দুর্নীতি দমন কমিশনের দ্বিতীয় দফায় তলবে হাজির না হলেও চিঠি দিয়ে নিজের বক্তব্য দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দ্বিতীয়বারের মতো রোববার সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল। তবে তিনি উপস্থিত না হয়ে চিঠি দিয়ে নিজের বক্তব্য দেন বেনজীর আহমেদ।
এ বিষয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে বলেন, বেনজীর আহমেদের মাধ্যমে গত ২১ জুন দুদক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। এবারের চিঠিতে নতুন করে সময়ের আবেদন করেননি। লিখিত বক্তব্যে তার অভিযোগগুলোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বিভিন্ন সূত্রে তথ্যানুসারে বেনজীর আহমেদ সপরিবারে বিদেশে রয়েছেন, এখনও দেশে ফেরেননি। অন্যদিকে বেনজীরের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ২৮ মে বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়। এতে বেনজীরকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হতে বলা হয়। যদিও আইনজীবীর মাধ্যমে দুদকে হাজির হতে আরও ১৫ দিনের সময় চান বেনজীর।
গত ২৮ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো ওই নোটিশে বেনজীরকে ৬ জুন ও তার স্ত্রী-সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হলেও ৫ জুন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের কার্যালয়ে বেনজীরের পক্ষে তার আইনজীবী আরও ১৫ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের উপ-পরিচালক বরাবর সময় চেয়ে এ আবেদনটি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার তাকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়।
বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় ৬২১ বিঘা জমি ছাড়াও ঢাকার গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব, ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ৩টি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসা করার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের সন্ধান পেয়েছে দুদক। অনুসন্ধানের পর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।