ষ্টাফ রিপোর্টার:
মেহেদী হাসান জুয়েল যিনি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন, সবাইকে ভয় দেখাতেন নারায়ণগঞ্জের সাবেক গডফাদার খ্যাত এমপি শামীম ওসমানের ছেলে জেলাজুড়েই বিভিন্ন অপকর্মকারীদের অন্যতম হোতা,ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পিতাকে পাশে রেখেই প্রকাশ্যে গুলিবর্ষনকারী অয়ন ওসমানের আস্থাভাজন হিসেবে। ৫ আগষ্টে গুরু অয়ন ওসমান পালালেও পালাতে হয়নি জুয়েলকে। গুরু অয়ন ওসমান মামলার ভয়ে পালাতে পারলেও পালাতে হয়নি মেহেদী হাসান জুয়েলকে।
ফতুল্লার শীর্ষ এক নেতার দুই সহযোগী মুতু ও ইউনিয়ন যুবদল নেতা আক্তার এর আপন ছোট ভাই হচ্ছেন মেহেদী হাসান জুয়েল। জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলীর অন্যতম সহযোগী ৫ আগস্ট এর ছাত্র হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি এ জুয়েল। ৫ আগষ্টের পর নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগের সবাইকে এলাকা ছাড়তে হচ্ছে দিব্ব্যি প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। যার মুলে রয়েছেন তার আপন দুইভাই মুতু ও আক্তার।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অনেক এলাকাবাসী জানান, বিগত স্বৈরাচারী আমলে জুয়েলরা ছিলো অত্র এলাকাতে আতংকবাজ। এমপি পুত্রের আস্থাভাজন হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়ালেও সে সময় কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি। জুলাই-আগষ্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফতুল্লার প্রত্যন্ত এলাকায় নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর হামলা করেও প্রকাশ্যে থাকাটা অনেকেই আড় চোখে দেখছেন। এত অপরাধ করেও এখনও প্রকাশ্যে এলাকাতে ঘুরাফেরা করছেন জুয়েল তার দুইভাই বিএনপি নেতা হওয়ার বদৌলতে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মামলার আসামী হয়েও কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় তা আমাদের কারোর বোধগম্য হয়না। অথচ মিছিল না করেও প্রায় মাসখানেক পুর্বে একই এলাকার কয়েকজন যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছিলো বলে জানান স্থানীয়রা। অথচ মামলার আসামী হয়েও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের রাজনীতিতে যুক্ত দুই ভাইয়ের শেল্টারে এখনো ফতুল্লায় দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর এ দৃশ্য ফতুল্লা থানা পুলিশ দেখেও না দেখার ভান ধরে বসে আছেন।
তারা অনতিবিলম্বে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মামলার আসামী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দোসর মেহেদী হাসান জুয়েলকে গ্রেফতারের দাবী জানান।