দুর্নীতি প্রসঙ্গে দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘৬ মাসে টার্গেট ৪০ দুর্নীতিবাজ’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান দুই কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের তথ্য নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছেন।
প্রথম ধাপে আগামী ছয় মাসে অন্তত ৪০ জন দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র ও তার এক উপদেষ্টার বরাতে জানিয়েছে দেশ রূপান্তর।
সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হবে। শুধু আমলা বা বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যই নয়, রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বলা হয়েছে, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলতে থাকবে সরকারের পুরো মেয়াদ জুড়ে। আগামী বছর সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান আরও কঠোর হবে।
ওই দুটি সূত্র আরও জানায়, সরকারের পাশাপাশি দলকে দুর্নীতিবাজমুক্ত করতে চান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Dhaka to seek $20b fresh loans from Beijing’ অর্থাৎ, ‘বেইজিংয়ের কাছ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণ চাইবে ঢাকা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরের সময় বাংলাদেশ ২০ বিলিয়ন ডলারের নতুন ঋণ চাইবে, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি “গেম চেঞ্জার” হবে বলে বেইজিং আশা করছে।
এর মধ্যে, ১৫ বিলিয়ন ডলার হবে অবকাঠামো প্রকল্পের জন্য এবং পাঁচ বিলিয়ন ডলার ইউয়ান মুদ্রায় দেয়া হবে চীন থেকে আমদানির জন্য।
টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর হাসিনার ভারতে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরের মাত্র দুই সপ্তাহ পর এই সফর হতে যাচ্ছে।
আগামী ৮ই জুলাই থেকে ১১ই জুলাই প্রধানমন্ত্রী এই সফরে যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
বাংলাদেশের বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার চীনে সফরের মাধ্যমে তিনি দুই প্রতিযোগী আঞ্চলিক শক্তির সাথ সুসম্পর্ক ধরে রাখতে চাইছেন।
ভারতকে ট্রানজিট দেয়া প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর, ‘ভারতকে টানজিট দিয়ে ক্ষতিটা কী হচ্ছে’
প্রতিবেদনে মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। বুধবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সমাপনী ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশ্বায়নের যুগে আমরা নিজেদের দরজা বন্ধ করে রাখতে পারি না। আজকে পৃথিবীটা গ্লোবাল ভিলেজ, একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ বন্ধ রাখার সুযোগ নেই।’
অধিবেশনে তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ট্রান্স-এশিয়া হাইওয়ে, ট্রান্স-এশিয়া রেলের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। আজকে ভারতকে আমরা ট্রানজিট দিলাম কেন? এটা নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া।’
‘আমাদের ট্রানজিট তো আছেই। ত্রিপুরা থেকে বাস চলে আসে ঢাকায়, ঢাকা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত তো যাচ্ছে।’
এতে ক্ষতিটা কী হচ্ছে? বরং আমরা রাস্তার ভাড়া পাচ্ছি। সুবিধা পাচ্ছে দেশের মানুষ। অনেকে অর্থ উপার্জনও করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নেপাল, ভুটান, ভারত, বাংলাদেশ—এই চারটি দেশ নিয়ে প্রতিটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে।
আমরা নেপাল-ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট করেছি ভারতে। এটা তো কোনো একটা দেশ না, আঞ্চলিক ট্রানজিট সুবিধা এবং যোগাযোগ সুবিধার জন্য করা হয়েছে।’
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নারী পাচার প্রসঙ্গে ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান খবর, ‘How trafficers target rohingya women at camps’ অর্থাৎ ‘কীভাবে পাচারকারীরা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নারীদের টার্গেট করে’।
প্রতিবেদনটি শুরু হয়েছে এক রোহিঙ্গা নারীর ঘটনা দিয়ে, যার স্বামী তাকে মালয়েশিয়া নেয়ার জন্য এক দালালকে সাড়ে চার লাখ টাকা দেয়। এরপর সমুদ্র যাত্রায় পাড়ি জমায় ১৮ বছরের মেয়েটি।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের ক্যাম্পে থাকা পরিবার তার কোনো খোঁজ পাচ্ছে না। এভাবে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী পাচারের শিকার হচ্ছেন এবং তাদের অধিকাংশই নারী বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর রিপোর্ট অনুসারে প্রায় সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী- যাদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ নারী এবং শিশু, তারা ২০২৩ সালে মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার স্বপ্নের জীবন পেতে ভয়াবহ সমুদ্র যাত্রা করে।
