স্টাফ রিপোর্টারঃ ২০০৯ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে দীর্ঘ ১৬ বছর কুতুবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ অনেক নেতার ছত্রছায়ায় কুতুবপুরে ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছিলেন বিএনপি ও যুবদলের নামধারী পরিচয়দানকারী লিখন ওরফে মাদক ব্যবসায়ী লিখন।
কুতুবপুরে আওয়ামী লীগের অনেক সন্ত্রাসের সাথে হঠাৎ করে নিজেকে সন্ত্রাসের খাতায় নাম জড়িয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের জমি জমা দখল, চাঁদাবাজি, লুটপাট এমনকি কুতুবপুরে মাদকের স্বরাজ্য গড়ে তুলেছিলেন এই লিখন। নিজেকে সন্ত্রাসী খাতায় নাম লেখাতে এবং মাদকের গডফাদার বানাতে আওয়ামী লীগের অনেক বড় নেতাদের সাথে আঁতাত এবং ছত্রছায়ায় তাদের বাসায় বসবাস করতেন এই লিখন। নাম না বলতে ইচ্ছুক কুতুবপুরে অনেক বিএনপি নেতারা এই বলেন লিখন আসলে কবে বিএনপি করেছে সেটা আমাদের মনে নেই, কোন রাজনীতিক সভা সমাবেশে মিছিলেও বিগত ১৬ বছরে লিখনের কোন ভূমিকা ছিল না। কুতুবপুরে হত্যা, মাদক নিয়ে মারামারি কিশোর গ্যাংবাহিনীর আধিপত্য বিস্তার এর মূলহো ছিল লিখনের ভাগিনা আবির সহ তার ভাইয়ে। লিখনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায়, কদমতলী এবং তার আশপাশের থানা গুলোতে রয়েছে হত্যা, চাঁদাবাজি অস্ত্রসহ মাদকের একাধিক মামলা।
সব শেষ ২০১৮ সালে কুতুবপুরের আদর্শ নগর, শহীদ নগর, মুন্সিবাগ, শরীফবাগ, নিশ্চিন্তপুর,নুরবাগ সহ আশপাশের এলাকায় লিখন যেন এক আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সাধারণ মানুষ বাহির থেকে এসে এলাকায় জমি ক্রয় করলে সেখানে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করতেন এই লিখন, তার সাথে জড়িত ছিল কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকের ভাই আব্দুল মালেক মুন্সী। সব মিলিয়ে খালেক মালেকের পরে তৃতীয় স্থানে শহীদ নগর ও আশপাশের এলাকাগুলোর ত্রাস ও সন্ত্রাস এবং মাদকের রাজ্য পরিণত করে ছিলো লিখন। একে পর এক অভিযোগ,মামলা,হামলার পর প্রশাসনের টনক নাড়তে শুরু করেন একের পর এক অভিযোগ মামলা সহ নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার তথা র্যাব বাহিনী কাছে অভিযোগ করতে থাকে লিখনের বিরুদ্ধে। প্রশাসনর কাছে সন্ত্রাসী ও মাদকের গডফার লিখনকে গ্রেফতারের দাবি জানালে প্রশাসন সাধারণ মানুষের শান্তি জন্য সন্ত্রাস নির্মূলে কুতুবপুরে সাড়াশি অভিযান চালায়। ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে মুন্সিবাগে কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা নোমানের বাড়ি থেকে কুতুবপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী তৎকালীন মাদকের গডফাদার লিখন কে গ্রেফতার করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশ। আর এরপরেই কুতুবপুরে সাধারণ মানুষের মনে লিখনের গ্রেপ্তার এর খবর শুনে স্ততি ফিরে আসে, তবে তখনকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং পোস্টার এর মাধ্যমে লিখনের ফাঁসি এবং ক্রসফায়ারের দাবি করেন কুতুবপুরের সাধারণ মানুষ। লিখন কে দমাতে কুতুবপুরে মাদক সন্ত্রাস থেকে নির্মূল করতে পুনরায় লিখনকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশ তার দেওয়া তথ্যমতে নিশ্চিন্তপুর এলাকায় মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে যান। সেখানে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশ, খবর পেয়ে লিখনের বাহিনী নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় পরক্ষরিক উল্টো হামলা করতে গেলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায় গুলির একপর্যায়ে লিখনের পায়ে একটি গুলিবিদ্ধ হয় পরবর্তীতে লিখন কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিখনের পাঁ কেটে ফেলা হয়। এই ঘটনাকে পুঁজি করে ৫ ই আগস্টের পর ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নিজেকে বিএনপির ও যুব দলের কর্মী পরিচয় দিয়ে কুতুবপুরের এক সময় ত্রাস মাদক ও সন্ত্রাসের গডফাদার লিখন এখন পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন তিনি নাকি দরবেশ ছিলেন।
তবে কুতুবপুরের সাধারণ মানুষ দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগ আমলে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী লিখন কাছে সাধারন মানুষ নির্যাতিত হয়েছিল সেভাবে আওয়ামী লীগের পেটুয়া বাহিনীর সাথে লিখন মিলে সাধারণ মানুষকে যেভাবে নির্যাতন করেছিল, সেভাবেই নির্যাতন করতে এলাকায় নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে আবারো মরিয়া হয়ে প্রশাসনকে হুমকির মুখে ফেলতে চাচ্ছেন এই সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী লিখন। তবে দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশ যারা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বিএনপির যে নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে এলাকায় রাজত্ব করেছেন তারা কখনোই দলে ফিরতে পারবেন না এরি ধারাবাহিকতায় পাঁচে আগস্ট এর পরেও তারেক রহমান করা হুংকার দিয়ে বলেছিলেন। যারা দলের বদনাম করে লুটপাট সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি মাদকের সাথে জড়িত তাদেরকে ধরে হাত-পা ভেঙে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। লিখন কুতুবপুরের ত্রাস সন্ত্রাসী মীর হোসেন মিরু ও কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক এর অন্যতম সহযোগী হিসেবে কুতুবপুরে ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছিলেন। লিখন নুরবাগ এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে লিখনের আরো চার ভাই রয়েছে, মঞ্জু,বাবু,লিমন,।লিখুন তার এই চার ভাই ভাগিনা আবিরকে নিয়ে বিগত দিনে আওয়ামী লীগের স্বকীয় রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন লিখন। এখন আবার সে ভাগিনা এবং ভাই এলাকার অধিকাংশ মাদক ব্যবসায়ীকে নিয়ে এলাকায় গড়ে তুলেছেন পাশের রাজত্ব এবং মাদকের স্বরাজ্য কুতুবপুরে নিশ্চিন্তপুর, শহীদ নগর মুন্সিবাগ, আদর্শ নগরের মানুষ এখন আবার এই সন্ত্রাসী ও মাদকের গডফাদার লিখনের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। তাই নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের এলাকায় তদন্ত করে এই সন্ত্রাসের ত্রাসের রাজত্ব থেকে কুতুবপুর কে মুক্ত করতে এবং মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে এদেরকে আবারও পুনরায় গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন কুতুবপুরের সাধারণ মানুষ।