জাগো নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ফরাজীকান্দা এলাকায় জোড়পুর্বক জমি দখলের ঘটনায় আদালতে চার্জসীট জমা দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক সৈয়দ রুহুল আমিন। গত ১৩ মার্চ ২০২৪ইং তারিখে আদালতে তার চার্জসীট জমা দেন। চার্জসীটে উক্ত ঘটনার পুরো বিবরনী উল্লেখ করেন তিনি।
চার্জসীটে জানা যায়, বন্দর থানাধীন ফরাজিকান্দা নামচর মৌজাস্থিত নিজ দখলীয় সি.এস ও এসএ দাগ নং-২০,আরএস-৩ ও ৪ নং দাগে ৬৬ শতাংশ সম্পত্তি নিয়া মামলার আসামি রায়হান জাদা রবি (৪০) এর সাথে গন্ডগোল বিদ্যমান। তার ফলে গত ১৫/০৩/২০২৩ খ্রি: রাত অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামি আলী হায়দার হক শামীম (৬০) তাহার সহযোগী অন্যান্য আসামিদেরকে নিয়া বাদীর বাড়িতে গিয়া নানা ধরনের হুমকি ধমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে ১৬/০৩/২০২৩ তারিখ দুপুর অনুমান ১১.৩০ ঘটিকায় বাদীর ভাই পারভেজ সহ বাদী লোক মারফত জানিতে পারে তাদের বর্ণিত উক্ত সম্পত্তি মামলার এজাহার নামীয় সকল আসামি সহ উপরোক্ত ধৃত আসামিগণ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হইয়া জোর পূর্বক দখলের জন্য আসিয়াছে। বাদীর ভাই জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল করে এবং বাণীর ভাবী আবিদা সুলতানা সোমা (৩৬) ঘটনাস্থলে গেলে মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামি আলী হায়দার ওরফে পিৎজা শামীম তাহার চুলের মুঠি ধরিয়া মারধর করে, ৮নং আসামি উৎসব (৪০) তাহার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা বারি মারিয়া বাদীর ভাবীর বাম পায়ে হাড় ভাঙ্গা জখম করে ও ৭নং আসামি আমির হোসেন তাহার হাতে থাকা চাপাতি দিয়া বাদীর ভাবীর মাথায় কোপ মারিয়া মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। সংবাদ পাইয়া বাদী, বাদীর ভাই, আত্মীয় স্বজন, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি সহ ঘটনাস্থলে গেলে ধৃত আসামিগণ সহ অন্যান্য আসামিরা আরো ক্ষুদ্ধ হইয়া ১নং আসামি আলী হায়দার ওরফে পিৎজা শামীম ও ৪নং লাল আসামি মামুন (৪৮) তাহাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা বাদীর ভাই মঈনুল হক পারভেজ কে লক্ষ করিয়া এলোপাথাড়ি গুলি করে রক্তাক্ত জখম করে। তাহাদের গুলি বাদীর ভাই মঈনুল হক পারভেজ এর বাম পায়ে লাগিয়া মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয়। সকল আসামি বাদীর ভাবী, বাদী সহ বাদীর লোকজনদের দেশীয় অস্ত্রদ্বারা মারধর করে। এজাহার নামীয় ৩, ৯ ও ১০নং আসামি বাড়ির রান্না ঘরে আগুন লাগাইয়া দেয় ও এজাহার নামীয় ২, ৫, ৬ ও ১১নং আসামিরা বাদীদের বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙ্গিয়া ৪,০০,০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন করে। পরবর্তীতে বাদী ও তাহার লোকজনের ডাক চিৎকারে আশপাশের জিলোকজন আগাইয়া আসিলে আসামিরা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাইয়া চলিয়া যায়। আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের দখলীয় সম্পত্তি জোর পূর্বক দখলের জন্য ঘটনাস্থলে যায় এবং দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা বাদীর ভাই ও ভাবীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মক জখম প্রাপ্ত করে। বাদী বর্ণিত এজাহার দায়ের করিলে অফিসার ইনচার্জ, বন্দর থানা মামলাটি। জ্ব করিয়া ইহার দায়িত্বভার পুলিশ পরিদর্শক/ মো: তছলিম উদ্দিন সাহেবের উপর অর্পন করেন।
