নারায়ণগঞ্জ মঙ্গলবার | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  সর্বশেষঃ
সাংবাদিক সোহেলের মা’য়ের মৃত্যুতে মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের শোক
সরিষা ফুলের মধু আহরণে স্বাবলম্বী মৌয়ালরা
বকশীগঞ্জে ইউএনও’র বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা
ইসলাম শাহ উরফে পাগলা বাবার ৭ দিনব্যাপী উরস মোবারক উদ্বোধন 
প্রশ”সারাদেশে ছিনতাই, ধর্ষন ও হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র ফেডারেশন এর মানববন্ধন”
সোনারগাঁয়ে ২৫ কেজি গাঁজা ও পিকআপ ভ্যানসহ আটক-৩
আমতলীর দুই গ্রামে ৪ ইট ভাটা, পরিবেশসহ ফসল বিপর্যয়
আমতলীর ইউএনওর বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন
আমতলী উপজেলা শাখার জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত
রেলওয়ের জায়গা দখল করে শ্রমিকদল নেতা সফির ঘর নির্মাণ!
অসুস্থ বিএনপি নেতা অধ্যাপক মনিরুল ইসলামকে দেখতে গেলেন মুহাম্মদ সাদরিল
ইসলামপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে মানেই চাঁদাবাজীর অভয়ারন্য!
বকশীগঞ্জে রফিক ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ
বাংলাদেশে হিন্দুদের জন্য কতদূর কী করার আছে ভারতের?
“সারাদেশে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ কলেজ শাখার মানববন্ধন”
আমতলীর ইউএনওর বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন!
আমতলীতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ, গলায় ফাঁস লাগিয়ে স্বামীর আত্মহত্যার নাটক!
জনগণের রক্ত নিয়ে যারা হোলি খেলেছে তাদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না -মুফতি মাসুম বিল্লাহ
ইসলামপুর মোটর সাইকেল সংঘর্ষে কিশোরের মৃত্যু আহত দুই
সোনারগাঁয়ে ফেন্সিডিলসহ আটক-১
সোনারগাঁয়ে ৪ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ 
আমতলীতে খাবারের লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ!
ফতুল্লায় গাড়ী চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
হাসিনা-টিউলিপের রাশিয়া সফর ও ৪ বিলিয়ন পাউন্ড ঘুস
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: ট্রাইবুনালে হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
ভয়ংকর যেসব মাদকে আসক্ত তিশা টয়া সাফা ও সুনিধি
বিজয় দিবস উপলক্ষে জাগরনী ক্রীড়াচক্র ক্লাবের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরন
নারায়ণগঞ্জ বধির উন্নয়ন সংস্থার পক্ষে বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি
আমতলীতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত
Next
Prev
প্রচ্ছদ
তিস্তা প্রকল্পে ভারতের আগ্রহ, চুক্তির ভবিষ্যৎ কী?

তিস্তা প্রকল্পে ভারতের আগ্রহ, চুক্তির ভবিষ্যৎ কী?

প্রকাশিতঃ

বিবিসি বাংলা

বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি এড়িয়ে গিয়ে এবার নদী ব্যবস্থাপনার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশ মনে করছে এতে করে তিস্তার পানি সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান হবে। কিন্তু স্থানীয় জনগণ, পানি ও কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বিবেচনায় তিস্তা সমস্যা সমাধানে ভারতের নতুন এই প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবে দেখার সুযোগ নেই।

ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিস্তার পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে যখন ওই আলোচনা এবং সমঝোতা চলছে তখন তিস্তায় ভারত থেকে আসা পানির ঢলে বন্যা ও ভাঙনের শিকার হয়েছে রংপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। তিস্তার পানি নিয়ে উত্তরের জনপদের মানুষের দুর্ভোগ বহুমাত্রিক।

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের মানুষ বলছেন, দেশটির তিস্তা নদী এখন এক মৌসুমী নদীতে পরিণত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে নদী একেবারে শুকিয়ে যায়। আর বর্ষাকালে পানি উপচে পড়ে, সৃষ্টি হয় নদী ভাঙ্গন।

সরেজমিন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার গদাই গ্রামে গিয়ে দেখা যায় নদী ভাঙন প্রতিরোধ করতে নদী তীরে বাঁশ পুতে রাখা এবং বালির বস্তা ফেলা হয়েছে।

