স্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নের রূপকার, জনদরদী,বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক আলহাজ্ব মুহাম্মদ জাকির হোসেন।
জাকির হোসেন এলাকাবাসীর স্বার্থে তিনি নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন।
ইউপি নির্বাচনের নৌকা প্রতীক লাভের ব্যাপারে জানা গেছে চ্যাঞ্চল্যকর তথ্য।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক পান আওয়ামী লীগ থেকে মতিউর রহমান মতি।
কিন্তু সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ জাকির হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলে নৌকা প্রতীক ছেড়ে এলাকা থেকে চলে যান মতিউর রহমান মতি।
কারণ হিসেবে জানা যায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জাকির হোসেন নির্বাচন করলে তার ব্যাপকভাবে ভরাডুবি হবে। পরে এলাকাবাসীর অনুরোধে ও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে ২০২২ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হন জাকির হোসেন।
একটি সূত্র হতে জানা যায়, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের সেলিম ওসমানের নির্বাচনী ক্যাম্প পোড়ানো মামলায় আলহাজ্ব মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে ২০১৮ সালের আওয়ামী লীগ থেকে জাকির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে জাকির হোসেন চেয়ারম্যান কিভাবে আওয়ামী লীগের কর্মী হন। জাকির হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আলীরটেক ইউনিয়নের দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের ফেরীচালু সহ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড পরিলক্ষিত হয়। একটি কুচক্রী,সুযোগসন্ধানী মহল মিথ্যা প্রচারনা চালাচ্ছে যা আলীরটেক ইউনিয়নের মানুষ সফল হতে দিবেনা।
আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিএনপি’র একনিষ্ঠ কর্মী, দলের নেতা কর্মীদের প্রাণ আলহাজ্ব মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে বিএনপি’র কর্মী বানিয়ে তৎকালীন সরকারের আমলে নানানভাবে হয়রানি করা হয়।
আমরা আমাদের প্রাণপ্রিয় জাকির হোসেন কে বিএনপির সব কাজে সবসময় কাছে পেয়েছি। উনি যখনই সময় পান আমাদেরকে সুপরামর্শ দিয়ে দলের কার্যক্রমে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। নৌকা প্রতীক নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরও বিএনপি নেতাকর্মীরা শান্তিতে বসবাস করতে পেরেছে। কোন হয়রানি হয়নি। এমনকি বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা বিচার শালিসের মাধ্যমে সমাধান করেছেন। কোর্টে যেতে দেননি। অথচ তাকে গত সরকারের আমলে বিএনপি জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক বানিয়ে নানান ভাবে হয়রানি করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।
ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জুলহাস বলেন,বিএনপির রাজনীতি ও আলীরটেকের উন্নয়ন করতে গিয়ে আলহাজ্ব মুহাম্মদ জাকির হোসেন চেয়ারম্যানকে জেল খাটিয়েছে মতিউর রহমান মতি। আমাকে, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান,ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ হোসেন,শাহীন সরকার সহ বিভিন্ন নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেয়া হয়। তারপরও কর্মী ও এলাকাবাসীর স্বার্থে তিনি তা মাথা পেতে সহ্য করে গেছেন গনমানুষের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ জাকির হোসেন।