ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, দৈনিক শিক্ষায় প্রকাশিত নিউজে বলা হয়েছে, “শরিফ-শরীফার গল্পে নাকি কোন ভুল পাওয়া যায়নি। কিছু শব্দ হয়ত পরিবর্তন করা যেতে পারে”। অথচ ওখানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, “ছোট বেলায় ছেলে-মেয়েতে কোন পার্থক্য নেই”। এই বাক্যে সুস্পষ্ট ট্রান্সজেন্ডার এর দিকে ইঙ্গিত দেয়। আমরা থার্ড জেন্ডার এর পক্ষে তবে ট্রান্সজেন্ডার এর বিপক্ষে।এই গল্পে থার্ড জেন্ডার এর কথা বলা হলেও ট্রান্সজেন্ডারকে সুকৌশলে প্রমোট করা এবং কোমলপ্রাণ শিশু-কিশোরদের মনে জেন্ডার সম্পর্কে বিভ্রান্তের বীজ বপন করা হয়েছে।
আজ সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ ও সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ এক যুক্ত বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশব্যাপী প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। এমতাবস্থায় প্রচন্ড তাপদাহে বেশি বেশি তওবা ইস্তেগফার করে কৃত গোনাহের জন্যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ার কাছে তওবা করতে হবে। তিনি কুরআনের আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আল্লাহ পাক সূরা রূমের ৪১ নং আয়াতে বলেছেন, ‘জলে স্থলে সমস্ত বিপর্যয় মানুষের দু’ হাতের কামাই।’ আগুন, খরা, বন্যা এগুলোকে আমি বিপর্যয় মনে করি। জলবায়ু ও আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন মানবসভ্যতার জন্য এক অশনিসংকেত। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, বরফ গলে যাওয়া এবং ওজোনস্তরের ফুটো বা ফাটল সভ্যতার ধ্বংসের কারণ হতে পারে। সামাজিক ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, জল-স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল। (আল-কোরআন, সুরা-৩০ রুম, আয়াত: ৪১)।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, দেশের অবস্থা ভালো নয়। দুর্নীতি দুঃশাসন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। কিশোর গ্যাং-এর কবলে দেশের মানুষ। এই কিশোর গ্রাং একদিনে সৃষ্টি হয়নি। তিনি বলেন, অবাধে মাদক বিক্রি, সরবরাহ এবং পাঠ্যসূচি থেকে ইসলামী শিক্ষা তুলে দেয়ায় দেশের এই অবস্থা। তিনি বলেন কিশোর গ্যাংসহ যে কোন অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে শিক্ষার সকলস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতা মূলক করতে হবে। তিনি ফরিদপুরের মধুখালী ডোমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে দুই ভাই আরশাদুল ও আশরাফুলকে পিটিয়ে হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান।