সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগও পাননি।
আজ সোমবার বেলা আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার শেখ হাসিনাকে নিয়ে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তারা হেলিকপ্টারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ফলাও করে প্রকাশ করেছে বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও। বিবিসির খবর, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন।
বিবিসির স্থানীয় প্রতিনিধির বরাতে এ খবর দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিবিসি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ‘নিরাপদ আশ্রয়ের’ জন্য দেশ ছেড়েছেন। সঙ্গে শেখ রেহানাও আছেন।
আল জাজিরা বলছে, একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন। তাঁর সরকারি আবাস গণভবনে হাজারো মানুষ ঢুকে পড়েছে।
এএফপির খবরেও বোনকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে তিনি বাংলাদেশ ছেড়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এএফপি বলেছে, হাজারো মানুষ গণভবনে ঢুকে পড়েছে।
রয়টার্স বলছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েছেন। বাংলাদেশও ছেড়ে গেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সংবাদপত্র আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বোন রেহানাকে নিয়ে তিনি ঢাকার বাসভবন তথা ‘গণভবন’ ছেড়েছেন। তাকে কপ্টারে করে ‘নিরাপদ’ আশ্রয়ের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারটি ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার উদ্দেশ্যে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন এয়ার কমোডর আব্বাস। তিনি ১০১ স্কোয়াড্রনের সদস্য।