আড়াইহাজারে চিহ্নিত ডাকাত সফুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা বুধবার দিবাগত রাতে মাহমুদপুর ইউনিয়নের জোকারদিয়া গ্রামে ইউপি সদস্য সাত্তারসহ তিনজনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালায়, আটটি গরু লুট করে নেয় এবং কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায়। পরে মরদাসাদী গ্রামে নিয়ে গিয়ে দুটি গরু জবাই করে ভুরি ভোজে অংশ নেয় হামলাকারীরা। ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে, কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না, এমনকি থানায় অভিযোগ দিতেও ভয় পাচ্ছে ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয়রা জানান, জোকারদিয়া এলাকার চিহ্নিত ডাকাত সফু একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি হলেও দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সন্ত্রাসীদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে পারে বা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে—এই আশঙ্কায় সে এই পরিকল্পিত হামলা চালায়।
হামলায় জয়নাল ও কামালের বাড়িতে হানা দিয়ে সন্ত্রাসীরা জয়নালের দুটি, কামালের দুটি এবং জামালের চারটি গরু লুট করে নিয়ে যায়। পরে ইউপি সদস্য সাত্তার, স্থানীয় বাসিন্দা শাহাদাত ও বাবুলকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় সফুর বাড়িতে এবং সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। আহতদের ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গরুগুলো মরদাসাদী গ্রামে নিয়ে গিয়ে দুইটি জবাই করে তারা ভোজের আয়োজন করে। এ ঘটনার পর জোকারদিয়া গ্রামে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ কাজকর্মে যেতে পারছে না, অনেকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, “ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সন্ত্রাসী সফু ও তার বাহিনীর দমন না হলে এ ধরনের হামলা আবারও ঘটতে পারে। তবে আতঙ্কের কারণে অনেকেই প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি নন।