রাশেদুল ইসলাম রনি:
জামালপুরের বকশীগঞ্জে দুই লাখ টাকা চাদাঁ না দেওয়ায় সেলিম মিয়া (৪৫) নামে এক চা বিক্রেতাকে মামলায় ফাসাঁনোর অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আবুল কাসেম বিলেরপাড় গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে ও সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
বুধবার বিকালে বিলেরপাড় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী চা বিক্রেতা সেলিম মিয়ার স্ত্রী খোদেঁজা বেগম। সেলিম মিয়া একই এলাকার নুরুল হকের ছেলে। তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন আবুল কাসেম।
সেলিম মিয়ার স্ত্রী খোদেঁজা বেগম সংবাদ সম্মেলনে বলেন,সাধুরপাড়ার গাজীরপাড়া বাজারে তাদের ছোট্ট একটি চায়ের দোকান রয়েছে। স্বামী সেলিম মিয়ার সাথে চা দোকান করে সংসার চালান তারা। দীর্ঘদিন যাবত প্রতিবেশী আসাদুল্লাহ গংদের সাথে বসতভিটার আড়াই শতক জমি নিয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছে। গত দুই সপ্তাহ আগে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিস্পত্তির কথা বলে সেলিম মিয়ার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম। কাসেম বলেন প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা হচ্ছে। সাধুরপাড়া ইউনিয়নেও মামলা হবে। টাকা না দিলে মামলায় আসামী হবে সেলিম এবং জমির দ্বন্ধ কোনদিন নিরসন হবে না। আবুল কাসেম এর কথামত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন সেলিম মিয়া। টাকা না দেওয়ায় সেলিমের উপর ক্ষিপ্ত হন বিএনপি নেতা আবুল কাসেম। গত ১০ নভেম্বর রাত আনুমানিক দুইটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে সেলিম মিয়াকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। স্ত্রীর অভিযোগ পুলিশের সাথে আবুল কাসেমও ছিল। পরেরদিন সকালে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শাহা আলমের দায়েরকৃত নাশকতা মামলায় অজ্ঞাতানামা আসামী হিসেবে সেলিম মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তার দাবি সেলিম মিয়া কোন রাজনীতি করে না। চায়ের দোকান করে সংসার চালায়। টাকা না দেওয়ার কারনেই তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ন্যায় বিচারের জন্য জামালপুর-১ আসনের সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামানের মিল্লাতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সেলিম মিয়ার ভাই মজিবুর রহমান,মেয়ে সোনিয়া আক্তার,সুমাইয়া আক্তার সহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম বলেন, আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতেই সেলিম মিয়ার পরিবার আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যাচার করছে। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মানিক সওদাগর বলেন,এ বিষয়ে আমি অবগত নই। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।