জাগো নারায়ণগঞ্জ:
সাইবার নিরাপত্তা আইন মত প্রকাশের স্বাধীনতার অন্তরায় বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা বিধিমালা-২০২৪ পর্যালোচনা ও সুপারিশ প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও আর্টিকেল নাইনটিনের আঞ্চলিক পরিচালক (বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া) শেখ মনজুর-ই-আলমসহ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক কাজী মাফুজুল।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা মনে করি সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ নিবর্তনমূলক, অনেকাংশে অগণতান্ত্রিক এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার অন্তরায়। মূল আইনে এ ধরনের অসংগতি রেখে অধস্তন আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য অনেকটাই নিষ্ফল হয়ে যাবে। তাই সাইবার নিরাপত্তা বিধিমালা-২০২৪ চূড়ান্ত করার আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও সব অংশীজনের উদ্বেগ, মতামত ও পরামর্শ বিবেচনায় নিয়ে এবং অর্থপূর্ণ ও কার্যকর অংশগ্রহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ সংশোধন করতে হবে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে কাজী মাফুজুল বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ এবং প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা বিধিমালা-২০২৪ আমাদের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির কাঠামো সম্পর্কে যে ধারণা দিচ্ছে তা অস্পষ্ট। প্রস্তাবিত জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি, এর পরিচালক, জাতীয় সাইবার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পর্কে বিক্ষিপ্তভাবে ধারণা দিলেও বৃহত্তর পরিসরে সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির সাংগঠনিক কাঠামো কি হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে ব্যর্থ।
এ বিষয়ে টিআইবির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির একটি কার্যকর ও অর্থপূর্ণ সাংগঠনিক কাঠামো করা, নতুন ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা না করে বর্তমান ফরেনসিক ল্যাবটিকে আধুনিক যন্ত্রপাতি, সফটওয়্যার এবং লোকবল দিয়ে সমৃদ্ধ করা, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি, জাতীয় সাইবার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম এবং ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের কার্যক্রমে যাতে নাগরিকদের মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ না হয় সে সংক্রান্ত মানবাধিকার সুরক্ষা বিধান প্রস্তাবিত বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা।
পরামর্শে আরও বলা হয়, সাইবার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ন্যূনতম ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত এবং প্রযুক্তি যোগ্যতা বিধিমালা দিয়ে নির্দিষ্ট করে দেওয়া এবং দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে ডিজিটাল সাক্ষ্য সংগ্রহের জন্য বিধিমালায় আইনি কার্যবিধি অন্তর্ভুক্ত করা।