মাহিমের বোন পরিচয়ে সানজানা আক্তার স্নেহা তার ফেসবুকে লিখেন, ‘১৮ তারিখ কলেজের উদ্দেশ্যে বের হলে ফাহিম জানতে পারে পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। তখন বন্ধুদের সঙ্গে মিছেলে জরিয়ে পরে। জানতে পারি, তার পায়ে রাবার বুলেট লাগায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কিন্তু রাত ১০টা পর্যন্ত সব হাসপাতাল খুঁজে তাকে পাইনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাবার কাছে একটা কল আসে। তারা জানায়, ফাহিম আমাদের হেফাজতে আছে। জানা-জানি করিয়েন না।
তাতে ফাহিমের ক্ষতি হবে। তাকে আগামীকাল সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে, চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু পরের দিন সকালে খোঁজ নিলে তারা অস্বীকার করে বলে তাদের কাছে এই নামে কেউ নেই। এরপর আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৪টায় কোর্ট থেকে কল আসে, ফাহিমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কোর্ট থেকে নথিপত্র নিয়ে জানলাম, তার বিরুদ্ধে আবু সাইদ হত্যার মামলা দেওয়া হয়েছে। সেদিন থেকে বারবার কারাগারের দরজা থেকে ফিরে এসেছি। একটাবার দেখা তো দূরের কথা, তার কন্ঠও শুনতে দেয়নি কেউ।’
ভাইকে ফিরে পাওয়ার আকুঁতি জানিয়ে তিনি আরো লিখেন, ‘ছেলেটা লিগাল ডকুমেন্টস অনুযায়ী শিশু, এমনকি মামলায় প্রদত্ত ঘটনার সময় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তাকে কোন হিসেবে এভাবে হয়রানি করছে? সব থেকে বড় কথা, তার গায়ে কলেজ ড্রেস ছিল, আইডি ছিল, সে পুলিশদের ইনস্টিটিউটেরই ছাত্র।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই সাঈদের হত্যা মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ ছাড়া এই নামে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় নাই।
যোগাযোগের এক ঘণ্টা পর পুলিশ কমিশনার আবার কল দিয়ে বলেন, ‘১৮ তারিখ তাজহাট থানায় আক্রমণ করা হলে একজনকে আটক করা হয়। তখন ভয়ে বলেনি, সে শিক্ষার্থী। এই বিষয়টা আমরা সহানুভূতি সঙ্গে দেখবো।’
আলফি শাহরিয়ার মাহিম রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। কলেজ আইডি- ১৭৬৬০, বয়স ১৬ বছর ১০ মাস।
সুত্রঃ কালের কন্ঠ