আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ ধীরগতিতে চলছে। ভোট আয়োজনের জন্য অপরিহার্য এমন নীতিনির্ধারণী বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিষয়গুলো চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে ‘রাজনৈতিক ঐকমত্য’র জন্য অপেক্ষা করছে ইসি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান আইন আরপিও সংশোধন, নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন। আরও আছে, রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সংলাপ, ভোটার তালিকা আইন সংশোধন, নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ এবং পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন কার্যক্রম।
তবে যেসব কাজের সঙ্গে সংস্কার ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই, সে কাজগুলোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে ইসি। এরই অংশ হিসাবে ভোটগ্রহণের কাজে ব্যবহৃত স্বচ্ছ ব্যালট বক্স, অফিশিয়াল সিল, মার্কিং সিল, গানি ব্যাগ, লাল গালাসহ ভোটগ্রহণের মালামাল সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। নির্বাচনি বিভিন্ন ফরম ও প্যাকেট ছাপার প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইসির একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, যেসব বিষয়ে ইসি এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না, সেগুলোরও প্রাথমিক কাজ এগিয়ে রাখছে। তৈরি করা হচ্ছে আইন ও বিধিমালাগুলোর সংশোধনী খসড়া। যাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পরপরই কাজগুলো দ্রুত শেষ করা যায়। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাসের যে কোনো সময়ে সরকার ভোট করতে চাইলে, তা যেন করতে পারে সেই লক্ষ্যমাত্রাও মাথায় রাখছে কমিশন।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতিমূক দৈনন্দিন কাজগুলো আমরা এগিয়ে নিচ্ছি। কিছু কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে, অপেক্ষা করা লাগে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুন-জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এসব বিষয়ে ক্লিয়ার হব। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত পেয়ে যাব।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ডিসম্বের থেকে জুনের মধ্যে ভোট করলে কি ধরনের সুবিধা-অসুবিধা হতে পারে সে বিষয়ে ইসির সঙ্গে পরামর্শ করেছে সরকার। এরপরই প্রাথমিকভাবে এপ্রিলে ভোটের ঘোষণা আসে। তবে এপ্রিলে ভোট করতে হলে তফশিল দিতে হবে রমজান মাসে। রমজান মাসের পরিবেশের সঙ্গে নির্বাচনের তফশিল, মনোনয়নপত্র জমা, প্রত্যাহারের মতো বিষয়গুলো সংগতিপূর্ণ নয়। পাশাপাশি এপ্রিলে এসএসসি পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ও মাথায় রাখছে সরকার ও ইসি।
একাধিক নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নির্বাচনে নীতিনির্ধারণী বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে কিছু কিছু বিষয় ‘জাতীয় সনদ’র সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে। তখন একই কাজ একাধিকবার করা লাগতে পারে। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। নির্বাচন কমিশনারদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তারা বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন তাদের মতামত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানিয়েছে।
এছাড়া ইসি এমন কাজ করতে চায় না, যাতে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এজন্য রাজনৈতিক ঐকমত্যের জন্য অপেক্ষায় আছে ইসি। পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতিও পর্যবেক্ষণ করছে। শুক্রবার লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠকের দিকেও দৃষ্টি রয়েছে।
নির্বাচন ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ প্রস্তুতের কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কবে নাগাদ জুলাই সনদ ঘোষণা করা হবে জানতে চাইলে ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, জুলাই মাসেই একটা পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, আগামী মাসেই তা চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
সূত্র জানায়, বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত কার্যক্রম গ্রহণের প্রাথমিক পরিকল্পনা তৈরি করে। ওই কর্মপরিকল্পনায় নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজের মধ্যে, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, আরপিওসহ বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা সংশোধন, নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকার ম্যানুয়েল ও নির্দেশিকা সংশোধন, সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন, নির্বাচনি দ্রব্যাদি সংগ্রহ, নির্বাচনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ফরম ও প্যাকেট মুদ্রণ, নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ওই কর্মপরিকল্পনায় যে সময়সীমার মধ্যে কাজগুলো শেষ করার লক্ষ্য ছিল তার বেশির ভাগই ওই সময়ে বাস্তবায়ন হয়নি। ইসির কর্মকর্তারা জানান, রাজনৈতিক বিতর্ক এড়াতে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছেন তারা।
পর্যবেক্ষক নীতিমালা অনুমোদন, শুরু হয়নি কার্যক্রম : খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকসংক্রান্ত তিনটি নীতিমালার সংশোধনী পাশ করার আড়াই মাস পার হলেও তা কার্যকর করেনি ইসি। দেশীয় পর্যবেক্ষকদের জন্য সংশোধিত ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা, ২০২৫’ গত ১৯ মার্চ নথিতে অনুমোদন করে নির্বাচন কমিশন। ওই সংশোধনীতে বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৯৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন অকার্যকর ও বাতিল করার বিধান যুক্ত করা হয়। এছাড়া বিগত নির্বাচনগুলোতে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) যেসব পর্যবেক্ষক সংস্থা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে প্রতিবেদন দিয়েছিল, তাদের নিবন্ধন পাওয়ার অযোগ্য করা হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির বদলে এইচএসসি করা হয়েছে। ওই নীতিমালা কার্যকর হলে ইতোমধ্যে নিবন্ধিত ৯৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে এবং নতুন করে পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু অনুমোদনের আড়াই মাসের বেশি সময় পার হলেও ওই নীতিমালা কার্যকর করেনি ইসি।
সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে জানান, সংশোধিত নীতিমালা কার্যকর না করার জন্য মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। এমনকি ঈদের আগে গত ২১ মে অনুষ্ঠিত ‘কমিশন সভায়’ ‘বিবিধ’ আলোচ্যসূচিতে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। ওই সভায় ওই কর্মকর্তাকে আর ডাকা হয়নি। তারা আরও জানান, ওই নীতিমালা কার্যকরের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে নতুন পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দেওয়া পর্যন্ত অন্তত তিন মাস সময়ের প্রয়োজন হবে। কারণ, ওই নীতিমালা কার্যকর হওয়ার পর নতুনদের নিবন্ধন দেওয়ার লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। আগ্রহীদের আবেদন জমা এবং বাছাইয়ে যারা টিকবে তাদের বিষয়ে কারও দাবি বা আপত্তি আছে কিনা-তা জানার জন্য সময় দিতে হবে। এছাড়া ওইসব আবেদন যাচাই-বাছাইও করতে হবে।
আরও জানা গেছে, দেশি সাংবাদিকদের জন্য ‘নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিক/গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা’ এবং বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের নীতিমালার সংশোধনীও ১৯ মার্চ অনুমোদন করে কমিশন। ওই নীতিমালা দুটি এখনো জারি করা হয়নি। সংশ্লিষ্টরা জানান, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা’, ‘নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিক/গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা’ এবং বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের নীতিমালার পৃথক তিনটি খসড়া প্রস্তাব করেছিল। ইসির এ সংক্রান্ত কমিটি তাদের মতো করে নীতিমালায় সংশোধনীর প্রস্তাব করে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য এই তিন নীতিমালা এখনো কার্যকর করেনি ইসি।
চূড়ান্ত হয়নি আরপিও এবং বিধিমালা সংশোধন : জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’ (আরপিও)। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত বিধিমালাগুলো হচ্ছে-‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা’ এবং ‘নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা’। জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদের নেতৃত্বাধীন আইন সংস্কার সংক্রান্ত কমিটির আরপিও সংশোধনের খসড়া তৈরি করেছে। ওই খসড়া অনুমোদনের জন্য এখনো কমিশন সভায় তোলা হয়নি। তবে আরপিও সংশোধনের আগেই ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার খসড়া সংশোধনী ২১ মে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় তোলা হয়। এতে আরপিও সংশোধনীর পর আচরণ বিধিমালার সংশোধনী অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে আরপিও সংশোধন করার সিদ্ধান্ত রয়েছে কমিশনের। আরপিও সংশোধনের আলোকে নির্বাচন পরিচালনা ও আচরণ বিধিমালায় সংশোধন আনা হবে।
তড়িঘড়ি ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইন সংশোধন হয়নি : জানা গেছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ বঞ্চিতদের ভোটের সুযোগ দিতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করছে কমিশন। ২৬ মে পর্যন্ত হালনাগাদে ৬৫ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৫ জন নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি। একই সময়ে ভোটার তালিকায় থাকা ২১ লাখ ৭৬ হাজার ৮১৪ জন মৃতের তথ্য পেয়েছে কমিশন। মৃতদের নাম বাদ দেওয়া এবং নতুনদের নাম যুক্ত করে বছরের যে কোনো সময়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার লক্ষ্যে ভোটার তালিকা আইনের সংশোধনীর খসড়া তৈরি করে ইসি। ওই প্রস্তাবে বছরের যেকোনো সময়ে খসড়া ও চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশের বিধান যুক্ত করে কমিশন। কিন্তু সেটা অধ্যাদেশ আকারে জারির জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে এখনো পাঠায়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদ্যমান আইনে প্রতিবছর ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করার নিয়ম রয়েছে। ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ভোট করতে হলে এই আইনের সংশোধনীর প্রয়োজন হবে। অন্যথায় তালিকায় যুক্ত হওয়া নতুন ভোটাররা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না। তবে কেউ কেউ জানান, এপ্রিলের প্রথমার্ধে ভোট করতে হলেও এ সংশোধনীর প্রয়োজন হতে পারে।
চূড়ান্ত হয়নি প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা : প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা (ডিসি), আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোটগ্রহণ (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং) কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হয় নির্বাচন কমিশনের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত করেনি ইসি। নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) একাধিক কর্মকর্তা জানান, তারা একটি খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। ওই পরিকল্পনা কমিশনে তোলা হবে। তারা আরও জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রশিক্ষণ দিতে ৪ মাসের বেশি সময় লেগেছিল। এবার প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা অনুমোদনের পর প্রায় একই সময় লাগবে।
দিনক্ষণ নির্ধারণ হয়নি সংলাপের : প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী রাজনৈতিক দল, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক সংস্থা, সাংবাদিকসহ স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সংলাপ করে থাকে ইসি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন কমিশনও সংলাপের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন দল নিবন্ধন পিছিয়ে যাওয়া, ঐকমত্য কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত না আসা, পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন না হওয়া ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সংলাপের দিনক্ষণ এখনো নির্ধারণ করেনি ইসি।