মাইনুল ইসলাম রাজু ,
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আমতলীর গুলিশাখালীর ইউনিয়নের গুলিশাখালী গ্রামে শক্রুতা করে আগাছা নাষক ওষুধ ছিটিয়ে এক একর জমির সরিষা ক্ষেত নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষ শাহ আলম মুসল্লি ও তার ছেলে ইয়ামিন মুসল্লির বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গুশিলাশাখালী মৌজার ৭৭৪ নং খতিয়ানের ৪৫৮৩ নং দাগের এক একর জমির মালিক মাত্রিক সূত্রে পাওয়া মালিক সালেহা বেগম ও ভাই খালেক গাজী। বংশ পরস্পরায় ওই জমি তারা ভোগ দখল করে আসছেন। ওই জমি প্রতিবেশী শাহ আলম মুসল্লি তার দাবী করে আদালতে মামলা করেন। এ নিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠকও হয়েছে। সালিশে সালেহা বেগম ও খালেক গাজী প্রতিবার তাদের পক্ষে রায় পেয়েছেন।
বিরোধীয় ওই জমিতে চলতি বছর সালেহা বেগমের ছেলে মো. মোশারেফ হোসেন এবং খালেক গাজী প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করে সরিষা চাষ করেন। চারা গজিয়ে প্রায় ১-২ ইঞ্চি গাছ লম্ভা হওয়ার পর গত শনিবার রাতের অন্ধকারে প্রতিপক্ষ শাহ আলম মুসল্লি ও তার ছেলে ইয়ামিন মুসল্লি শক্রুতা করে খালেক গাজীকে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য পুরো সরিষা ক্ষেতে আগাছা নাষক ছিটিয়ে সরিষা গাছ মেরে ফেলেন। শুক্রবার সকালে সালেহা বেগমের ছেলে মো. মোশারফ হোসেন ও খালেক গাজী তাদের ক্ষেত নিড়ানোর জন্য মাঠে গিয়ে দেখেন ক্ষেতের সব সরিষার চারা শুকিয়ে মরে গেছে। এ দেখে তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এর আগেও শাহ আলম মুসল্লি এই জমিতেই ঘাষের সাথে বিষ প্রয়োগে সালেহার বেগমের ছোট ছেলে মো. নূর হোসেনের লক্ষাধিক টাকার একটি গরু হত্যা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আদালতেও একটি মামলাও চলমান রয়েছে।
জমির মালিক সালেহা বেগমের ছেলে মো. মোশারফ হোসেন ও খালেক গাজী বলেন, শাহ আলম মুসল্লির সাথে এই জমি নিয়ে আমাদের দ্বন্দ্ব রয়েছে। দ্বন্দ্বের এই জের ধরে সে রাতের অন্ধকারে সরিষা ক্ষেতে আগাছা নাষক ছিটিয়ে আমার পুরো ক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছে। আমাদের সরিষা ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় প্রায় লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। তারা আরো বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা কুষ সম্প্রসারন অফিসে অভিযোগ দেয়ার পর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মো. ইছা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অভিযুক্ত শাহ আলম মুসল্লী সড়িষা ক্ষেত আগাছা নাষক ওষুধ ছিটিয়ে নষ্ট করার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমাকে সমাজে হেও করার জন্য এ অভিযোগ করা হচ্ছে।
শনিবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, লম্বা খেতের মধ্যে ছোট ছোট সরিষার চারা শুকিয়ে ক্ষেতে পরে আছে। এর পাশে বসেই জমির মালিক সালেহা বেগমের ছেলে মোশারফ হোসেন ও তার ভাই খালেক গাজী বিলাপ করছেন আর বিচার দাবী করছেন।
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইছা বলেন, সরিষা ক্ষেত নষ্ট হওয়ার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতা পেয়েছি। এ বিষয়ে তাদের আইনী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য পরামর্শ দিয়েছে।