নারায়ণগঞ্জ বুধবার | ১লা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা রজব, ১৪৪৬ হিজরি
  সর্বশেষঃ
নবীনগর নবীন সংঘের উদ্যোগে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরন 
শ্রীবরদীতে ছাত্রদলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা
সিদ্ধিরগঞ্জে দুই যুবদল নেতার জন্মদিন উদযাপন
ফতুল্লায় কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
সোনারগাঁয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলা একই পরিবারের আহত ৪
ইসলামপুরে অগ্নিকান্ডে ৪টি ঘরপুড়ে ভস্মিভূত
রূপগঞ্জে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৩
শীতবস্ত্র বিতরনের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করলো জাতীয়তাবাদী সাইবার ইউজার দল
ফতুল্লায় থার্টিফার্স্ট নাইটের রাতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা আহত- ৫
আওয়ামীলীগ ক্যাডার ভাল্লুক রশিদ বাহিনীর অত্যাচার হতে মুক্তি পেতে এলাকাবাসীর পোষ্টার!
গাজী মিন্টুর জন্মদিনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের মিলন মেলা
বরগুনায় এনএসএস ও এ্যাকশন এইডের তারুন্যের ভাবনা শীর্ষক যুব সমাবেশ
ইসলামপুরে নিউ মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা 
বক্তাবলীতে রশিদ মেম্বার বাহিনী কর্তৃক জিয়া-খালেদা ও তারেক জিয়ার ছবি ভাংচুর!
বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টার সহধর্মিনীর রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন
বিশ্বজুড়ে ‘উত্তাপ’ ছড়ানো ঘটনাবহুল বছর ২০২৪
গুলি করে মানুষ হত্যা: কর্মকর্তাসহ আসামি ৯৫২ পুলিশ
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে আমতলীতে র‌্যালী অনুষ্ঠিত।
সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির বেলায়েতের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
রূপগঞ্জে বখাটেকে ছেড়ে দিল পুলিশ
নারায়ণগঞ্জে নতুন জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান
আদালত চত্বরে মামলা তুলে নিতে বাদীসহ পরিবারকে মারধর!
ফতুল্লায় বিদেশী পিস্তলসহ নিলয় আটক
তরুণ দল ফতুল্লা থানার আহবায়ক এড. জিয়াউল , সদস্য সচিব পারভেজ
অধরা রাতের ভোটের কারিগররা, আমলারাও আরামে
বাগ্‌যুদ্ধে বিএনপি ও জামায়াত
বন্দরে আ.লীগ নেতার জাহাজে বিএনপির নেতাদের রমরমা বাণিজ্য!
একাধিক মামলা আসামী নিয়াজের খুটির জোর কোথায় ? 
বক্তব্য চাঁদাবাজবিরোধী, অত:পর চাদাঁবাজের কাছ থেকেই সাখাওয়াত-টিপুর ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহন!!
Next
Prev
প্রচ্ছদ
চিকিৎসায় ভুল বা অবহেলায় নেই প্রতিকার, নেই আইন

চিকিৎসায় ভুল বা অবহেলায় নেই প্রতিকার, নেই আইন

প্রকাশিতঃ

সমকাল অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদটি জাগো নারায়ণগঞ্জ২৪.কমের পাঠকের জন্য হুবুহু প্রকাশ করা হলো:

বুকে ব্যথা নিয়ে এক সপ্তাহ আগে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসক দেখান মোশাররফ হোসেন। ২১ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। অস্ত্রোপচারের আগমুহূর্তেও সুস্থ ছিলেন। তবে অস্ত্রোপচার শেষে তাঁর নিথর দেহ বের করে আনা হয়। ছেলে আতিকুর রহমান লিটুর অভিযোগ, ভুল চিকিৎসায় তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে।

লিটু সমকালকে বলেন, ‘২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাবার মৃত্যু হলেও রাত সাড়ে ৯টায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর জানায়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কর্তৃপক্ষ টাকা চাকরির প্রলোভন দেয়। অধ্যাপক মঞ্জুরুল আলমের অধীনে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। তাঁর সহকারীরা অস্ত্রোপচার করেন।

যদিও পরিবার এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) লিখিত অভিযোগ করেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, অস্ত্রোপচার হয় তিন ঘণ্টা ধরে। এর মধ্যে অধ্যাপক মঞ্জুরুল আসেন এবং কাজ শেষ করে চলে যান।

শুধু মোশাররফ হোসেন নন, ১৬ ডিসেম্বর রাত ৭টা ৫৭ মিনিটে গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয় আজিজুর রহমানকে। রাত ৯টা মিনিটে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তোলেন মৃতের ছেলে সাজিদ হাসান। কলাবাগান থানায় মামলা করে তাঁর পরিবার। এর ভিত্তিতে জরুরি বিভাগে রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া ডা. সজীব নজরুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রিন লাইফসংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথমে মামলাটি হয়েছিল ১৭ জনের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের কর্মকর্তারাও ছিলেন আসামি। কিন্তু এজাহার পরিবর্তন করে আসামি করা হয় কেবল ডা. সজীব নজরুলকে। এর পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিয়ে ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, কোনো তদন্ত ছাড়া সজীব নজরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন না হওয়ায় এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তাহীনতা আবার স্পষ্ট হলো।

