ষ্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুর করেছে মোকশেদ আলীর নেতৃত্বে দূর্বৃত্তরা। এ অভিযোগ করেছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য হালিম মাাতবর।
মঙ্গলবার (১৩ আগষ্ট) বিকালে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন,গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র – জনতার গন আন্দোলনে বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করে পালিয়ে ভারত আশ্রয় নেন।
সেদিন রাতেই আনন্দ বাজারে আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করে দূর্বৃত্তরা।
অফিস টি নিয়ন্ত্রণ করতেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সদস্য সিদ্দিকুর রহমান, তার পুত্র বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার ও আওয়ামী লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন বাঁধন।
কৃষক দল নেতা হালিম মাতবর বলেন,৫ আগষ্ট সিদ্দিকুর রহমানের একনিষ্ঠ অনুসারী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সুদখোর মোকশেদ আলী আমাকে রাত সাড়ে ১০ টা কি ১১ টায় ফোন করে বলে আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করতে বলে। আমি সে কাজ করতে নিষেধ করি। যার কললিষ্ট চেক করলে পাওয়া যাবে। আমি সন্ধ্যা পর্যন্ত আনন্দ বাজার ছিলাম। পরে আমি আমার শহরের বাসায় চলে আসি।
সেদিন রাত ১১ টা কি সাড়ে ১১ টা হবে সুদখোর মোকশেদ আলীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করে আমার উপর এর দায় দিতে চায়। অথচ আমি পরে ভাংচুর করার খবর পাই। মোকশেদ আলীর সুদের টাকা দিতে না পারায় জসিম ফকির তার অত্যাচারে এলাকা ছাড়া রয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার, ইদ্রিস মাদবর,আলমগীর, কুদ্দুস মাদবর বলেন,এ ঘটনার সাথে হালিম মাদবর জড়িত নয় তিনি জানেননা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। এটা মোকশেদ আলীর নেতৃত্বে দূর্বৃত্তরা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।