মো: তছলিম উদ্দিন মামলার তদন্তভার গ্রহন করিয়া সরেজমিনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া সূচীসহ মানচিত্র অংকন করেন। আলামত জব্দ করেন। প্রাপ্ত সাক্ষীদের জবানবন্দি কা:বি: ১৬১ ধারা মতে লিপিবদ্ধ করেন এবং সোর্স নিয়োগ করেন। ঘটনা সংশ্লিষ্ট আলামত জব্দ করেন। এজাহার নামীয় ও তদন্তে প্রাপ্ত আসামী মিলে মোট ১৮ জন আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেন। কতক আসামীদের পুলিশ রিমান্ডে প্রাপ্ত হইয়া জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সোর্স নিয়োগ করেন। তাহার তদন্তকালে মামলাটি পুলিশ সুপার, নারায়ণ গঞ্জ কার্যালয়ের স্মারক নং-অপরাধ/২০২৩/২১০৫/অপর কান্দল ২২/০৩/২০২৩ খ্রি: মুলে জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তরিত হওয়ায় মামলার ডকেট অফিসার ইনচার্জ, ডিবি সাহেবের নিকট হস্তান্তর করেন। । হাওলামতে আমি তদন্তভার গ্রহন করি। মামলার তদন্ত ভার গ্রহন করিয়া ঘটনাস্থল পুন: পরিদর্শন করি। প্রাপ্ত সাক্ষীদের জবানবন্দি কা:বি: ১৬১ ধারা মতে লিপিবদ্ধ করি। সন্দিগ্ধ আসামী নুরুজ্জামান কে অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন প্রেরন করি। সোর্স নিয়োগ করি। তদন্তকালে এজাহার নামীয় আসামীরা বিজ্ঞ আদালত হইতে জামিনে মুক্তি লাভ করে। জখমীর ডাক্তারী এমসি সংগ্রহ করি। ডাক্তারী এমসি বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করি। সাক্ষীদের হাজির করার জন্য বাদীকে সহ মামলার জখমীকে নোটিশ প্রদান করি। মামলার ঘটনার বিষয়ে প্রকাশ্য ও গোপনে তদন্ত করি।
তদন্তকালে জানা যায় যে, বন্দর থানাধীন ফরাজিকান্দা নামচর মৌজাস্থিত নিজ দখলীয় সি.এস ও এসএ দাগ নং-২০, আরএস-৩ ও ৪ নং দাগে ৬৬ শতাংশ সম্পত্তি নিয়া আসামি রায়হান জাদা রবি এর সাথে বাদী সহ তাহার পরিবারের লোকজনদের পূর্ব হইতেই বিরোধ চলিয়া আসিতেছিল। যাহার জের ধরিয়া ইতিপূর্বে অত্র মামলার বাদীর ভাই মইনুল হক পারভেজ বাদী হইয়া আসামী আলী হায়দার শামীম ওরফে পির্জা শামীম, আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ, রায়হান জাদা রবি দের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে পিটিশন মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ আরো তীব্রতর আকার ধারন করে। আসামীরা প্রায়ই বাদীকে সহ তাহার পরিবারের লোকজনদের হুমকি ধামকি প্রদান করে। যাহার জের ধরিয়া ইং ১৫/০৩/২০২৩ খ্রি: রাত অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় আসামি আলী হায়দার শামীম, নূর মোহাম্মদ, রায়হান জাদা রবি, মামুন, মনির হোসেন মনা, কবির, আমির হোসেন, উৎসব, মুকিত, মুহিদ, পাঠান রনি সহ আরো কয়েকজন আসামী বাদীর মিলে বাদীর বসত বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া বাদী সহ তাহার পরিবারের লোকজনদের নাম ধরিয়া গালিগালাজ করে এবং জাম, হুমকি ধামকি প্রদান করে। পরবর্তীতে ইং-১৬/০৩/২৩ তারিখ বেলা অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় আসামি আলী হায়দার শামীম এর নেতৃত্বে আসামী নূর মোহাম্মদ, রায়হান জাদা রবি, মামুন, মনির হোসেন মনা, কবির, আমির হোসেন, উৎসব, মুকিত, মুহিদ, পাঠান রনি, সিয়াম হোসেন, রনি, মেহেদী হাসান অনয়, আবু তাহের, মুন্না খান, হাসানুর রহমান আবির, রুবেল, রাশেদুল ইসলাম মুন্না, জুয়েল, মোমিন, মো: সজিব, মো: ইমরান, সুমন, সিকান্দার, নুরুজ্জামান সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন আসামীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র সহ আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বাদীদের দখলীয় বর্নিত জমিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া জমি জবর দখলের চেষ্টা করে। সংবাদ পাইয়া বাদীর ভাবী আবিদা সুলতানা সোমা ঘটনাস্থলে গেলে আসামি আলী হায়দার ওরফে পিৎজা শামীম তাহার চুলের মুঠি ধরিয়া টাকা হেচড়া করিযা তাহাকে আহত করে। আসামী উৎসব তাহার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা বারি মারিয়া বাদীর ভাবীর বাম পায়ে হাড় ভাঙ্গা জখম করে। সংবাদ পাইয়া বাদী, বাদীর ভাই মাইনুল হক পারভেজসহ বাদীর চাচা মাহবুবুর রহমান, আত্মীয় সজিব, প্রতিবেশী বিল্লাল হোসেন গন সেখানে যাইয়া আসামীদের বাধা দিলে আসামি আলী হায়দার শামীম ওরফে পিৎজা শামীম এর নেতৃত্বে আসামী নূর হোমামাদ, রায়হান জাদা এবাসন মুহিন, পাঠান খনি, সিয়াম হোসেন, রনি, মেহেদী হাসান অনয়, আবু তাহের, মুন্না খান, হাসানুর রহমান আবির, রুবেল, রাশেদুলগং জমি জবর দখলের চেষ্টা করে। সংবাদ পাইয়া বাদীর ভাবী আবিদা সুলতানা সোমা ঘটনাস্থলে গেলে আসামি আলী হায়দার ওরফে পিৎজা শামীম তাহার চুলের মুঠি ধরিয়া টাকা হেচড়া করিয়া তাহাকে আহত করে। আসামী উৎসব তাহার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা বারি মারিয়া বাদীর ভাবীর বাম পায়ে হাড় ভাঙ্গা জখম করে। সংবাদ পাইয়া বাদী, বাদীর ভাই মাইনুল হক পারভেজ সহ বাদীর চাচা মাহবুবুর রহমান, আত্মীয় সজিব, প্রতিবেশী বিল্লাল হোসেন গন সেখানে যাইয়া আসামীদের বাধা দিলে আসামি আলী হায়দার ওরফে পিৎজা শামীম ও মামুন দ্বয় তাহাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা বাদীর ভাই মঈনুল হক পারভেজ কে দিক) লক্ষ্য করিয়া এলোপাথাড়ি গুলি করতে থাকে। আসামি আলী হায়দার ওরফে পিৎজা শামীম এর ছোড়া আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি বাদীর ভাই মঈনুল হক পারভেজ এর ডান পায়ে লাগিয়া মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয়। সকল আসামিগণ বাদীর ভাবী, বাদী সহ বাদীর পক্ষের লোকজনদের মারধর করিয়া আহত করে। আসামী রায়হান জাদা রবি, মুকিত, মুহিদগন ঘটনাস্থলে থাকা বাদীর বাড়ীর রান্না ঘরে আগুন লাগাইয়া অনুমান ২০,০০০ টাকার ক্ষতি সাধন করে। তাছাড়া আসামী নূর মোহাম্মদ, মনির হোসেন মনা, কবির, পাঠান রনি গন বাদীর বাড়ীর বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙ্গিয়া অনুমান ৪,০০,০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন করে। পরবর্তীতে বাদী ও তাহার লোকজনের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে আসামিরা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাইয়া চলিয়া যায় মর্মে তদন্তে প্রকাশ পায়। মামলাটির তদন্তকালে জখমী মাইনুল হক পারভেজ এর জখম সংক্রান্তে ডাক্তারী এমসি সংগ্রহ পূর্বক পর্যালোচনায় দেখা যায়, তাহার ডান পায়ে গুলির আঘাতের গুরুতর জখম রহিয়াছে। তবে তদন্তকালে বাদীর ভাবী তথা জখমী আবিদা সুলতানা সোমা এর জখম সংক্রান্তে ডাক্তারী এমসি সরবারাহের নিমিত্তে ঢাকাস্থ পঙ্গু হাসপাতালে আবেদন বিপি করা হয়।