ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ হলের সামনে সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় একজন যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি ছোড়া যুবকের পরিচয় মিলেছে। জানা গেছে, ওই যুবকের নাম হাসান মোল্লা৷ তিনি ঢাকা কলেজের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন৷
হাসান মোল্লা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাউছারের ভাগ্নে। হাসান ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি এখন গণপূর্ত অধিদপ্তরে ঠিকাদারি করেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসান ঢাকা কলেজের ছাত্রাবস্থায় থাকতেন কলেজের আখতারুজ্জামান ইলিয়াস হলে৷ ছাত্রজীবনের শুরুতেই ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন৷ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের কমিটিতে কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক পদে ছিলেন৷
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাউছার বলেন, ‘হাসান মোল্লা আমার ভাগনে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক সহকর্মী বলেন, হাসান মোল্লা দুটি বন্দুক ব্যবহার করেন। তবে কোনোটিরই লাইসেন্স নেই। মূলত তার ঠিকাদারি ব্যবসা চালাতে এসব অস্ত্র ব্যবহার করেন। কোনো প্রতিষ্ঠান তাকে টেন্ডার দিতে না চাইলে সংশ্লিষ্টদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। এর আগেও কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ করেছেন অস্ত্রধারী হাসান। ঠিকাদার ব্যবসা করে তার দুটি রিসোর্ট, চারটি ফ্লাটসহ কয়েক শত কোটি টাকার মালিক বনে যান তিনি।
এ বিষয়ে হাসান মোল্লার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। তবে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
যুগান্তর