জাগো নারায়ণগঞ্জ
৬৮ নং চেংগাকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম মাষ্টারের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৯ই জুন রোজ রবিবার সকাল ১০ঘটিকার সময় সরেজমিনে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ৬৮নং চেংগাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম মাষ্টার তার বিরুদ্ধে উঠা দূর্নীতির বিভিন্ন তথ্য অস্বীকার করে বলেন,ঘটনা সত্য নয়,মিথ্যা বলে এড়িয়ে যান তিনি।
দীর্ঘ চার বছর যাবৎ এই বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে একটার পর একটা অনিয়ম করেই যাচ্ছেন। এ নিয়ে এলাকা বাসি শিক্ষার মান উন্নয়নে সমস্যা হচ্ছে বিধায় অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। কারো কোন কথাই আমলে নিচ্ছেন না তিনি।
জানাযায়, প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম মাষ্টার এলাকার কাছাকাছি বাড়ি হওয়ায় প্রভাব বিস্তার করে ক্ষমতার দাপটে কার্যকরি যে স্কুল কমিটি ছিল সেই কমিটি বিলুপ্ত করে নিজ ক্ষমতায় যখন যা মনে হয় তাই করে যাচ্ছেন। তিনি নিদিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ে না এসে তার নিজ ইচ্ছামত১১/১২টায় বিদ্যালয়ে আসছেন এবং যাচ্ছেন। এতে করে অন্যান্য শিক্ষকগণও একই ভাবে চলছেন।ঠিকমত ক্লাস হচ্ছে না এবং টাইম মেইনটেন করছে না।এ ব্যাপারে ২/৩ বছর যাবৎ এলাকার কমিটিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অভিযোগ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে । মূল কথা হলো শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি নষ্ট করতেছে এই প্রধান শিক্ষক। তিনি ২লক্ষ টাকার কাজ উপজেলা শিক্ষা অফিসার থেকে নিয়ে আসছেন কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে। এই জাল স্বাক্ষর পরবর্তীতে ধরা খেলে কমিটির সবাইর সামনে তিনি মাফ চেয়ে ক্ষমা চেয়েছেন ভবিষ্যতে এরূপ কাজ আর করবেন না বলেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার দৌলতুর রহমান তার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তিনি সরেজমিনে থেকে। তিনি এ ব্যাপারে শিক্ষককে সর্তক করে দিয়েছেন।
শিক্ষার গুনগত মানউন্নয়নে এলাকা বাসির দাবি এই প্রধান শিক্ষককে অন্যত্র বদলি করে অন্য একজন ভালো শিক্ষক দিলে খুবই ভালো হবে এবং শিক্ষার মান ঠিক থাকবে।এলাকিবাসি আরো জানান,এই ধরনের বাজে শিক্ষক ও নোংরা প্রকৃতির মানুষ দিয়ে ভালো শিক্ষা আশা করা যায় না। ঠিক মত ক্লাস করে না।শিক্ষা দানে শ্রেণীকক্ষে মনোযোগ নাই তার।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এই প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম মাষ্টার তিনি বাড়ি মজলিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকা কালিন অবস্থায় চতুর্থ শ্রেণী ও পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের বাধ্যতামূলক তার কাছে প্রাইভেট পড়তে হতো।তার কাছে না পড়লে ছাত্রছাত্রীদের ফেল করে দিতেন এবং প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ৩০০থেকে ৪০০ টাকা করে বেতন নিয়ে থাকতেন। এ ভাবে তিনি সাত বছরে প্রায় অনেক টাকা কামিয়েছেন এবং তার নামে বিভিন্ন জায়গায় জমি ক্রয় করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে তার সম্পদের পরিমান উদঘাটন করা দরকার মনে করছেন সচেতন মহল।