এতে বিভিন্ন ঘটনায় ৫৬৯জন শরণার্থী মারা যান বা নিখোঁজ হন বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা কক্সবাজারে দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে।
যাদের অধিকাংশই ২০১৭ সালে তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে নৃশংস সহিংসতার শিকার হয়ে পালিয়ে এসেছে।
কিন্তু এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অনেকেই বাংলাদেশের অস্থায়ী শিবিরের ভেতরে ক্ষুধা, অপহরণ ও সহিংসতা থেকে বাঁচতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিচ্ছে।
পেনশন বাতিলের দাবিতে শিক্ষকদের কর্মসূচি নিয়ে প্রথম আলোর শিরোনাম, ‘বিশ্ববিদ্যালয় অচল, মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের অপেক্ষায় শিক্ষকেরা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একযোগে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন।
এতে ক্লাস, পরীক্ষা হচ্ছে না। এভাবে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টানা তিন দিন ধরে অচল অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
শিক্ষকেরা আরও জানিয়েছেন, দাবি মানা না হলে পরবর্তী সময়েও কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা। তবে বিষয়টি নির্ভর করছে সড়কমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার ফলাফলের ওপর।
শিক্ষকদের দাবি তিনটি—১. ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন বাতিল। ২. সুপার গ্রেডে (জ্যেষ্ঠ সচিবরা যে গ্রেডে বেতন পান) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং ৩. শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন গত মার্চে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর থেকেই প্রত্যয় কর্মসূচির বিরোধিতা করে আসছে।
এ নিয়ে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, তিনি শিক্ষকদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না।
পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রত্যয় কার্যকর করতে চাইছে ৪০৩টি রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত ইত্যাদি সংস্থার ওপর।
কোটাবিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘কোটা বিরোধী বিক্ষোভ সড়ক-রেল অবরোধ’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।
দাবি আদায়ে রোববার ঢাকার শাহবাগসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন তারা।
কোটা নিয়ে চেম্বার আদালতে আপিল শুনানির আগের দিন শিক্ষার্থীরা বলেন, রায় পক্ষে না গেলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
কোনোভাবেই শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি মেনে নেবেন না। দাবি আদায়ে রাজপথের কর্মসূচি কঠোর থেকে কঠোর হবে।
কোটা বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে থেকে গণপদযাত্রা শুরু হয়। যা টিএসসি, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মোড়, মৎস্য ভবন প্রদক্ষিণ শেষে দেড়ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধের মাধ্যমে শেষ হয়।
শাহবাগ মোড়ে এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ রাস্তা ছেড়ে দেয়।
শিক্ষার্থীদের অবরোধে ওই এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।
দুর্নীতি প্রসঙ্গে দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘৬ মাসে টার্গেট ৪০ দুর্নীতিবাজ’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান দুই কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের তথ্য নিয়ে দেশ জুড়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছেন।
প্রথম ধাপে আগামী ছয় মাসে অন্তত ৪০ জন দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র ও তার এক উপদেষ্টার বরাতে জানিয়েছে দেশ রূপান্তর।
সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হবে। শুধু আমলা বা বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যই নয়, রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বলা হয়েছে, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলতে থাকবে সরকারের পুরো মেয়াদ জুড়ে। আগামী বছর সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান আরও কঠোর হবে।