কিন্তু জখমী আবিদা সুলতানা সোমা উক্ত হাসপাতালে তাহার এক্সরে সহ চিকিৎসা গ্রহনের আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র দাখিল করিতে না পারায় ডাক্তারী এমসি সংগ্রহ করা সম্ভব হয় নাই। তবে সরেজমিনে তদন্তকালে ভিকটিমের পায়ে ব্যান্ডেজ সহ আনুসাঙ্গিক বিষয়াদি পর্যালোচনায় ভিকটিমের পায়ে হাড়ভাঙ্গা জখম পরিলক্ষিত হইয়াছে। মামলাটির তদন্তকালে জানা যায়, জখমী মাইনুল হক পারভেজ ইং-১৬/০৩/২৩ তারিখ ঢাকাস্থ পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং ইং-১৭/০৩/২৩ তারিখে তিনি চিকিৎসা শেষে বাড়ীতে চলে আসে। পরবর্তীতে ভিকটিম বাড়ীতে থাকা কালে গত ইং-০৫/০৪/২৩ তারিখ হঠাৎ করিয়া অসুস্থ বোধ করিলে তাহাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু বরন করে। তবে মামলাটির তদন্তকালে এজাহার নামীয় আসামী উৎসব, মুহিদ, পাঠান রনিদের পিতার নাম না থাকায় তাহাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয় নাই। মামলার বাদী, জখমী আবিদা সুলতানা সোমা সহ মামলায় নিয়োজিত গুপ্তচরদের একাধিক জিজ্ঞাসাবাদ, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া সরেজমিনে তদন্তকালে তাহাদের পূর্নাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব হয় নাই।
অত্র মামলার আসামীরা হলেন, ১. আলী হায়দার শামীম ওরফে পির্জা শামীম (৬১), ২. আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ (৫৬), ৩. রায়হান জাদা রবি (৪৬), ৪. মামুন (৪৯), ৫. মনির হোসেন মনা (৫৩), ৬. কবির (৫৬), ৭. আমির হোসেন (৩৯), ৮. উৎসব (৪১), ৯. মুকিত ওরফে মাশাইদ রহমান খান মুকিত (৪৬), ১০. মুহিদ (৪১), ১১. পাঠান রনি (৪৩) এবং তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ১২। মোঃ সিয়াম হোসেন (২২), ১৩। রনি (৩৬), ১৪। মেহেদী হাসান তনয় (২৩), ১৫। মোঃ আবু তাহের (৩৩), ১৬। মোঃ মুন্না খান (২৮),১৭। হাসানুর রহমান আবির (২৯), ১৮ মোঃ রুবেল মিয়া (২৯), ১৯। রাশেদুল ইসলাম মুন্না (৩৩), ২০। মোঃ জুয়েল হোসেন (২৬), ২১। মোঃ মোমিন (৩৭), ২২। মো: সজিব (৩১), ২৩। মো: ইমরান (২৯), ২২। মো: সুমন আহমেদ (৩৯), ২৫। মোঃ সিকান্দার (৫২), ২৬। মো: নুরুজ্জামান (৩৫) দের বিরুদ্ধে পেনাল কোড আইনের ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/ ৪৩৬/৪২৭/৫০৬ ধারার অপরাধ প্রাথমিক ভাবে সত্য মর্মে প্রতীয়মান হয়। তবে তদন্তকালে ব্যাপক তদন্তের পরও বর্নিত আসামী ১. উৎসব (৪১), ২. মুহিদ (৪১), ৩. পাঠান রনি (৪৩) দের শনাক্ত বা গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নাই বিধায় তাহাদের কে মামলার দায় হইতে অব্যাহতি দানের প্রার্থনা করিয়া আসামী ১. আলী হায়দার শামীম ওরফে পির্জা শামীম (৬১), ২. আলহাজ্ব নুর মোহাম্মাদ (৫৬), ৩. রায়হান জাদা রবি (৪৬), ৪. মামুন (৪৯). ৫. মনির হোসেন মনা (৫৩), ৬. কবির (৫৬), ৭. আমির হোসেন (৩৯), ৮. মুকিত ওরফে মাশাইদ রহমান খান মুকিত (৪৬) এবং তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ৯। মোঃ সিয়াম হোসেন (২২), ১০: রনি (৩৬), ১১। মেহেদী হাসান অনয় (২৩), ১২। মোঃ আবু তাহের (৩৩), ১৩। মোঃ মুন্না খান (২৮), ১৪। হাসানুর রহমান আবির (২৯), ১৫) মোঃ রুবেল মিয়া (২৯), ১৬। রাশেদুল ইসলাম মুন্না (৩৩), ১৭। মোঃ জুয়েল হোসেন (২৬) ১৮। মো: মোমিন (৩৭), ১৯। মো: সজিব (৩১), ২০। মো: ইমরান (২৯), ২১। মোঃ সুমন আহমেদ (৩৯), ২২। মোঃ সিকান্দার (৫২), ২৩: মো: নুরুজ্জামান (৩৫) দের বিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় বিচার প্রার্থনা করিয়া মামলাটিতে বন্দর থানার অভিযোগ পত্র নং-১৩, তাং-৩১/০১/১৪ ইং, ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৪৩৬/৪২৭/৫০৬ পেনাল কোড দাখিল করিলাম। অদূর ভবিষ্যতে এজাহার নামীয় আসামী উৎসব, মুহিদ, পাঠান রনি দের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা পাওয়া গেলে না তাদের শনাক্ত কিংবা গ্রেফতার করা সম্ভব হইলে মামলাটিকে সম্পূরক অভিযোগ পত্র দাখিল করা হইবে। সাক্ষীগন মামলার ঘটনার সত্যতা প্রমান করিবেন।