকারী আসিফকে দ্রুত বিএনপির রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে থানা বিএনপির সভাপতি-সেক্রেটারী এবং জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।