স্থানীয়রা বলেন, কিছুদিন আগে হঠাৎ তিস্তায় পানি বেড়ে বন্যা হয় তারপর শুরু হয় নদী ভাঙন। এলাকাবাসীর দাবি এবছর কয়েকশ হেক্টর ফসলি জমি, ঘরবাড়ি রাস্তা বিলীন হয়েছে তিস্তার ভাঙনে।

গদাই গ্রামের মো. হাফেজ আলী বলেন, তিস্তায় তিনদফা তার পরিবার ভাঙনের শিকার।

নদীর মাঝ বরাবর দেখিয়ে তিনি বলেন, আমার বাপ-দাদা ওদিকে আছিলো ওরাও ভাঙছে, আইঙ্গের কালে (আমাদের সময়ে) এইডে নিয়ে মনে করো দুইবের, তিনবের পড়ে গেল ভাঙা।

তিস্তার বন্যা ও ভাঙ্গনে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমি, বসতবাড়ি আর গ্রামীণ সড়ক, তেমনি শুস্ক মৌসুমে নদীতে দেখা যায় পানির তীব্র্র সংকট।

কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত হাফিজ আক্ষেপ করে বলেন, যে সময় আমাদের দরকার, সে সময়তো পানি দেয় না।

তিস্তা মহাপরিকল্পনায় চীন-ভারতের ভারসাম্য কীভাবে করবে বাংলাদেশ

গ্রামের এক নারী বলছিলেন, যখন পানি ভারতে আটে না তখনই পানি ছেড়ে দেয়। আমাদের বসত-বাড়ি-ভিটে, মনে করেন যে জায়গা-জমিন সব চলে গেছে। এখন আমাদের থাকাও খুব রিক্সের উপরে।

তীর ধরে গ্রামের ভেতরে গিয়ে দেখা যায় নদী ভেঙে তিস্তার এক পাড় এসে থেমেছে গদাই গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস আলী বাড়ির সীমানায়।

বিবিসিকে তিনি বলেন, ব্যাপক হারে পানি দিল, দেশকে দেশ ভাইঙ্গে নিয়ে গেল। তাইলে এই পানি দিয়ে কী করমু। পানিতো এহন মরনের গলার দড়ি।

অমীমাংসিত তিস্তা ইস্যু

তিস্তা ভারত বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত অন্যতম একটি অভিন্ন নদী। শুষ্ক মৌসুমে পানি ভাগাভাগি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত হলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরোধিতায় সেটি গত এক দশকেও আলোর মুখ দেখেনি। অভিন্ন নদী হিসেবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি না করে উজানে তিস্তার পানির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করছে ভারত।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এই তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের ইস্যুটি একটি অমীমাংসিত সমস্যা। দুই দেশের সম্পর্কের আলোচনায় তিস্তা একটি বড় ইস্যু। তাই দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক হলে তিস্তা ইস্যুতে কী আলোচনা হয় বা সিদ্ধান্ত হয় সেটি নিয়ে বিপুল আগ্রহ থাকে বাংলাদেশে।

এই আষাঢ়ের ঢলে যখন তিস্তার বন্যা এবং ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে সে সময়টিতে এক দ্বিপাক্ষিক সফরে ভারতে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভারত সফরে গিয়ে তিস্তা নিয়ে কী আলোচনা হয় সেটি নিয়েও তাই বেশ আগ্রহ ছিল বাংলাদেশে। তিস্তা জনপদের মানুষের আগ্রহ ছিল আরো বেশি।

তবে এবারো শীর্ষ বৈঠক থেকে তিস্তা সমস্যার দ্রুত সমাধানের কোনো ইঙ্গিত মেলেনি। বরং তিস্তা চুক্তি এড়িয়ে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহ দেখিয়েছে ভারত।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই এ বিষয়ে একটি কারিগরি দল বাংলাদেশে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

তিস্তা চুক্তি সম্পাদন এবং বাংলাদেশে ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ বাস্তবায়নসহ ছয় দফা দাবি পূরণে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে রংপুরে।

উত্তরাঞ্চলে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ নামে এ সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী বিবিসিকে বলেন, এবারের বৈঠকের ফলাফলে তিস্তাপাড়ের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছে। একটি পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কারিগরি টিম আসবে। তিস্তা চুক্তির কথা এখানে অধরাই থেকে গেছে।

