নারায়ণগঞ্জ বৃহস্পতিবার | ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  সর্বশেষঃ
প্রকাশিত সংবাদের আংশিক প্রতিবাদ
সোনারগাঁয়ে আরিফের হাত ভেঙ্গে দিলো কিশোরগাং সদস্যরা!
বিএনপি নেতা শাওনের মায়ের কুলখানিতে সাবেক এমপি গিয়াস সহ বিএনপি নেতাকর্মীরা
বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল ভারত
বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক কার্যকর, এশিয়ায় শেয়ারবাজারে পতন
নানা আয়োজনে নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ স্কাউট দিবস পালিত
যেভাবে রাজউকের ১০ কাঠার প্লট বাগিয়ে নেন পুতুল
আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
ভোল পালটে হাসিনাকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বললেন তুরিন আফরোজ
রুপগঞ্জের তারাবো’তে বিএনপি নেতার শেল্টার ডেভিল রুবেল ভূইয়া বাহিনী বেপরোয়া!
আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ভালবাসতে হবে – ইউএনও ফারজানা  
গাজায় ফিলিস্তিনীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জামালপুরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ
গাজায় ফিলিস্তিনে গনহত্যার প্রতিবাদে ইসলামপুরে বিক্ষোভ
ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন
ফতুল্লায় পুকুর থেকে অজ্ঞাত কিশোরের লাশ উদ্ধার
আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বকশীগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল
গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধের দাবিতে দেশে দেশে বিক্ষোভ
রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ডে কোকাকোলার নাম থাকায় ভাংচুর
পুকুরে গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল শিশুর
সোনারগাঁয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মিস্ত্রির মৃত্যু, আহত ১
না ফেরার দেশে সাবেক মেয়রের ভাই রিপন
আজানের সময় আল্লাহু আকবার বলার সাথে সাথে বর্বর ইজরাইল বোমা হামলা করে – মাসুম বিল্লাহ
“আমরা আমতলীবাসী” সংগঠনের কমিটি গঠন
আমতলীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত
গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস গনহত্যার প্রতিবাদে উলামা পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল
জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম জেলা কমিটির ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন!
দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন বক্তাবলী ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ আহম্মেদ
কাবাদ ও দেলোয়ারের নেতৃত্বে রশিদ চেয়ারম্যানকে ফুলেল শুভেচ্ছা
আমরা এই হত্যার নীতি থেকে পরিত্রাণ চাই – ফারহানা মানিক মুনা
Next
Prev
প্রচ্ছদ
৬ ভোজ্যতেল কোম্পানির কাছে জিম্মি সরকার, জানা গেল কারণ

৬ ভোজ্যতেল কোম্পানির কাছে জিম্মি সরকার, জানা গেল কারণ

প্রকাশিতঃ

গত বছর ঠিক একই সময়ের (অক্টোবর-নভেম্বর) তুলনায় ২০ শতাংশ সয়াবিন তেল কম আমদানি হয়েছে। তারপরও যে পরিমাণ তেল আছে তা দিয়ে অনায়াসে আরও দুই মাস চলবে। এছাড়া এর আগের তেলও মিলে আছে। সঙ্গে পাইপলাইনে থাকা তেলও রোজার আগেই দেশে ঢুকবে। তারপরও বিশ্ববাজারে দাম বেশি ও আমদানি কমের অজুহাতে ৬ কোম্পানি কারসাজি করেছে।

রোজা শুরুর চার মাস (নভেম্বর) আগ থেকেই ডিলারের কাছে পর্যাপ্ত সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। এতে খুচরা পর্যায়েও কমেছে সরবরাহ। ফলে বাজার থেকে বোতলজাত তেল উধাও হয়ে গেছে। দুই-এক দোকানে মিললেও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। তাই খোলা তেলের ওপর চাপ বাড়ায় দামও হু-হু করে বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা। শনিবার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে ২০২২ সালে মার্চে ভোজ্যতেল নিয়ে আমদানিকারক ও উৎপাদক ছয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কারসাজির প্রমাণ পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তখন দেখা যায়, অতি মুনাফা করতে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর সিন্ডিকেট বাজারে তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেয়। এতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়। হু-হু করে বাড়ে দাম। অস্থির হয়ে ওঠে ভোজ্যতেলের বাজার। ওই সময় প্রতিলিটার সয়াবিন তেল ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়। তখন অধিদপ্তর মিলগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে। সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে এপ্রিল মাসে ২৪ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। তারপরও মন্ত্রণালয় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। বরং তেলের দাম ব্যবসায়ীদের চাহিদামতো দাম বাড়িয়ে মন্ত্রণালয় থেকে নতুন মূল্য ঘোষণা করা হয়। এতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও ক্রেতার বাড়ে নাভিশ্বাস।

ট্যারিফ কমিশনের তথ্যমতে, সরকারি হিসাবে বছরে দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে ২২ লাখ টন। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে ২ লাখ টন ভোজ্যতেল উৎপাদন হয়। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি হয় ২৩ লাখ টন। আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যমতে, চলতি বছরের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে দেশে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার টন। গত বছরের একই সময়ে এই আমদানির পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৬০ হাজার টন। সে হিসাবে আমদানি কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। কিন্তু দেশে এক মাসের তেলের চাহিদা ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৩৩ টন। এ হিসাবে দেশে যে পরিমাণে তেল মজুত আছে তা দিয়ে আরও দুই মাস অনায়াসে চলার কথা। তারপরও আমদানিকারকরা ডিলারদের কাছে সরবরাহ করছে না। এতে খুচরা পর্যায়ে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন যুগান্তরকে বলেন, সংকটের কোনো কারণ নেই। আমরা বিগত দিনে দেখেছি দেশে ৫ থেকে ৬টি কোম্পানি সয়াবিনের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়ার পর সাপ্লাই বন্ধ করে দেয়। সাপ্লাই বন্ধ করে দিয়ে তারা সরকারের কাছে প্রস্তাব দেয় দাম বাড়ানোর। এবারও সেটাই করা হচ্ছে। রোজা ঘিরে তারা এমন কারসাজি করছে। তিনি আরও বলেন, সরকারের উচিত এখন কোম্পনিগুলোর কাছে কী পরিমাণে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত তেল মজুত আছে তার খোঁজ নেওয়া। কোনো অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।

