ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসীদের গড ফাদার আজমেরী ওসমানের সেকেন্ড ইন কমান্ড ফতুল্লার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী নাসির ওরফে নোয়াখাইল্লা নাসিরের অন্যতম প্রধান দুই সহযোগী ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ কারী সন্ত্রাসী সামাদ খানও ক্যাসিনো সম্রাট মাহিদ আহমেদ সাগর এখনো প্রকাশ্যে।
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর প্রথম কয়েকদিন সন্ত্রাসী সামাদ ও ক্যাসিনো সম্রাট সাগর গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও এখন প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুধু তাই নয়, গুলি বর্ষণের ঘটনায় কেউ মুখ খুললে তাদের দেখে নেয়ার হুমকি-ধমকিও দিচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,আজমেরী ওসমানের সেকেন্ড ইন কমান্ড নাসির ওরফে নোয়াখাইল্লা নাসিরের সাথে আতাত করে প্রথমে ফতুল্লার সস্তাপুর ও কোতালেরবাগ সহ বিভিন্নস্থানে চাদাঁবাজি শুরু করে এ সন্ত্রাসী সামাদ ও ক্যাসিনো সম্রাট সাগর। শুধু তাই নয় অবৈধ ভাবে নিরীহ মানুষের জমি দখল করা ছিলো তাদের প্রধান কাজ। মাদক কারবারি থেকে শুরু করে চোরাই রিক্সা কারবারি করতেন এই দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী। অবৈধ এইসব কারবারি করে রাতারাতি বনে যায় কোটি পতি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান,সন্ত্রাসী সামাদ ও ক্যাসিনো সম্রাট সাগরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো স্থানীয়রা। যেকোন বিষয়ে আজমেরী ওসমান ও নাসিরের নাম ব্যবহার করে সাধারন মানুষকে নাজেহালে অভ্যস্ত ছিলো তারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাংসদ শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান এবং ভাতিজা আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে নিরস্ত্র ছাত্র জনতার উপর অস্ত্র হাতে নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিলো এ সন্ত্রাসী সামাদ ও ক্যাসিনো সম্রাট সাগর। সে সময় আজমেরী ওসমানের কাছ থেকে নেয়া অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর বৃষ্টির মত গুলিবর্ষন করা হয়েছিলো। ৫ আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী সৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে তার সাথে আজমেরী ওসমান ও নাসির পালিয়ে গেলেও তারা কিছুদিনের জন্য চলে যায় আত্মগোপনে। কিন্তু এখন আবার প্রকাশ্যে দিব্বি ঘুরে বেরাচ্ছেন তারা।
কিন্তু স্থানীয়রা জানান, গোপনে নাকি সন্ত্রাসী সামাদ খান ও ক্যাসিনো সম্রাট মাহিদ আহমেদ সাগর এলাকাতে প্রবেশ করে আজমেরী ওসমান ও নাসিরের নাম ব্যবহারকরে আবারও সাধারন মানুষকে ভীতি দেখাচ্ছেন এবং জেলা পরিষদ এলাকার সাধারণ ঝুট ব্যবসায়ীদেরকে কাছ থেকে টাকা চাচ্ছেন বলে নাম প্রকাশে অনেক ক্ষুদ্র ঝুট ব্যবসায়ী জানান।
স্থানীয়দের দাবী, আজমেরী ওসমান ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড নাসিরের একান্ত দুই সহযোগি সন্ত্রাসী সামাদ খান ও ক্যাসিনো সম্রাট মাহিদ আহমেদ সাগরকে দ্রুত গ্রেফতার করা হলে আজমেরী ওসমানের অস্ত্রভান্ডারের সন্ধানও পাওয়া যাবে। তাই তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান তারা।