পুরান ঢাকার বংশালের মিরনজিল্লা সুইপার কলোনিতে সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানের সময় হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরই প্রতিবাদে আগামী ১৩ জুলাই দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্ত।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
দেশব্যাপী ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চলমান হামলা, ভূমি দখল, দেবোত্তর সম্পত্তি দখল ও মিরনজিল্লা কলনিতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযান এবং এসময় স্থানীয় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ন্যাক্কারজনক হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
রানা দাস গুপ্ত বলেন, বাংলাদেশের সব নাগরিকের অধিকার সমান, সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদে সব নাগরিককে সম-অধিকার দেয়া হয়েছে। একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মদদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জোর করে, হামলা চালিয়ে মিরনজিল্লার অধিবাসীদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। এরপর ও গতকাল সিটি করপোরেশনের ৩৩ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর আউয়াল হোসেনের নেতৃত্বে দুষ্কৃতকারীরা মিরনজিল্লার হরিজন কলোনীতে যে হামলা চালিয়েছে এর তীব্র নিন্দা জানাই।
এসময় মানবাধিকার কর্মী সীমা দত্ত বলেন, ৪০০ বছর আগে হরিজনদের পূর্বপুরুষদের ভারত থেকে এই অঞ্চলে পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য আনা হয়। বর্তমানে সাত শতাধিক পরিবার এই মিরনজিল্লা হরিজন কলোনিতে গাদাগাদি করে বসবাস করছে। তাদের মধ্যে পাঁচ শতাধিক পরিবারের সদস্য সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত। বাদবাকি দুই শতাধিক পরিবারের সদস্যের সবাই কোনো না কোনো সময়ে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তাদের অনেকেই মারা গেছেন। কেউ বা চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এমন বাস্তবতায় অবৈধ বলে সিটি করপোরেশনে কর্মরতদের বাইরে অন্যদের উচ্ছেদ করলে তাদের পথে নামতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ মহাশ্মশানের করোনাযোদ্ধা এবং কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের কারনে গৃহহারা টনিডোম|