ষ্টাফ রিপোর্টার:
অপারেশন ডেভিল হান্ট চলাকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসররা অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে, আবার অনেকে গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
তবে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার রামারবাগের কিশোর গ্যাং লিডার রবি বীরদর্পে প্রকাশ্যে এলাকার ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমন কি তিনি বিএনপির নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে এখন বিএনপি নেতা বনে যাওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত গডফাদার শামীম ওসমানের আস্থাভাজন সেকেন্ড ইন কমান্ড মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদলের সহচর রামারবাগ এলাকার মৃত লালু মুন্সির ছেলে রবি পূর্বের ন্যায় আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, ফতুল্লা রামারবাগ এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার রবি আওয়ামী সরকারের আমলে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কায়েম করে কিশোর গ্যাং দ্বারা অত্র এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করেছে। ঐসময় মাদকাসক্ত কিশোর গ্যাংয়ের যন্ত্রণায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা ঠিক মতন বেতন নিয়ে বাসায় ফিরতে পারে না। ছেলে-মেয়ে এমনকি ভাই-বোনও একসাথে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারতো না। এই কিশোর গ্যাংয়ের দৃষ্টিগোচর হলে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে মারধর করে ছিনিয়ে নিয়ে যেতো সাথে থাকা অর্থকড়ি, মোবাইল ফোন সহ মূল্যবান সামগ্রী।
তাদের কে নির্জনে নিয়ে খারাপ অপবাদ দিয়ে টাকা দাবী করতো। এমনকি অনেক নিরীহ মানুষের পকেটে মাদক দিয়ে নির্যাতন করে এবং পরবর্তীতে গ্রামের আতœীয়-স্বজনদের কাছ থেকে বিকাশ যোগে টাকা নিয়ে তাদেরকে মুক্তি দিতো।
এমনকি ৪ ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চাষায়া থেকে শামীম ওসমান সহ তার বাহিনী বিশ্বরোড দিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করার সময় তাদের সাথে উপস্থিত ছিল আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী রবি।
এরপরে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর কিশোর গ্যাং লিডার রবি এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। কিছুদিন গা-ডাকা দিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে এলাকায় ফিরে এসে প্রকাশ্যে তার অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।
আওয়ামী দোসর বহু অপকর্মের হোতা রবিকে ডেভিল হান্টের অভিযানে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাই রবিকে আইনের আওতায় নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছেন এলাকার সচেতন মহল।