নারায়ণগঞ্জ বুধবার | ৭ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
  সর্বশেষঃ
খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির বিশাল শোডাউন
রূপগঞ্জে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৫০টি দোকান ও ৪টি ভবন উচ্ছেদ
সোনারগাঁয়ে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ভিডিও ভাইরাল
প্রতিরোধ স্তম্ভের জায়গা দখল করে ব্যবসা করায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
বন্দরে পাসপোর্টসহ ৬ লাখ টাকা দিয়ে প্রতারনার শিকার দুই যুবক
বন্দরে মানববন্ধন শেষে হত্যা মামলার আসামীদের বাড়িতে হামলা
বন্দরে ওয়াসা অপারেটরকে হত্যার হুমকি ঘটনায় থানায় অভিযোগ 
বন্দরে আইরিন ভেরাইটিজ ষ্টোরে চুরি ঘটনায় আরো একজন গ্রেপ্তার
বন্দরে বিভিন্ন ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার-২
আমতলীতে সাড়ে পাঁচ হাজার কৃষক পেলেন বিনামূল্যে কৃষি প্রনোদণার বীজ ও সার!
‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে আগের ৯টি ধারা বাতিল, মামলাও বাতিল হবে’
আমতলীর নাগরিক সংবর্ধনায় নিজে কাঁদলেন, অন্যদেরকেও কাঁদালেন ইউএনও
কৃষি প্রণোদনা কেনাকাটায় অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের জেরে তদন্ত কমিটি
অধ্যাদেশের খসড়া: সাংবাদিক হয়রানিতে জেল জরিমানা
বাকৃবিতে ধানে আর্সেনিক হ্রাসকরণ প্রযুক্তির মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
সাংবাদিক মিলন ও হাবিবের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
শতভাগ বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা
নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত খালেদা জিয়া
গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে ফিরোজায় ঢুকলেন খালেদা জিয়া
আলোচিত হকার জুবায়ের হত্যা মামলা: ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ২
হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিলেন খালেদা জিয়া
সোনারগাঁয়ে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাদাবি, চাঁদা না পেয়ে হামলা
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ সভা
সিদ্ধিরগঞ্জে দুই যুবককে বেধড়ক মারধরের ভিডিও ভাইরাল
পায়রা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়লো বিরল প্রজাতির মা কচ্ছপ
বিএনপি’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আছে দেশের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র আছে : আব্দুল কাইয়ুম
অনুর্ধ্ব ১৫ ফুটবলে টাঙ্গাইলকে হারিয়ে ফাইনালে নারায়ণগঞ্জ
আমতলীতে চিকিৎসক রিয়াজ মৃধার বাড়িতে ডাকাতি, আহত ২
শেরপুরের  শ্রীবরদীতে পাকা ধান ক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক:
ফতুল্লায় ৩ বছরে কোরআনের হাফেজ হলেন ১৫ বছরের রোমেল  
Next
Prev
প্রচ্ছদ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদের প্রকৃত সংখ্যা কত?

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদের প্রকৃত সংখ্যা কত?

প্রকাশিতঃ
Facebook
WhatsApp
Twitter

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনে সংঘটিত রক্তক্ষয়ী জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি৷সরকারি গেজেটের সঙ্গে মিল নেই জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’র৷ উপদেষ্টা যখন জাতিসংঘকে উদ্ধৃত করছেন, তখন ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা বলছেন এনসিপির নেতারা৷ খবর ডয়চে ভেলে।

এখন পর্যন্ত জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদের প্রকৃত সংখ্যা ৮৩৪ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার৷ এ বছরের ১৫ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে৷ কিন্তু ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এর ওয়েবসাইটে জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদের সংখ্যা হিসাবে উল্লেখ রয়েছে ৮২০+ (৪ মে ২০২৫)৷ সংখ্যাটি সরকার প্রকাশিত গেজেটে উল্লেখ করা সংখ্যার চেয়েও কম৷

২৮ এপ্রিল সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী৷ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যখন আমরা জাতীয় ঐক্যের কথা বলি, তখন জাতীয় ঐক্যের কথার মধ্যে কি আমরা, ধরেন, যে মানুষ ১৪শ মানুষ খুন করেছেন জুলাইতে, তার বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে; তার বিচার, অনুশোচনা, ক্ষমা কোনো কিছুই ঘটেনি, আপনি কি আমাকে বলছেন, তার সঙ্গে এখন জাতীয় ঐক্য করবার জন্য? আই থিংক দিস ইজ অ্যাবসার্ড৷

১৪শ সংখ্যাটি নিয়ে ফের প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আই অ্যাম টকিং অ্যাবাউট ইউনাইটেড ন্যাশনস রিপোর্ট৷ ভাই, প্লিজ, ডু সাম রিসার্চ৷ আই অ্যাম টকিং অ্যাবাউট ইউএন রিপোর্ট৷

কী আছে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে?

এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ন্ত্রণে তৎকালীন সরকারের দমন-পীড়ন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটা বিশ্বাস করার ভিত্তি আছে যে, ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত তৎকালীন সরকার এবং এর নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কাঠামো, আওয়ামী লীগের সহিংস গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে একত্রিত হয়ে মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে পদ্ধতিগতভাবে জড়িয়ে পড়েছিল৷

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত মৃত্যুর তথ্যের ভিত্তিতে, প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১৪শ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে, এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন৷

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু৷ বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ৪৪ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন৷ আওয়ামী লীগের পক্ষে থেকেও ১৪৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন বলে তালিকা দেওয়া হয়েছিল জাতিসংঘের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের৷

তবে, সব মৃত্যুর ঘটনা স্বাধীনভাবে তদন্ত করা সম্ভব হয়নি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে৷

জাতিসংঘের প্রতিবেদনটির সারসংক্ষেপের সবশেষে বলা হয়েছে, একজন অপরাধীর অপরাধ প্রমাণে এসব মান প্রমাণক হিসেবে ফৌজদারি কার্যধারায় অপরাধ প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় মানদণ্ডের চেয়ে কম৷ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আরো ফৌজদারি তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে৷’

প্রসঙ্গটি ধরে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ডয়চে ভেলে৷ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে জাতিসংঘের বক্তব্য এবং সরকারি গেজেটের বিষয়টি তার নজরে আনার চেষ্টা করা হয়েছে৷ তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, জুলাইয়ের শহীদের সংখ্যা হিসাবে কোন তথ্যটি গ্রহণযোগ্য?

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে ‘ভাই, প্লিজ, ডু সাম রিসার্চ’ বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি দেখার পরামর্শ দিলেও সংস্কৃতি উপদেষ্টা ডয়চে ভেলের প্রশ্নের উত্তরে জানান, ‘অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলুন৷ ধন্যবাদ’৷

এনসিপি নেতাদের ভাষ্যেও গড়মিল

৩০ এপ্রিল ঢাকার মিরপুরে এক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ৷ জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন তিনি৷

সেদিন কর্মসূচি সম্পর্কে সংবাদকর্মীদের তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে সহস্রাধিক, ১৪শরও বেশি শহিদ হয়েছে এবং হচ্ছে ৩০ হাজারের কাছাকাছি মানুষকে আহত করেছে, এই সবগুলা, এই যে গণহত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, এই গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে বিচার নিশ্চিত করাসহ এবং রেজিস্ট্রেশন বাতিল, নিবন্ধন বাতিল এবং এই জুডিশিয়ারি পুরো প্রক্রিয়া চলাকালীন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের জন্য আমরা আগামী ২ তারিখ (২ মে) বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে বিক্ষোভ মিছিল করবো৷

কেমন আছেন আন্দোলনের আহতরা?

তার কথায় পাওয়া গেল, ‘জুলাই শহিদ’ এর সংখ্যা এক হাজার চারশ’রও বেশি৷ ওইদিন বগুড়া সফরে গিয়ে এক রাজনৈতিক সমাবেশে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বক্তব্য রাখেন এনসিপি-র উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম৷ তিনিও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক৷ সেদিনের বক্তব্যে জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদের প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন তিনি৷

সারজিস বলেন, এই আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র ২৪-এর জুলাইয়ে হাজারের অধিক আমাদের ভাই-বোনকে খুন করেনি, এই আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র রক্তের উপর দাঁড়িয়ে ছিল ব্যাপারটি এমন নয়, এই আওয়ামী লীগ পুরো বাংলাদেশে জেলার নাম ধরে, ব্যক্তির নাম ধরে, দলের নাম ধরে বৈষম্য করেছে৷

সারজিসের বক্তব্যে পাওয়া গেছে, ‘জুলাই শহিদ’-এর সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি৷

২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক সংবাদ সম্মেলনে জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদের সংখ্যা ঘোষণা করে৷ সেদিন উপস্থিত নেতারা জানিয়েছেন শহীদের সংখ্যা এক হাজার ৫৮১, তবে সেদিন তারা জানিয়েছিলেন, সংখ্যাটি চূড়ান্ত নয়৷

শহিদের সংখ্যা ‘সুনির্দিষ্ট হওয়া প্রয়োজন’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেন, ‘সরকার এখন পর্যন্ত ৮৩৪ জনের বিষয়ে চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হতে পেরেছে৷ সেই মর্মে সরকারি গেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে তাদেরকে ‘জুলাই শহিদ’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ অন্যান্য আরও অনেকগুলো দাবি এবং আরো অনেকগুলো হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে, আরো অনেকগুলো মৃত্যুর বিষয়ে সরকার এখনো তদন্ত করছে, যাচাই-বাছাই করছে৷’

জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বিষয়টিকে রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের মতো সংস্থা থেকে ১৪শ সংখ্যাটা যখন সামনে আসে, এটা আসলে অনেক গুরুত্ব পেয়েছে৷ সংখ্যা হিসাবে এই কথাটা আলোচনায় এসেছে৷ সেজন্য জাতিসংঘের বিষয়টা সংখ্যা হিসাবে নানা বক্তব্য, বয়ানের মধ্য দিয়ে আসছে৷ কিন্তু ‘জুলাই শহিদ’ কারা এবং কত জন সেটা চূড়ান্ত হবে গেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে৷ ৮৩৪ জনের নাম ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে৷

তিনি আরও বলেন, জুলাই শহিদের এই সংখ্যাটা সুনির্দিষ্ট হওয়া প্রয়োজন৷ এটার সঙ্গে সরকারের কোনো দ্বিমত নেই৷ এই লক্ষ্যে সরকার কিন্তু কাজ করে যাচ্ছে৷

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে এখনো বিভ্রান্তি রয়েছে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকার চায়, জুলাই শহিদের সংখ্যা নিয়ে যেন ভবিষ্যতে কোনো ধরনের বিতর্ক না থাকে৷ বিতর্কহীন, বিতর্কমুক্তভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার৷

পুরো বিষয়টিকে সরকারের ‘চরম ব্যর্থতা’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল৷ তিনি বলেন, ‘সরকারের উচিত ছিল, এই ব্যর্থতাটাকে না দেখানো৷ এটাকে সফল করা কোনো কঠিন কাজ ছিল না৷ খুব সহজ একটা কাজ ছিল৷ সেই সহজ কাজটাকে তারা এতটাই কঠিন করে তুলছে, এটা আগামীতে জটিল আকার ধারণ করবে৷

তিনি বলেন, স্বল্পতম সময়ে ছিনতাই হওয়া আন্দোলনের নাম বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলন৷ এ আন্দোলন ছিনতাই হয়ে গেছে৷ এই আন্দোলনকে নিয়ে এখন ব্যবসা হচ্ছে৷

জুলাই অভ্যুত্থান আন্দোলনের সুফল ভোগীদের নিয়েও প্রশ্ন আছে এই সিনিয়র সাংবাদিকের৷ তিনি বলেন, এই আন্দোলনের সুফল যারা ভোগ করছেন, তারা এই আন্দোলনের যারা শহিদ এবং আহত, তাদের সঙ্গে মশকরা করছেন৷ এর একমাত্র কারণ হলো, এই আন্দোলনের ফলে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেছেন, তাদের ৮০ পার্সেন্ট লোকের এই আন্দোলনের সঙ্গে কোনো ধরনের মানসিক, শারীরিক, অর্থনৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল না৷ ইনক্লুডিং ডক্টর ইউনূস৷

মাসুদ কামাল বলেন, কত হাস্যকর অবস্থায় আছি! সরকার এই দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান৷ সেই সরকারের একজন উপদেষ্টা নিহতের তালিকার জন্য নির্ভর করছে বিদেশের একটা প্রতিষ্ঠানের উপর৷ এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে?’

জাতিসংঘের কয়েকজন প্রতিনিধি মিলে যদি প্রতিবেদন তৈরি করতে পারে, সরকার কেন পারলো না?—এমন প্রশ্ন রেখে মাসুদ কামাল বলেন, সরকারকে কেন অন্য একটা সংস্থার অনুমিত তালিকার ওপর নির্ভর করতে হয়? কারণ, সরকার পারে নাই, সরকারের ব্যর্থতা৷

 

এ সম্পর্কিত আরো খবর

উপদেষ্টা মন্ডলীঃ

ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম

সম্পাদক মন্ডলীঃ

মোঃ শহীদুল্লাহ রাসেল

প্রধান নির্বাহীঃ

মোঃ রফিকুল্লাহ রিপন

সতর্কীকরণঃ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি
অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও
প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
সকল স্বত্ব
www.jagonarayanganj24.com
কর্তৃক সংরক্ষিত
Copyright © 2024

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ

বনানী সিনেমা হল মার্কেট
পঞ্চবটী ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ
ফোন নম্বরঃ ০১৯২১৩৮৮৭৯১, ০১৯৭৬৫৪১৩১৮
ইমেইলঃ jagonarayanganj24@gmail.com

Website Design & Developed By
MD Fahim Haque
<Power Coder/>
www.mdfahim.com
Web Solution – Since 2009

error: Content is protected !!