শনিবার রাজধানীর একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের মুদি দোকানগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন নেই। দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও রাখা হচ্ছে গায়ের দাম থেকে বেশি। ক্রেতারা বলছেন, দোকানিরা আগের কেনা তেল এখনো বিক্রি করছে। তবে নতুন করে তারা তেল পাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে খুচরা বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েল লিটারপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। শনিবার খোলা পাম অয়েল বিক্রি হয় ১৬০-১৬২ এবং খোলা সয়াবিন ১৭০-১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৬৭-১৭০ টাকা, দুই লিটার ৩৩৪ টাকা ও ৫ লিটার ৮১৮ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ দিন রাজধানীর জিনজিরা কাঁচাবাজারের মুদি বিক্রেতা সোহেল (ছদ্মনাম) যুগান্তরকে বলেন, নভেম্বর মাসে পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৭৯০-৮০০ টাকা দিয়ে কিনে খুচরা পর্যায়ে ৮১৮ টাকায় বিক্রি করতাম। এখন পাওয়া যাচ্ছে না। ডিলাররা অল্প পরিমাণে সরবরাহ করছেন। তাই ডিলাররা সংকট দেখিয়ে আজও ৮১০ টাকা দিয়ে বিক্রি করেছে। তবে সরকার নির্ধারিত পণ্যের গায়ের লিখিত খুচরা মূল্য ৮১৮ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া এক লিটারের বোতলজাত তেলেও একই অবস্থা। এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭-১৭০ টাকা খুচরা মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ তেল ডিলারদের কাছ থেকে ১৬২ টাকা দিয়ে কিনতাম। এখন ১৬৫ টাকা দিয়েও পাচ্ছি না।

তিনি জানান, চাহিদা দিয়েও অনেক কোম্পানির কাছ থেকে চাহিদামাফিক বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কোম্পানি দিচ্ছে না। যে কারণেও খুচরা বাজারে বোতলজাত তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। কোম্পানিগুলো ইচ্ছা করেই এমনটা করেছে। যাতে রোজার আগে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা করতে পারে। তাই এখন থেকেই এ বিষয়ে নজর দিতে হবে।

রামপুরা বাজারের মুদি বিক্রেতা জাহিদ জানান, নভেম্বর মাসে শুরু থেকে বাজার থেকে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। তখন ডিলারদের কাছ থেকে প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন ১৮২ টাকায় কিনতে হয়েছে। সে সময় খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করতে হয়েছে ১৮৫ টাকা। তবে অক্টোবর মাসের শেষদিকে তা ১৫৭-১৫৮ টাকায় ডিলারদের কাছ থেকে কিনতাম। খুচরা বিক্রি করতাম ১৬০ টাকা। বর্তমানে দাম কিছুটা কমায় খুচরায় ১৭৫ টাকায় বিক্রি করছি।

এদিকে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বাড়াতে ও বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানিতে দুই দফায় শুল্কু-কর কমানো হয়। প্রথম দফায় ১৭ অক্টোবর ও দ্বিতীয় দফায় ১৯ নভেম্বর শুল্ক-কর কমিয়ে নামানো হয়েছে শুধু ৫ শতাংশে। তারপরও তেলের বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। দাম কমেনি বরং সরবরাহ কমিয়ে সংকট তৈরি করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে দাম।

ভোজ্যতেলের বিষয়ে টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তাসলিম জানান, সরকার শুল্ক-কর যা কমিয়েছে, তার চেয়ে বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে বেশি। কোম্পানিগুলো লোকসানের ঝুঁকিতে থাকলেও সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। চলতি মাসে সরবরাহ বাড়িয়েছে।

জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বাজারে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে ভোজ্যতেলের বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। কেন বাজার থেকে উধাও হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোন পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের কারণে এমনটা হচ্ছে, তা দেখা হচ্ছে। অনিয়ম সামনে এলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

যুগান্তর

এ সম্পর্কিত আরো খবর

উপদেষ্টা মন্ডলীঃ

ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম

সম্পাদক মন্ডলীঃ

মোঃ শহীদুল্লাহ রাসেল

প্রধান নির্বাহীঃ

মোঃ রফিকুল্লাহ রিপন

সতর্কীকরণঃ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি
অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও
প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
সকল স্বত্ব
www.jagonarayanganj24.com
কর্তৃক সংরক্ষিত
Copyright © 2024

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ

বনানী সিনেমা হল মার্কেট
পঞ্চবটী ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ
ফোন নম্বরঃ ০১৯২১৩৮৮৭৯১, ০১৯৭৬৫৪১৩১৮
ইমেইলঃ jagonarayanganj24@gmail.com

Website Design & Developed By
MD Fahim Haque
<Power Coder/>
www.mdfahim.com
Web Solution – Since 2009

error: Content is protected !!