বর্তমানে ভারতে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হায়দ্রাবাদের সংসদ সদস্য ও অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
তিনি বলেন, ‘ভারত সরকারের উচিত বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপরে ‘হামলা’ নিয়ে ড. ইউনূস সরকারের সঙ্গে কথা বলা।
সেই সঙ্গে প্রশ্ন তুলে বলেন, বাংলাদেশের এ ধরনের ঘটনাকে হাতিয়ার করে ভারতীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে কেন?’
শনিবার ভারতের লোকসভায় নিজের বক্তব্য পেশকালে ওয়াইসি এসব কথা বলেন।
এ সময়, কেন ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন এবং বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিচ্ছেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন হায়দ্রাবাদের সংসদ সদস্য।
ওয়াইসি জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার কি শেখ হাসিনার বক্তব্য সমর্থন করছে? একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন যে, ভারতের পররাষ্ট্র নীতি একটি জাতি হিসাবে বাংলাদেশের সঙ্গে আবদ্ধ, ‘কোনো বিশেষ পরিবারের সঙ্গে নয়।’
গত কয়েক দিন ধরেই বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু-নির্যাতন’কে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় বিজেপি। কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন অভিযান, পেট্রাপোল ও ঘোজাডাঙা সীমান্ত অবরোধ, কলকাতার রানি রাসমণি রোডে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর সমাবেশে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বাংলাদেশে আটক চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন মঞ্চ থেকে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপি-বিরোধীদের মতে, বাংলাদেশকে সামনে রেখে রাজ্যে মেরুকরণের রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি।
এদিকে, প্রার্থনাস্থল আইনের তোয়াক্কা না করেই যেভাবে ইদানীংকালে ভারতের নানা প্রান্তে সমীক্ষার জিগির তুলে একের পর মসজিদকে নিশানা করা হচ্ছে, তা নিয়েও সংসদে সরব হলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
সংবিধান প্রণয়নের ৭৫তম বর্ষ পালন উপলক্ষে শনিবার লোকসভায় বক্তৃতাকালে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ওয়াকফ সম্পত্তি ‘কেড়ে নেওয়ার’ অভিযোগও তোলেন ওয়াইসি।
তিনি বলেন, ‘আজ আমি একটা প্রশ্ন করতে চাই। ধরুন কোথাও একটা ৫০০ বছরের পুরোনো মসজিদ রয়েছে… এখন আমি যদি এই সংসদের নিচে খোঁড়াখুঁড়ি করি, তাহলে তো সেখানেও কিছু না কিছু পাব। তাহলে কি সেটা আমার হয়ে যাবে?’ সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও হিন্দুস্তান টাইমস