ষ্টাফ রিপোর্টার
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার বিনাইরচর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী কামাল ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মিনারা বেগম নামে এক নারী।অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আমি মিনারা বেগম স্বামী শহিদুল্লাহ, সাং- ছোট বিনাইরচর, পোঃ ও থানা আড়াইহাজার, জেলা নারায়ণগঞ্জ। আমি এই মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, বিবাদী ১। কামাল (৪০) পিতা আউয়াল, সাং ছোট বিনাইরচর ২। আনোয়ার (৩২) পিতা লাল মিয়া, সাং ঝাউগড়া, ৩। দেলোয়ার (৩৫) পিতা বারেক ৪। জুয়েল (৩০) পিতা এজাহার, ৫। বাবু (২৫) পিতা মানিক মিয়া ৬। মিজান (৩৫) পিতা সাহা ৭। আক্তার (৪০) পিতা হযরত ৮। রিয়াজ (৩০) পিতা অজ্ঞাত ৯। রাসেল (২৫) পিতা এজাহার সর্ব সাং ছোট বিনাইরচর পোঃ ও থানা আড়াইহাজার, জেলা নারায়ণগঞ্জ-এদের মধ্যে ১ নং বিবাদী কামাল ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এবং এলাকার সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের নেতৃত্ব দিয়ে থাকে।
গত ১২-০৬-২০২৫ তারিখে দুপুর অনুমান ২.০০ ঘটিকায় ১ নং বিবাদী কামাল এবং ২ নং বিবাদী অনোয়ার আমার বাড়ীতে গিয়া কতক স্বাক্ষীর মোকাবেলা আমার নিকট নগদ ১০০০০/= (দশ হাজার) টাকা চাঁদা দাবী করে। বিবাদীগণের দাবী অনুযায়ি চাঁদা না দিলে আমার ছেলে তুষার (৩০) কে মাদক দিয়া গ্রেফতার করাইবে এবং আমার বাড়ী ঘর ভাঙ্গিয়া দিবে বলিয়া হুমকী দিয়া যায়।
এরপর একই দিনে রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকায় ১ নং ও ২ নং বিবাদীর নেতৃত্বে, হুকুমে এবং স্বক্রীয় অংশ গ্রহণে সকল বিবাদীরা একজোটবদ্ধ হইয়া নানা প্রকার দেশীয় অস্ত্র সন্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় আমার বাড়ী ও ঘরে অনধিকার প্রবেশ করিয়া হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। বিবাদীরা এ সময় আমার বাড়ী ঘর ভাংচুর করিয়া প্রায় ১,৫০,০০০/= (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার ক্ষতি সাধন করে। এর মধ্যে একটি সোকেস, একটি খাট এবং আমার সম্পূর্ণ বসত ঘরটি ভাংচুর করা হয়। ভাংচুরের সময় ১ নং ও ২ নং বিবাদীন্বয় আমার মেয়ে রাবেয়া (২০) কে টানা হেঁড়ার মাধ্যমে শ্লীলতাহানি করে এবং কিল ঘুষি লাথি মারয়িা দেহের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখমে আহত করে। আমাদের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন জড়ো হইতে থাকিলে বিষয়টি নিয়া বাড়াবাড়ি করিলে আমাকে এবং আমার ছেলেকে জীবনে মারিয়া ফেলিবে অথবা আমার ছেলেকে মিথ্যা মালায় ফাঁসাইবে বলিয়া হুমকী দিয়া বিবাদীরা চলিয়া যায়। এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করিতে আপনার নিকট বিনীত আবেদন করিলাম। আমার মেয়েকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হইয়াছে। এমসি পরে দিব। ঘটনার স্বাক্ষী ও অজ্ঞাত বিবাদীগণের নাম তদন্তে প্রকাশিত হইবে।
এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হইয়াছে।
উপরোক্ত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সেনা ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।