পুড়িয়ে দেয়ার ১০ মাস পর নানা প্রতিবন্ধকতা শেষে ফের নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস চালু হলো পুরোদমে। ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই রাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার পর থেকে পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম ছিলো এতোদিন বন্ধ।
আজ রোববার (৪ মে) দীর্ঘ ১০ মাস পর নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম শুরু হলো। গত ৩০ এপ্রিল (বুধবার) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
আজ রোববার সকাল থেকে পূর্বের ন্যায় জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডে পাসপোর্ট অফিসে এসে আবেদনপত্র জমা, ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে পারছেন পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা।
নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপ-পরিচালক মো. জামাল হোসেন।
নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের সংশিষ্ট নির্ভরশীল সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ এই পাসপোর্ট কার্যালয় আরো কয়েক মাস পূর্বে চালু করা যেতো। কিন্তু নগরীর কুখ্যাত আলী হায়দার শামীম ওরফে পিজা শামীমের পুত্র নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (ই/এম) জুবায়ের বিন হায়দারের চরম দূর্ণীতির কারণে কয়েক মাস বিলম্বিত হয়েছে এই পাসপোর্ট অফিসের সংস্কার কাজ। বিগত সরকারের শাসনামলে ওসমান পরিবারের অন্যতম দোসর আলী হায়দার শামীম ওরফে পিজা শামীমের পুত্র গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (ই/এম) জুবায়ের বিন হায়দার লুটপাটের মহোৎসব অব্যাহত রাখেন দীর্ঘ কয়েক বছর। ৫ আগষ্টের পর ওই একই ধারাবাহিকতায় মোটা অংকের কমিশন নিয়ে একজন নির্দিষ্ট ঠিকাদারকে কাজ দেয়ার জন্য দূর্ণীতির আশ্রয় নেন জুবায়ের বিন হায়দার। যার কারণে জুবায়ের বিন হায়দারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পরলে দ্রুত নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ থেকে প্রকৌশলী (ই/এম) জুবায়ের বিন হায়দারকে গণপূর্ত ই/এম বিভাগ ৯ ঢাকায় বদলী করা হয়।
বদলীর পরও এই পিজা শামীম পুত্র নির্বাহী প্রকৌশলী (ই/এম) জুবায়ের বিন হায়দার এখনো নানাভাবে নারায়ণগঞ্জের
গণপূর্ত থেকে লুটপাট চালাতে দৌড়ঝাপ চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলের কয়েক বছর অনৈতিক সুবিধায় কোটি কোটি টাকার লুটপাট চালিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছও বনে গেছেন এই পিজা শামীমপুত্র জুবায়ের ।
এই জুবায়ের বিন হায়দারের বিস্তারিত অপকর্মে ফিরিস্তি সংরক্ষিত রয়েছে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর দপ্তরে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই রাতে এক বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দুষ্কৃতকারীরা নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিতরণের অপেক্ষায় থাকা প্রায় আট হাজার পাসপোর্ট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় গ্রাহকদের। শুধু তাই নয়, পুরো অফিস ভবনটিই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং আগুন প্রায় পুরোটা দিন ধরে জ্বলতে থাকে।
সুত্র: নারায়ণগঞ্জ আপডেট নিউজ