ওই দুটি সূত্র আরও জানায়, সরকারের পাশাপাশি দলকে দুর্নীতিবাজমুক্ত করতে চান প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের ভেতরে পদবাণিজ্য নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির পদ বাণিজ্য’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দীর্ঘ আট বছর পর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের থানা ওয়ার্ডের কমিটি হচ্ছে।
প্রস্তাবিত কমিটির তালিকা এরই মধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় দপ্তরে। অভিযোগ উঠেছে, কমিটিতে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, ফুটপাত জমি দখলবাজ, ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত ও হত্যা মামলার আসামিরা স্থান পেয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসব কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রস্তাব করা হয়েছে বিএনপি, জামায়াত সমর্থকের নামও। এছাড়া ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে শীর্ষ নেতার সন্তানসহ, স্বজনের নামও তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে।
সীমাহীন পদবাণিজ্যের মাধ্যমে মহানগরের দুই অংশের শীর্ষ নেতারা বিতর্কিতদের নাম কমিটিতে রেখেছেন। একটি পদের জন্য ১০ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত নেতার পকেটে ঢুকেছে।
পদ বাগাতে নেতাকে দামি গাড়ি উপহারের ঘটনাও ঘটেছে। আবার টাকা দিয়েও বনিবনা না হওয়ায় ছিটকে পড়েছেন অনেকে।
এদিকে কয়েকজন পদপ্রত্যাশী মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের উপেক্ষা করে প্রস্তাবিত কমিটি তৈরি করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা দলের সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি তদন্ত করে যাচাই বাছাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ড. ইউনূসের মামলার রায় প্রসঙ্গে সংবাদের প্রথম পাতার খবর, ‘আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ড. ইউনূসসহ ৪ জনই দোষী’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্তকরণ (কনভিকশন) ও সাজার রায় স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে করা এক আবেদনের (ফৌজদারি রিভিশন) চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১৮ই মার্চ হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ড. ইউনূসসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেওয়া কনভিকশন কার্যকর থাকবে।
আপিল বিচারাধীন অবস্থায় কনভিকশন স্থগিত করার কোনো বিধান নেই। আপিল নিষ্পত্তির মাধ্যমে কেবল এই কনভিকশন বাতিল, বহাল ও সংশোধন হতে পারে।
রায়ে বলা হয়, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল থেকে চারজন জামিন পেয়েছেন। তাদের সাজা (সেনটেন্স) স্থগিত করার কোনো প্রয়োজন দেখা যাচ্ছে না, জামিন পাওয়ার পর তাদের সাজা–সংক্রান্ত আদেশ স্বয়ংক্রিয় ও আরোপিতভাবে স্থগিত আছে।
তাই যতক্ষণ তারা জামিনে আছেন, সাজা স্থগিত থাকবে। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শ্রম আদালতের দেওয়া জরিমানা স্থগিত থাকবে।
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান যত দ্রুত সম্ভব আপিল নিষ্পত্তি করবেন।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা এই মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘More rivers across Bangladesh swell to worsen flood’, অর্থাৎ, ‘বাংলাদেশের আরো নদী প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় দেশটির উত্তর, উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
এতে ১৮ লাখেরও বেশি মানুষ চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছে এবং ২৫ হাজার মানুষ সাময়িকভাবে গৃহহীন হয়েছে।
বিশাল হিমালয় অঞ্চলের উজান থেকে পানির স্রোত টানা তৃতীয় দিনের মতো বাংলাদেশের দিকে অব্যাহত রয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনা অববাহিকার নদ-নদীর পানি উপচে পড়তে শুরু করেছে। এতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে, রাস্তা ডুবে গিয়েছে, বাঁধ ও ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে, ফসল নষ্ট হয়েছে।
সেইসাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত ভূমিধসের কারণে কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি স্কুলের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে।
কক্সবাজারের উখিয়ায় ভূমিধসে এক রোহিঙ্গাসহ অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৭ই জুন থেকে ১০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এই মৃত্যুর সবগুলো ঘটনাই ঘটেছে সিলেট বিভাগে ডুবে গিয়ে।
সিলেট গত পহেলা জুলাই থেকে আকস্মিক বন্যায় ধুকছে। এখন ওই জেলার মানুষ তৃতীয় দফায় বন্যার কবলে পড়েছে।