তিস্তা প্রকল্পে নিয়ে বাস্তবায়ন নিয়ে উদ্বেগ

তিস্তা চুক্তির পরিবর্তে এখন বেশি আলোচনা হচ্ছে নদী ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রকল্প ঘিরে। উত্তরাঞ্চলে এটি তিস্তা মহাপরিকল্পনা নামে পরিচিত। এ প্রকল্পটি মূলত বাংলাদেশ অংশে বাস্তবায়ন করা হবে। তিস্তায় এ প্রকল্প যাচাই করতে বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পাওয়ার চায়না যৌথভাবে প্রায় তিন বছর সমীক্ষা করে। সমীক্ষা শেষে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনার একটি প্রস্তাব তৈরি করে ।

ওই প্রকল্পের আওতায় তিস্তায় নদী খনন, ভূমি উদ্ধার করে সেচ, নৌ চলাচল, পর্যটন, আবাসন ও শিল্পায়নের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়। এ প্রকল্প আর্থিক কারিগরি সহায়তা দিতে চীন যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং বাংলাদেশ সরকারকে তাগাদা দিচ্ছে তখন তিস্তা প্রকল্পে নতুন প্রস্তাব নিয়ে সামনে এসেছে ভারত।

দ্বিপাক্ষিক সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জানান তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীন ভারত উভয়ের প্রস্তাব আছে। তিনি বলেন, যে প্রস্তাবটি বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে আসবে সেটি গ্রহণ করা হবে।

একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, তিস্তার পানির দাবিটা অনেক দিনের। তো ভারত যদি আমাদের তিস্তার প্রজেক্টটা করে দেয় তাহলে আমাদের সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেল। সেটাই আমার জন্য বেশি সহজ হলো না? আপনারাই বিবেচনা করে দেখেন।

সরকার প্রধানের বক্তব্য আর ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের বাস্তবতা বিশ্লেষণ করে অনেকে নিশ্চিত যে তিস্তা প্রকল্প এখন ভারতের মাধ্যমেই বাস্তবায়নের পথে এগুবে বাংলাদেশ।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বিবিসিকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে যেটা এসেছে তাতে মনে হয় ভারতের মাধ্যমেই সম্ভবত এ প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে। স্পষ্টতই সেটা যদি হয় তাহলে দীর্ঘসূত্রতার পাল্লায় যে পড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে এটা ঝুলে যাবে এবং আগামী দুই চার বছরের মধ্যে এখানে বড় কোনো প্রগ্রেস দেখতে পারবো এরকম কোনো আশা করি করি না। যদি হয় তাহলেতো উই উইলবি হ্যাপি কিন্তু আশা করা যায় না।

তিস্তা প্রকল্পে ভারতের আগ্রহ নিয়ে পানি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, পানি চুক্তি ছাড়া তিস্তা প্রকল্প সমস্যা সমাধানে কাজে আসবে না। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটা কাজে স্বচ্ছতা থাকতে হবে, জবাবদিহিতা থাকতে হবে। প্রত্যেকটা কাজে যারা স্টেকহোল্ডার তাদের সাথে অংশীদারিত্ব থাকতে হবে।

আমিতো একজন অংশীদার। তেমন অশিক্ষিত না। মোটামুটি কিছুটা শিক্ষিত। আমিতো জানি না কিছু। আমিতো পরিস্কার অন-রেকর্ড বললাম আমি জানি না কী হতে যাচ্ছে। চীনের সাথে কী হচ্ছে, আর ভারত যখন এসে বলেছে আমাদের প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে দেব। এখনতো তার থেকেও পেছনে গেল। আমরা এখন সমীক্ষা চালাবো। এর সমীক্ষা চালাতে আমাকে যদি ফিজিবিলিটি করতে দেয় আমিতো মিনিমাম দু’-তিন বছর চাইবো।

ড. আইনুন নিশাত বলছেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পলিটিক্যাল যে অ্যাপ্রোচ নেবে ভারত আর বাংলাদেশ সেটিও ভিন্ন ভিন্ন হবে।

সমস্যা সমাধান কীভাবে?