মোশাররফ বা আজিজুরের মতো দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় এমন অপ্রীতিকর ঘটনা নৈমিত্তিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। অবহেলা, ভুল চিকিৎসা ইত্যাদি অভিযোগে হাসপাতাল ভাঙচুর, চিকিৎসক কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। তবে নির্দিষ্ট আইন না থাকায় মিলছে না প্রতিকার। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে কিছুটা প্রতিকারের বিধান থাকলেও তাতে ভুক্তভোগীকে অভিযোগ করতে দেখা যায় না। তবে চিকিৎসায় অবহেলার ঘটনায় কেউ দ্বারস্থ হন উচ্চ আদালতের, আবার অনেক ভুক্তভোগী মামলা করেন দণ্ডবিধি আইনে। সে মামলায় অনেক সময় চিকিৎসককে পাঠানো হয় জেলহাজতে। দণ্ডবিধিতে মামলা করলেও প্রতিকার পাওয়ার নজির খুব একটা দেখা যায় না।

প্রতিনিয়ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিএমডিসিতে করা হলেও বিচার পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়। এখনও বিএমডিসিতে নিষ্পত্তিহীন ৭৮ শতাংশ অভিযোগ পড়ে আছে। এমনকি এসব অভিযোগের বড় একটি অংশের প্রমাণ মিলছে না তদন্তে।

বিএমডিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে গত নভেম্বর পর্যন্ত ১৪৭ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫১টি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে; বাদীপক্ষ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে ২০টি। ৩১টি ক্ষেত্রে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া ১৬ চিকিৎসকের নিবন্ধন বিভিন্ন মেয়াদে স্থগিত এবং একজনের স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সতর্কতার নোটিশ পেয়েছেন ১৮ শতাংশ চিকিৎসক এবং ১০ শতাংশকে ভর্ৎসনা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৯ শতাংশ চিকিৎসককে দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বিশেষজ্ঞরা জানান, অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া, নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা এবং আইনে কিছু ত্রুটি রয়েছে। প্রতিনিয়ত ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠলেও প্রতিকার মিলছে কম। জন্য রোগী সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন জরুরি।

এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষায় ২০১৫ সাল থেকে আইন প্রণয়নের চেষ্টা চলছে। বিগত সরকারের সময় চারবার খসড়া প্রণয়ন হলেও তা পূর্ণাঙ্গতা পায়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরস্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষার অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব উম্মে হাবিবা গত ১৩ নভেম্বর অধ্যাদেশটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে বলে এক চিঠিতে জানিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগের খসড়াগুলোর মতো এবারও সুস্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। ছাড়া সম্প্রতি স্বাস্থ্য খাত সংস্কারে একটি কমিশন গঠন করেছে সরকার। কমিশনের সুপারিশ নিয়ে অধ্যাদেশ প্রণয়ন যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছেন তারা।

বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার বিষয়টি পুরোপুরি প্রমাণ করা কঠিন। ছাড়া চিকিৎসকদের নানা সংগঠন শক্তিশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আরেকজন সাক্ষ্য দিতে চান না। এখানে বিপত্তি বাধে। এমন হাজারো মামলা চিকিৎসকের সাক্ষ্য গ্রহণের অভাবে ঝুলে আছে।

জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ডা. ফয়জুল হাকিম বলেন, রোগী চিকিৎসক সুরক্ষায় একটি আইন করা জরুরি। সেখানে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রতিকার কোথায় পাবেনতার উল্লেখ থাকে। অধিকাংশ ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ওঠে বেসরকারি হাসপাতালে। তবে এসব হাসপাতাল তদারকিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা চোখে পড়েনি। স্বাস্থ্য সুরক্ষার যে আইনটি পাস হতে যাচ্ছে, তার মধ্যে এটি আরও যুগোপযোগী করা উচিত।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, রোগী চিকিৎসকদের সুরক্ষায় আইনি কাঠামো তৈরি করা জরুরি। তবে আওয়ামী লীগ বা অন্তর্বর্তী সরকার এটির গুরুত্ব অনুভব করছে না। চিকিৎসকদের প্রতিনিধি বা দলীয় নেতা হিসেবে আমার পরামর্শ, টাকা দিয়ে জনগণ চিকিৎসাসেবা নেয়। চিকিৎসায় ভুল বা অবহেলার বিচার পাওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে। তবে বিষয়ে আইনি কাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। বিএমডিসি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ করলে বিচার পেতে দীর্ঘ সময় লাগে। চিকিৎসকের অদক্ষতা, ভুল বা অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়। তবে বর্তমান ব্যবস্থায় এর বিচার সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না। অন্যদিকে, চিকিৎসকরাও পার পেয়ে যাচ্ছেন।

বিএমডিসির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. লিয়াকত হোসেন সমকালকে বলেন, ‘বিএমডিসির সক্ষমতার অভাব রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী জনবল নেই। চাইলেও অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব নয়। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের বিএমডিসি কাঠামোগত দুর্বল।অভিযোগ নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভুল চিকিৎসার অভিযোগ অনেক আসে। প্রতিটি অভিযোগের গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এ সম্পর্কিত আরো খবর

উপদেষ্টা মন্ডলীঃ

ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম

সম্পাদক মন্ডলীঃ

মোঃ শহীদুল্লাহ রাসেল

প্রধান নির্বাহীঃ

মোঃ রফিকুল্লাহ রিপন

সতর্কীকরণঃ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি
অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও
প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
সকল স্বত্ব
www.jagonarayanganj24.com
কর্তৃক সংরক্ষিত
Copyright © 2024

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ

বনানী সিনেমা হল মার্কেট
পঞ্চবটী ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ
ফোন নম্বরঃ ০১৯২১৩৮৮৭৯১, ০১৯৭৬৫৪১৩১৮
ইমেইলঃ jagonarayanganj24@gmail.com

Website Design & Developed By
MD Fahim Haque
<Power Coder/>
www.mdfahim.com
Web Solution – Since 2009

error: Content is protected !!