তিস্তা নদীর উজানে ভারত এবং ভাটিতে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে এ নদীর পানিতে উভয় দেশের অধিকার নিশ্চিত করতে অববাহিকা ভিত্তিক নদী ব্যবস্থাপনার দরকার। এবং এর জন্য জলাধার নির্মাণ প্রয়োজন উজানে ভারতীয় অংশে।

তিস্তা প্রকল্পে চীনের প্রস্তাব এবং ভারত কী করতে চায় তার কোনোটিই এখনো পরিস্কার নয় বলে উল্লেখ করেন ড. আইনুন নিশাত। তিনি বলছেন ভারত চীন যেদেশই বাস্তবায়ন করুক না কেন কারিগরি দিক বিবেচনায় তিস্তা প্রকল্পের মাধ্যমে পানি সমস্যার প্রকৃত সমাধান হবে না।

তিনি বলেন, তিস্তা দিয়ে কোনো পানি আসে না। এই শূন্য পানি দিয়ে আপনি কী ব্যবস্থাপনা করবেন। হ্যাঁ, ব্যবস্থাপনা করা যায় উজানে যদি জলাধার নির্মাণ করা যায়। উজানে জলাধার করলে বর্ষায় তিন লাখ চার লাখ কিউসেক পানি যে আসে তার পানি ধরে রাখলাম, পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন করলাম এবং পানি ছাড়লাম সারা বছর। বর্ষার সময় একটু বেশি কিন্তু শীতকালে কিছুতেই বিশ হাজারের কম হবে না। তাহলে বিশ হাজার হলে ভারত যদি ১০-১২ হাজার কিউসেক নেয় আমাদেরকে ৮ হাজার দিলে দুই দেশের চাহিদা মেটে। কাজেই ব্যবস্থাপনার জন্যে জলাধার নির্মাণ প্রয়োজন। এই জলাধারতো বাংলাদেশের তিস্তার বুকে করা সম্ভব না।

‘ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা যত বাড়বে, দর-কষাকষি তত দুর্বল হবে’

সমস্যা সমাধানের জন্য স্বল্পমেয়াদে চুক্তি চূড়ান্ত করার ওপর গুরুত্ব দেন আইনুন নিশাত।

তিস্তা নদীর পানি বণ্টন আর নদী ব্যবস্থাপনার আলোচনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সৃষ্টির আগে থেকেই। কিন্তু এর সুষ্ঠু বণ্টনে চুক্তি না থাকা এবং শুষ্ক মৌসুমে ভারত একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে তিস্তা বাংলাদেশে বহুমাত্রিক সংকট সৃষ্টি করেছে।

আইনুন নিশাত বলছেন, আল্টিমেটলিতো ভারত থেকে কতটা পানি আসবে সেটার সিদ্ধান্ত হতে হবে। এখন পর্যন্ত ভারত গায়ের জোরে আমাকে শূন্য দিচ্ছে। এটাতো আলোচনার বিষয়বস্তু হতে পারে না। কাজেই বণ্টনের ব্যবস্থাপনা ছাড়া কোনো ব্যবস্থাপনার মহাপরিকল্পনা আমার কাছে অবাস্তব মনে হয়।

ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্লেষণ করে তৌহিদ হোসেন বলছেন ভারতকে তিস্তা চুক্তির টেবিলে নিয়ে আসা বাংলাদেশের জন্য সহজ নয়।

তার মতে, এ সরকার আসলে অনেকখানি ভারত নির্ভর। কাজেই আপনার যখন নির্ভরশীলতা বেশি থাকবে তার ওপর আপনি লিভারেজ কী করে প্রয়োগ করবেন। পানির ব্যাপারে আমাদের অনেকটাই ভারতের বদান্যতার ওপর নির্ভর করতে হবে। ন্যূনতম সম্পর্ক রাখার জন্য বাংলাদেশকে যতটুকু সুবিধা দেয়া প্রয়োজন তারা মনে করবে, ততটুকুই দেবে। এর থেকে বেশি দেবে না এটাই হলো আমার বিশ্বাস।

এ সম্পর্কিত আরো খবর

উপদেষ্টা মন্ডলীঃ

ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম

সম্পাদক মন্ডলীঃ

মোঃ শহীদুল্লাহ রাসেল

প্রধান নির্বাহীঃ

মোঃ রফিকুল্লাহ রিপন

সতর্কীকরণঃ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি
অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও
প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
সকল স্বত্ব
www.jagonarayanganj24.com
কর্তৃক সংরক্ষিত
Copyright © 2024

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ

বনানী সিনেমা হল মার্কেট
পঞ্চবটী ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ
ফোন নম্বরঃ ০১৯২১৩৮৮৭৯১, ০১৯৭৬৫৪১৩১৮
ইমেইলঃ jagonarayanganj24@gmail.com

Website Design & Developed By
MD Fahim Haque
<Power Coder/>
www.mdfahim.com
Web Solution – Since 2009

error: Content is protected !!